পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२े४ রাজমালা । { দ্বিতীয় কাশীখণ্ডের ৩০শ অধ্যায়ে পাওয়া যাইতেছে,— "ডাকিনী শাকিনী ভূত প্রেত বেতাল রাক্ষসী ।” ইহার শিব ও শক্তির অনুচর। ইহাদিগকে সংহারক শক্তির অংশবিশেষ বলা হইয়াছে। ইহারা সৰ্ব্বদাই মানবের অমঙ্গলদায়ক । কোন কোন মানব বা মানবীর প্রতি উপরিউক্তরূপ দোষারোপ অল্পাধিক পরিমাণে সকল দেশেই হইয়া থাকে। শিশুগণের পীড়া হইলে ‘ডাকিনী খাইয়াছে’ বলিয়া অনেক স্থলে মনে করা হয়। অনেকে বলে—ইহারা মারণ ও বশীকরণ ইত্যাদি মন্ত্রের সাধক-সাধিকা। বর্তমান কালে সাধারণতঃ এই বিশ্বাস অনেক পরিমাণে অন্তৰ্হিত হইয়া থাকিলেও কুকি, ত্রিপুরা, মঘ, কোল, ভিল প্রভৃতি পার্বত্য সমাজে এখনও পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান রহিয়াছে। এই বিশ্বাসের দ্বারা নানাবিধ অনিষ্টপাতের কথা পূর্বেই বলা হইয়াছে। ta-agam: খোজার বিবরণ। রাজমালার দ্বিতীয় লহরে পাওয়া যায়, মহারাজ ধস্তমাণিক্যের শাসনকালে ত্রিপুরার সৈনিক বিভাগে খোজাদিগকে গ্রহণ করা হইত। গৌড়েশ্বর হোসেন শাহের সেনাপতি গোঁড়মল্লিক ত্রিপুরা আক্রমণ করিলে, জনৈক খোজা যে কৃতীত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা নিতান্তই বিস্ময়কর। এতৎসম্বন্ধে রাজমালায় লিখিত আছে – “খোজাছিল একজন মন্ত্রণ পরিপাটী। গোমতী বান্ধিল সেই সোণামুড়ার ভাটী ॥ নদীকুলে বৈসে ত্রিপুর রাঙ্গামাট রাজ । নদী বান্ধি ডুবাইয়া মারিব সমাজ ॥ এই যুক্তি করিয়া সেনাকে মাঙ্গা দিল । সোণামুড়ার ভাটি দিয়া গোমতী বান্ধিল ৷ তিন দিন রাখিলেক বান্ধিয়া গোমতী । *ब्रिप्तिन क्लांत्रि नी &श्ब्रl ¢द१वडैौ ॥* 基 ধগুমাণিক্য থও—২৩ পৃষ্ঠা। পাঠান বাহিনীর সহিত উপর্যুপরি যুদ্ধে পরাজিত হইবার পর ত্রিপুর সৈন্যদল খোজার পরামর্শানুসারে এই উপায় অবলম্বন করিয়াছিল। ইহার ফলে, নদীর বাঁধের উপরে (উজানে) বিস্তর জল জমা হইয়া, নিম্নদেশের (ভাটির) জল শুকাইয়া গেল । মুসলমানগণ শুষ্ক নদীপথে আরামের সহিত পাড় হইবার কালে বাঁধ ভাঙ্গিয়া দেওয়ায় তিন দিবসের অবরুদ্ধ জলরাশি হঠাৎ আসিয়া তাহদের উপরে পতিত হইল। সেই