পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইখ শু রাজমালা । [दिडीौत्र সতীগণ কেমন কায়মনোবাক্যে পতিপরায়ণা ছিলেন এবং পতির মৃত্যুর সঙ্গে সঞ্জর জteদিক সঙ্গে তাহাদের জীবন কত ব্যর্থ মনে করিতেন, এ স্থলে তাহার দৃঢ়ত । একটা দৃষ্টান্ত প্রদান করা যাইতেছে । ইহা ইংরেজ রাজপুরুষ স্বয়ং প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন । বঙ্গের ভূতপূর্ব লেপ্টেনেন্ট গবর্ণর স্তার হালিডে হগলী জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট পদে নিযুক্ত থাকা কালে একটা সতী-দাহ নিরীক্ষণ করিয়া বলিয়াছেন,—র্তাহার বাসার কয়েক মাইল দূরে গঙ্গাতীরে সতী-দাহের আয়োজন হইতেছে শুনিয়া, ডাক্তার ওয়াইজ ও চাপলেনকে সহ তথায় উপস্থিত হইলেন। র্তাহারা সহমরণ-সঙ্কল্প সতীর নিকট যাইয়া আত্মহত্যায় বিরত করিবার নিমিত্ত অনেক যুক্তি প্রদর্শন করিলেন, সতী বিশেষ মনোযোগের সহিত তাহ শুনিতেছিলেন, কিন্তু তাহতে কোন ফল দশিল না । কিছুকাল পরে সতী চিতারোহণের নিমিত্ত ব্যাকুলা হইয়া সকলের অনুমতি প্রার্থনা করিলেন। র্তাহার অবস্থা বুঝিয় ম্যাজিষ্ট্রেট্‌ অনুমতি প্রদান করিলেন । কিন্তু ধৰ্ম্মযাজক পাদরী সাহেব তাহাতেও নিবৃত্ত হইলেন না। শ্মশান-শয্যায় যে কত যাতনা হইবে, তাহা বুঝাইবার জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করিলেন। সতী তাহার কথার উত্তর না দিয়া একটা প্রদীপ তানিতে বলিলেন এবং তাহা স্বহস্তে জ্বলিয়া, তদুপরি একটা অঙ্গুলী স্থাপন করিলেন। তিনি তীব্র দৃষ্টিতে সাহেবের দিকে চাহিয়া যেন নীরব ভাষায় জানাইতেছিলেন,—“তোমরা যে যাতনার কথা বলিতেছ, তাহা কিছুই নহে ।” র্তাহার প্রদীপে বিন্যস্ত অঙ্গুলী ক্রমশঃ ফোস্ক পড়িয়া, দগ্ধ হইয়া কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করিল। পরিশেষে অঙ্গুলীটা পুড়িতে পুড়িতে সরু ও বক্র হইয়া গেল। এই সময়ের মধ্যে এক মুহূর্বের তরেও রমণী হস্ত সঞ্চালন করিলেন না ; এবং তাহার বাক্যে বা অবয়বে কোন প্রকার যাতনা কিম্ব অনুভূতির লক্ষণ দেখা গেল না। তখন সতী জিজ্ঞাসা করিলেন—“আপনার প্রবোধ পাইলেন কি ?” ম্যাজিষ্ট্রেট বলিলেন—“যথেষ্ট প্রবোধ পাইয়াছি।” তখন সতী বলিলেন,—“আমি তবে চিতায় প্রবেশ করিতে পারি।” ম্যাজিষ্ট্রেট মাথা নাড়িয়া সম্মতি দিলেন। তখন সতী আগ্রহের সহিত শ্মশান-শয্যায় পতির পাশে শয়ন করিলেন । উপস্থিত ইংরেজগণ সতীর আগ্রহাতিশয্য এবং নীরব নিস্পন্দ ভাবে আত্মাহুতিদান দর্শন করিয়া বিস্মিত ও চমৎকৃত হইয়াছিলেন । এই বিবরণ zoofs, ass=Caa fifors “Bengal, under Lietinant Governors' নামক গ্রন্থে সন্নিবিষ্ট ও বিশ্বকোষ সম্পাদক কর্তৃক গৃহীত হইয়াছে। 岛 এরূপ দৃষ্টাস্তের অভাব নাই । ত্রিপুর রাজ্যেও ইহার উদাহরণ অনেক পাওয়া বাইবে। দৃষ্টাস্তের বাড়াবাড়ি করা নিম্প্রয়োজন বিধায় সে বিষয়ে নিরস্ত থাকা গেল। সহমরণ-প্রথা ভারতের প্রায় সর্বত্রই প্রচলিত ছিল। সে কালে পূর্বোক্ত suana পৃষ্টাস্ত ঘরে ঘরে দেখা যাইত। মুসলমান প্রভাবের কালে, যুদ্ধে প্রবার নিন্ততি । নিহত বীর পুরুষগণের মহিলাবৃন্দ বিপক্ষ হস্তে লাঞ্ছিত হইবার আশঙ্কায় জহর-ব্রত অবলম্বন করিতেন। তাহারা পতির জ্বলন্ত চিতায় কিম্বা