পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমালা । [ दिॐीई যায়, ইনি কামরূপের শাসনকর্তা পদে নিযুক্ত হইয়া রাঙ্গামাটাতে অবস্থানপূর্ববক কিয়ৎকাল উক্ত প্রদেশ শাসন করিয়াছিলেন । মহামাণিক্য —( ১ পৃঃ—১৩ পংক্তি ) ৷ ইনি রাজমালা প্রথম লহরের অন্তর্গত শেষ রাজা। প্রথম লহরে ই হার বিবরণ প্রদান করায় এ স্থলে পুনরুল্লেখ করা হইল না। মাধব –(৪০ পৃঃ—২৪ পংক্তি)। ইনি বিজয়মাণিক্যের শ্বশুর ও প্রধান সেনাপতি দৈত্য নারায়ণের জ্যেষ্ঠ কন্যা-জামাতা । দৈত্য নারায়ণ ইহাকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন এবং বিশ্বাস করিতেন । র্তাহার ধন সম্পত্তি সমস্তই জামাতার হস্তে ছিল ; এমন কি, মাধব আহাৰ্য্য প্রদান না করিলে দৈত্য নারায়ণ আহার করিতেন না । বিশ্বাসঘাতক মাধব, বিজয়মাণিক্যের প্রলোভনের বশবৰ্ত্তী হইয়া শ্বশুরকে স্বহস্তে বধ করিয়াছিলেন। দৈত্য নারায়ণের কন্যা (বিজয়মাণিক্যের মহিষী) পিতৃহন্ত মাধবকে গুপ্তচরদ্বারা নিহত করিয়া তাহার পাপের উপযুক্ত দগুবিধান করিবার কথা রাজমালায় পাওয়া যায় । মুকুন্দ ;–(৬১ পৃঃ–২২ পংক্তি )। ইনি উড়িষ্যার ভূপতি এবং বিজয়মাণিক্যের সমসাময়িক ছিলেন। মহারাজ বিজয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র ভুঙ্গুর ফাএর কোষ্ঠীতে ছেদযোগ আছে, দৈবজ্ঞ গণনা করিয়া এরূপ বলায়, মহারাজ সেই পুত্রকে পুরুষোত্তমধামে অবস্থান করিবার জন্য প্রেরণ করিয়া, তাহাকে সযত্নে রক্ষা করিবার নিমিত্ত উড়িষ্যাপতি মুকুন্দদেবকে পত্রদ্বারা অনুরোধ করিয়াছিলেন । বিশ্বকোষে (মাদলপঞ্জী নামক পুথি অনুসারে ) উড়িষ্যার ভূপতিবৃন্দের যে বংশ-তালিক প্রদান করা হইয়াছে, তাহাতে তিন জন মুকুন্দদেবের নাম পাওয়া যায়। তন্মধ্যে প্রথম মুকুন্দদেব, প্রখ্যাতনামা মহারাজ চোরগঙ্গার অধস্তন ২৮শ স্থানীয়। ইনি রাজা রঘুনাথ ছোটরার পুত্র, ১৪৭৩ শক হইতে ১৪৮১ শকাব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছেন। ত্রিপুরেশ্বর বিজয়মাণিক্যের রাজত্বকাল ১৪৫০—১৪৯২ শক । সুতরাং এই মুকুন্দদেবই মহারাজ বিজয়মাণিক্যের সমসাময়িক সাব্যস্ত হইতেছেন। যাহবৈদ্য –(৬৩ পৃঃ-২• পংক্তি )। ইনি জাতিতে ত্রিপুরা এবং ধন্বন্তরী মারায়ণের পুত্র। চিকিৎসা ব্যবসায়ী বলিয়া বৈদ্য’ উপাধি লাভ করেন। মহারাজ বিজয়মাণিক্য বসন্তরোগে আক্রান্ত হওয়ায় এই ব্যক্তি র্তাহার চিকিৎসা করিয়াছিলেন। কিন্তু রোগের প্রবল আক্রমণ হইতে তিনি রাজাকে রক্ষা করিতে সমর্থ হন নাই, এই রোগেই মহারাজ বিজয় পরলোক গমন করিয়াছিলেন । রণচতুরনারায়ণ,—(১ পূঃ—১১ পংক্তি)। ইনি মহারাজ অমরমাণিক্যের সেনাপতি ছিলেন। মহারাজের আদেশানুসারে রাজমালা দ্বিতীয় লহর এই সেনাপতি কর্তৃক বর্ণিত হইয়াছে। এই লছরের লেখক কে ছিলেন, রাজমালায় উল্লেখ নাই, এবং বর্তমান কালে তাহ জানিবারও উপায় নাই।