পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১ e রাজমালা । { দ্বিতীয় মাছি ছা –(২৭ পৃঃ—১৬ পংক্তি)। ত্রিপুরা ভাষায় এই স্থানকে ‘মটিছল’ বলে। প্রাচীনকালে এতদঞ্চলে রিয়াং জাতির বসতি ছিল। এই স্থানের অধিবাসীবৃন্দ ত্রিপুরার বশ্যতা অমান্ত করায় মহারাজ ধন্যমাণিক্যের শাসনকালে সেনাপতি রায় কাচাগ পুনর্ববার বশে আনয়ন করিয়াছিলেন। ধ্রু বাঙ্গালী সমাজে এই স্থান ‘দেবতামুড়া’ নামে প্রসিদ্ধ। এই স্থান :উদয়পুর এবং অমরপুরের সীমান্তবত্তী। এখানে গোমতীর বামতীরস্থ উচ্চতম পাযাণময় পর্বত গাত্রে নানাবিধ দেব দেবীর মূৰ্ত্তি খোদিত আছে। তন্মধ্যে মহিষাস্থর মদিনী দশভুজ মূৰ্ত্তির কথাই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই সকল অঙ্কিত মূৰ্ত্তির নিমিত্তই স্থানের নাম “দেবতামুড়া’ হইয়াছে। এই সমস্ত মূৰ্ত্তিবিষয়ক রাজমালার বাক্য "মাছি ছড়া'র বিবরণে প্রদান করা হইয়াছে । দেবতামুড়ার মূৰ্ত্তিসমূহ ত্রিপুরেশ্বরগণের প্রাচীন কীৰ্ত্তি চিন্তু । কোন সময়ে কি উদ্দেশ্যে নদীগৰ্ব হইতে উত্থিত প্রস্তরময় উত্তঙ্গ পর্বত গাত্রে এই সকল দেব দেবীর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত হইয়াছিল, তাহা জানিবার উপায় নাই । যে কালে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মযাজকগণ ত্রিপুর রাজ্যের চতুষ্পাশ্বস্থ হিন্দুদিগকে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিতেছিলেন, এবং রাজ্য মধ্যে হস্ত প্রসারণেরও চেষ্ট হইতেছিল, সেই সময় সাধারণকে হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট রাখিবার উদ্দেশ্যে ধৰ্ম্মপ্রাণ ত্রিপুরেশ্বরগণ পর্বর্বতের শিলাময় গাত্রে এই সকল মূৰ্ত্তি উৎকীর্ণ করাইয়াছিলেন, অবস্থা আলোচনা করিলে ইহাই অনুমিত হয়। হিন্দু রাজন্তবর্গের এবম্বিধ চেষ্টার ফলেই বৌদ্ধদিগের মধ্যে তান্ত্রিক সম্প্রদায় গঠিত হইয়াছিল । হিন্দুগণের সহানুভূতি লাভের উদ্দেশ্যে এই সম্প্রদায়ের গঠন হইয়া থাকিবে, কেহ কেহ এইরূপ অনুমান করেন । খোদিত মূৰ্ত্তিসমূহের কারুকার্য্য প্রশংসনীয়। সেকালে ত্রিপুর রাজ্যে ভাস্কর-শিল্পীর অভাব ছিল না, এবং এতজ্জাতীয় শিল্প বিশেষ উন্নতি লাভ করিয়াছিল, প্রতিকৃতিসমূহ দর্শনে ইহা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইবে। উনকোট তীর্থে খোদিত মূৰ্ত্তিসমূহের সহিত তুলনা করিলে বুঝা যায় এই সকল মূৰ্ত্তি তদপেক্ষা পরবর্তীকালের এবং সেকালে ভাস্কর-শিল্পের অধিকতর উৎকর্ষ সাধিত হইয়ছিল । মাধবতল ;–(৪০ পৃঃ—১৬ পংক্তি)। এই স্থান উদয়পুরের সন্নিহিত। রাজমালায় পাওয়া যায়, এখানে একটী হাট ছিল। কাল প্রভাবে স্থানের নাম পরিবৰ্ত্তিত হওয়ায়, বর্তমান সময়ে মাধবতলার অবস্থান নির্ণয়ের সুবিধা নাই । মেহেরকুল –(১৩ পৃঃ—২ পংক্তি)। এই স্থানের স্থল বিবরণ রাজমালা প্রথম লহরের ২৬৫ পৃষ্ঠায় পাওয়া যাইবে । যমুনা ;–( ৫৫ পৃঃ—১১ পংক্তি ) ৷ নদীবিশেষ। এই নদী হিমালয় পৰ্ব্বত হইতে নির্গত হইয়া, প্রয়াগে গঙ্গার সহিত মিলিত হইয়াছে। রাজমালাকার —r

  • এই লহরের ২• পৃষ্ঠা, ১৬ পংক্তি দ্রষ্টব্য।