পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

象鲁冬 রাজমালী । { দ্বিতীয় গুরু হিলাল গাজি রামগতির বাড়ীতে অবস্থান কালে, অকস্মাৎ একদল পুলিশ আসিয়া গুরুজীকেসহ রাজা, রাণী, পাত্র, মিত্র সকলকেই গ্রেপ্তার করিয়া লইয়া গেল। রামগতির সাধের রাজত্বের এইখানেই অবসান হইল। পুলিশ, ধৰ্ম্মধবজী রামগতিকে সপারিষদ ধৰ্ম্মাধিকরণে প্রেরণ করিল। এই সংবাদ পাইয়া হিলাল গাজির ভ্রাতা, তাহাকে রক্ষা করিবার নিমিত্ত আসিল, এবং বহু চেষ্টার ফলে প্রকৃত তথ্য উদঘাটিত হওয়ায় হিলাল গাজি মুক্তি লাভ করিল। রামগতি ও তাহার প্রধান চেলাগণ কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইল । ইহাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ স্থাপিত হইয়াছিল, জানা যায় নাই। কেহ কেহ অনুমান করে, ইহার রাজদ্রোহী বলিয়া অভিযুক্ত হইয়াছিল। রামগতি এবং তহার অন্তরঙ্গ ভক্তগণ হিলাল গাজির প্রসাদী সিন্ধি ভক্ষণ করিবার দরুণ সমাজচ্যুত হইয়াছিল। ভক্ত সমাজ ব্যতীত আরও নুনাধিক তিন শত লোক এই কারণে সমাজ বর্জিত হয়। এই সুযোগে কুমিল্লা হইতে জনৈক পাত্রি আসিয়া, তাহাদের মধ্যে অনেককে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছিলেন । তাহাদের বংশধরগণ এখনও কুমিল্লানগরীতে বাস করিতেছে। যাহার হুজুগে পড়িয়া প্রসাদ গ্রহণ করিয়াছিল, তাহাদের অনেকে প্রায়শ্চিত্ত দ্বারা শুদ্ধ হইয়া পুনর্বার সমাজভুক্ত হইল, কেহ বা সমাজচু্যত অবস্থায়ই রহিল। রাজা রামগতির শেষ পরিণতির কথা কেহই বলিতে পারে না ; সুতরাং সেই বিৰরণ প্রদান করিবার উপায় নাই । বিষ লতার উৎপত্তি । রজমালায় ধন্থমাণিক্য খণ্ডে লিখিত আছে ;— "দুই প্রহরে খনিলেক তাতে এক দীঘী । ন! খায় গোমতী জল বিষ দিছে লাগি ॥" ( २ब्र लइङ्ग-२० **ी अठेवा । } পাঠান সেনাপতি হুৈতন খ ত্রিপুরা আক্রমনোপলক্ষে গোমতী নদীর তীরে ছাউনী করায়, তাহার সৈম্ভবল ধ্বংস করিবার উদ্দেশ্বে ত্রিপুর সেনানী, নদীর জলে বিষলতা প্রদান করিয়াছিলেন। এই বিষলত ত্রিপুর পর্বতে উৎপন্ন হয়। পার্বত্যজাতি সমূহ, এই লতা থেতলাইয়া নদীতে কিম্বা পৰ্ব্বতের অভ্যন্তরস্থ ঢেপায় (হ্রদ বা বিলে ) নিক্ষেপ করে। কিয়ৎকাল পরে, ছোট বড় সৰ্ব্ববিধ মৎস্ত বিষাক্রান্ত হইয়া ভাসিয়া উঠে, এবং এই সুযোগে বিষদাতাগণ তাহ ধরিয়া লয় । এই লতা এত বিষাক্ত যে, ইহার রস উদয়স্থ অথবা অন্য প্রকারে শরীরে প্রবিষ্ট