পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ले 8 রাজমালা । [डौिग्न সহিত বলিয়াছিলেন,—“বাপের মিরাশ এড়ি যাইমু গৌড়র সহর।” এতদ্বারাও গৌড়ের সহিত সম্বন্ধসূচিত হইতেছে। গোবিন্দচন্দ্রের উক্তিতে পূর্বোক্ত অন্যান্য স্থানের সহিত সম্বন্ধ থাকাও জানা যাইতেছে ;– ”বাপের বিরাশ এড়ি যাইমু গৌড়র সহর । দাদার মিরাশ এড়ি যাবেক কমলাক নগড় ৫ ॥ তুক্ষি মায়ের ষত বাড়ী পাটিকানগর । আন্ধি বাড়ী বান্দিয়াছি মেহেরকুল সহর ॥” ইত্যাদি । উক্ত পুথির অন্য স্থানে পাওয়া যায়,— "আদ্য মাটী আছে কিন্তু মেহেরকুল নগড় । নিজ মাট আছে কিছু বিক্রমপুর সহর । আর আছে আইধ্য মাট তরপের দেশ । চাটগ্রাম পুৰ্ব্ব মাট জানিব বিশেষ।” উদ্ধৃত বাক্যদ্বারা গোঁড়, পাটিকার বা মেহেরকুল, বিক্রমপুর, তরপ { ও চট্টগ্রামে গোবিন্দচন্দ্রের আধিপত্য থাকা প্রমাণিত হইতেছে । পূর্বেই বলা হইয়াছে, ময়নামতী তিলকচন্দ্রের কন্যা ও মাণিকচন্দ্রের মহিষী ছিলেন । এবং মাণিকচন্দ্রের পুত্র গোবিন্দচন্দ্র সাভারের রাজকন্যা দ্বয়ের (অধুনা ও পদুনা) পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন । ময়নামতীর গানেও ঠিক এই সকল কথাই পাওয়া যাইতেছে ;– (১) ময়নামতী স্বীয় পুত্র গোবিন্দচন্দ্রকে বলিতেছেন – “তোর বাপে বলিলেক, তিলকচাদের ঝি । তোর জ্ঞান লইলে আহ্মার হবে কি ॥” এই বাক্য দ্বারা ময়নামতীকে তিলকচন্দ্রের কন্যা বলিয়া জানা যাইতেছে । (২) “মাণিকচন্দ্র রাজা ছিলেন ধৰ্ম্মী বড় রাজা । ময়নাকে বিভা করিল তার নওবুড়ি ভারিযা।” ময়নামতী যে মাণিকচন্দ্রের ভাৰ্য্যা, উদ্ধৃত বাক্য দ্বারা তাহা প্রমাণিত হইতেছে । (৩) গোবিন্দচন্দ্র স্বীয় মাতাকে বলিয়াছিলেন ;– “এক বিভা করাইল অৰ্জুন পতুন । সে সব সুন্দরী জানে আমার বেদন ॥”

  • কমলাক বা কমলাঙ্ক, কুমিল্লার প্রাচীন নাম ।

+ পাটিকা-পাটিকার । { ঐযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালী মহাশয় বলিয়াছেন—“তরপের দেশ বোধ হয় রঙ্গপুর ।” ঐহট্টে ‘তরপ’ নামক এক খণ্ডরাজ্য ছিল । তথায় চন্দ্র-রাজগণের আধিপত্য বিস্তারের কোনও প্রমাণ নাই। ময়নামতী গানে সন্নিবিষ্ট ভরপের অবস্থান নির্ণয় করা বর্তমান কালে দুঃসাধ্য।