পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/غ لا নরপতিগণের মধ্যে ত্রিপুরেশ্বর ছিলেন, এবং ভারত যুদ্ধে ত্রিপুরাপতি কোন পক্ষই অবলম্বন করেন নাই, ইহাও তিনি অনুমান করেন। মহাভারত নিবিষ্টচিত্তে আলোচনী করিলে পূর্বোক্ত তিন ব্যাপারেই ত্রিপুরেশ্বরের উপস্থিতি উপলব্ধ হইবে। এ বিষয় প্রথম লহরে আলোচিত হইয়া থাকিলেও এ স্থলে মহাভারতের শ্লোকগুলি পুনর্বার প্রদান করা যাইতেছে। ঘোষযাত্রা উপলক্ষে কর্ণ কর্তৃক ত্রিপুরা বিজয় সম্বন্ধে মহাভারতে পাওয়া যায় ;— “বৎসভূমিং বিনির্জিত্য কেরলাং মৃত্তিকাবতীম্। মোহনং পত্তনং চৈব ত্রিপুরীং কোশলাং তথা ॥” মহাভারত—কর্ণপৰ্ব্ব, ২৫৩ অঃ, ১০ শ্লোক । ভারত-যুদ্ধে ত্রিপুরেশ্বর, তদানীন্তর ভারত-সম্রাট দুৰ্য্যোধনের পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন। ভীষ্মকর্তৃক রচিত বুহি মধ্যে অনুসন্ধান করিলে পাওয়া যাইবে – “দ্রোণাদনন্তরং যত্তো ভগদত্তঃ প্রতাপবান। মগধৈশ্চ কলিঙ্গৈ-চ পিশাচৈশচ বিশাম্পতে ॥ প্রাগজ্যোতিষাদমুনৃপ: কৌশল্যোংথ বৃহদ্বল । মে কলৈঃ কুরুধিদৈশ্চ ত্রৈপুরৈশ্চ সমম্বি : ॥” ভীষ্মপৰ্ব্ব—-৮৭ অঃ, ৮-৯ শ্লোক । রাজসূয় যজ্ঞে ত্রিপুরেশ্বরের উপস্থিতি বিবরণ ত্রিপুরায় প্রখ্যাত প্রবাদ বাক্যের মধ্যে চলিয়া আসিতেছে। এই সময় সম্রাট যুধিষ্ঠির ত্রিপুরেশ্বরকে সিংহাসন প্রদান করিয়াছিলেন, এবং সম্রাটের অনুজ্ঞামতে তদবধি ত্রিপুরেশ্বরগণ র্তাহাদের সম্পাদিত সনন্দ ইত্যাদিতে “রাজধানী হস্তিনাপুর” লিপি করিয়া থাকেন, এই সকল প্রবাদ বাক্য অমূলক বলিয়া উড়াইয়া দেওয়া যাইতে পারে না । কেবল প্রবাদ বাক্যে নহে—ত্রিপুরার ইতিহাসেও তাহাই পাওয়া যায়। সংস্কৃত রাজমালায়, মহারাজ ত্রিপুরের বিবরণে উক্ত হইয়াছে – “যুধিষ্ঠুিরস্ত যজ্ঞার্থে সহদেবেন নিঞ্জিত । রাজস্থয়ে স গতবান যুধিষ্ঠির সমাদৃত: ॥” ত্ৰিলোচনের হস্তিন গমনের কথাও রাজমালায় বর্ণিত হইয়াছে। মহাভারতোক্ত রাজসূয় যজ্ঞের বর্ণনায় ত্রিপুরা’ নাম থাকিতে পারে না ; কারণ, তৎকালে রাজ্যের নাম ছিল কিরাত’ বা ‘ত্ৰিবেগ। ইহার কিয়ৎকাল পরে ত্রিপুরা’ নাম হইয়াছে। ঘোযযাত্রার পূর্বেই যে রাজ্যের নাম পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছিল, মহাভারত, রাজমালা এবং রাজরত্নাকর অালোচনা করিলে তাহা বুঝা যায়। তৎকালে রাজপাট ছিল ব্ৰহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী কপিলি নদীর সন্নিহিত স্থানে। মহাভারতের রাজসূয়যজ্ঞ বর্ণনোপলক্ষে লিখিত হইয়াছে – “যে পরাদ্ধে হিমবতঃ সুৰ্য্যোদয় গিরোনুপা: | কারূষে চ সমুদ্রাস্তে লৌহিত্যমভিতশ্চ লে।