পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } मथा-भकिी । \ô • • রাজা লক্ষণমাণিক্য অসাধারণ বীর এবং স্থপণ্ডিত ছিলেন । ইনি রাজকার্য্যের সহিত সাহিত্য চর্চাও করিতেন । তিনি সংস্কৃত ভাষায় বিখ্যাত বিজয়’ নামক একখানা নাটক রচনা করেন । ইহা অর্জন কর্তৃক কর্ণ বধের আখ্যায়িকা অবলম্বনে রচিত হইয়াছে। গ্রন্থের প্রারম্ভ ভাগের কতিপয় পংক্তি নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে ;– “প্রেক্ষাবৎ পরিতোষ নিস্তুল মহামাণিক্য রত্নাকরঃ প্রাক্ সৎপুরুষ পৌরুষোৎকর কথা স্রোতস্বতী ভূধরঃ । দৃপ্যাচ্চারণ চাতুরী মধুকরী প্রাগলভ্য পুষ্পাকরঃ জীমল্লক্ষ্মণ ভূপতে রভিনবস্তাদৃক প্রবন্ধোত্তরঃ ॥ আশ্রয়ো যন্ত রাজানস্তস্ত বীররসস্ত চেৎ ৷ প্রবন্ধে। ভুভুজ। বদ্ধস্তম্মিন্নোপয়িক শ্রমঃ ॥” বিখ্যাত বিজয় । ইহার রচিত কৌতুক রত্নাকর নামক আর এক খান গ্রন্থ আগরতলায় রাজ-গ্ৰন্থাগারে আছে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থশালায়ও ইহার একখণ্ড রক্ষিত হইতেছে । চন্দ্রদ্বীপের রাজা কন্দপ নারায়ণ রাজা লক্ষণমাণিক্যের সমসাময়িক । ইহাদের পরস্পরের মধ্যে সস্তাব ছিল না। এ বিষয় এবং ভুলুয়া রাজ্যের অন্যান্য বিবরণ তৃতীয় লহরে আলোচিত হইবে । মধ্যযুগে ভুলুয়া ত্রিপুরার বশ্যতা অমান্য করায়, ত্রিপুরেশ্বর মহারাজ দেবমাণিক্য উক্ত রাজ্য জয় করিয়া সমুদ্র তীর পর্য্যন্ত অধিকার করিয়াছিলেন। তৎকালে মহারাজ চট্টগ্রামে এক সেনানিবাস (থানা) স্থাপন করিয়া, চন্দ্রনাথ তীর্থ দর্শনান্তে স্বরাজ্যে প্রত্যাগমন করিয়াছিলেন । ভূষণ ;–( ৪১ পৃঃ—২৩ পংক্তি ) ৷ ইহা মধ্যবঙ্গের একটা সমৃদ্ধ নগর ছিল। পূজ্যপাদ ত্রযুক্ত আনন্দনাথ রায় মহাশয় প্রাচীন ভূষণার সীমা নিম্নলিখিতভাবে প্রদান করিয়াছেন,—“উত্তরে পদ্মা ও বেতরিয়ার ক্ষুদ্রাংশ এবং কুবারসাহী ; পশ্চিমে মহল্লাহ্মদসাহী, নলডাঙ্গা ও যশোহর ; দক্ষিণে ঢাকার অন্তর্গত বাখরগঞ্জের ংশবিশেষ।” * অধুনা ভূষণার কিয়দংশ খুলনা ও যশোহর এবং কতকাংশ ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত হইয়াছে। ভূষণ বঙ্গীয় বীর সীতারাম রায়ের বাল্য-লীলাক্ষেত্র। এখানে তিনি পিতৃ সকাশে অবস্থান করিয়া শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন । সীতারাম জমিদারী লাভ করিবার পর ভূষণার মুসলমান ফৌজদারের সহিত সঙ্ঘর্ষ উপস্থিত হয়। এই বিবাদমূলে ফরিদপুরের ইতিহাস—১ম খণ্ড, ৮২ পৃঃ