পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

णङ्ख्न ] अ५]-भणेि \Sר ל এখানে প্রথমতঃ হিন্দুরাজগণের, পরে পাঠানদের রাজধানী প্রতিষ্ঠিত ছিল । এই নগরীকে তৎকালে নানা উপায়ে সুরক্ষিত করা হইয়াছিল। সুবর্ণগ্রাম এককালে সর্বববিষয়ে সমৃদ্ধিশালী ছিল । এখানে বিস্তর ধর্মবান, সাধু, বিদ্বান, রাজনৈতিক প্রভৃতি নানা শ্রেণীর প্রসিদ্ধ লোকের বাস ছিল। শিল্প এবং বাণিজ্যের নিমিত্ত সে কালে সুবর্ণগ্রাম বিশেষ প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিল। খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে আফ্রিকা দেশীয় পরিব্রাজক ইবন বতুতা এখানকার বন্দরে যাবাদ্বীপের বাণিজ্যতরী দেখিয়ছিলেন । * এতদ্বারা এই স্থানের বাণিজ্য-বিভবের পরিচয় পাওয়া যায়। সুবর্ণগ্রামের উৎকৃষ্ট কাপাস বস্ত্রের বিষয় প্রসিদ্ধ পরিব্রজক রালফফিচু বিশেষ ভাবে উল্লেখ করিয়াছেন । নবাব জাফর আলী খাঁ সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে যে সকল উৎকৃষ্ট বস্ত্র বার্ষিক উপঢৌকন প্রদান করিতেন, তন্মধ্যে সাদা মসলিন ১০০ খান ও সাদা সরবনদ ২০ খন সোণার গাও অরং হইতে প্রতি বৎসর সরবরাহ করা হইত। ইহার প্রত্যেকখানা মসলিনের মূল্য ২০০ টাকা ও সরবন্দ প্রতিখানার মূল্য ৮০ টাকা নিৰ্দ্ধারিত ছিল। ‘া কৃষি সম্পদেও সুবর্ণগ্রাম বিশেষ সম্পন্ন ছিল । এখনকার ধান্ত ও চাউল ভারতের বাহিরে নানা স্থানে রপ্তানী হইত । এই স্থান ত্রিপুরার হস্তচু্যত এবং মুসলমানগণের করগত হইবার পর মহারাজ বিজয়মাণিক্য সেই ক্ষতি উদ্ধার করিয়াছিলেন । তৎপর মহারাজ কৃষ্ণমণিক্যের শাসনকালে, সমসের গাজি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজা লক্ষণমাণিক্য (নামান্তর লবঙ্গ ঠাকুর ) রাজ্যভ্রষ্ট ও বিতাড়িত হইয়া সুবর্ণগ্রামে যাইয়া বাস করিতেছিলেন। তাহার অধুসিত ভূমি অদ্যপি রাজবাড়া নামে পরিচিত হইতেছে। সোণামুড়া ;–(২৩ পৃঃ—৫ পংক্তি)। এই স্থান কুমিল্লা নগরীর পূর্বদিকে তিন ক্রোশ দূরবত্তী গোমতী নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত। এখানে ত্রিপুরেশ্বরের একটা সেনানিবাস স্থাপিত ছিল । এই সেনানিবাসের নাম ছিল সাভারমুড়াগড়। : এই স্থান উদয়পুর রাজধানীর পশ্চিম দিকে অবস্থিত। বৰ্ত্তমানকালে এখানে ত্রিপুর রাজ্যের বিভাগীয় কাৰ্য্যালয়, জেইল, ডাক্তারখানা, উচ্চ ইংরেজী স্কুল ইত্যাদি স্থাপিত আছে। সোণামুড়া নগরীর পশ্চিম পাশ্বে একটা উচ্চ ও সুদীর্ঘ মৃত্তিকার আইল ও তাহার বহির্ভাগে বিস্তীর্ণ পরিখা বিদ্যমান আছে, তাহার নাম ‘গাজির কোট’ । শত্রুর গতিরোধ করিবার উদ্দেশ্যে ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল।

  • Ibn Batuta,—Translation, P. P. I94-195.

+ ঢাকার ইতিহাস—১ম খণ্ড, ১৭১ পৃষ্ঠা। to so. † মহারাজ নরেন্দ্রমাণিক্য মুসলমানগণের আক্রমণের আশঙ্কায় চিন্তিত হওয়ার, মন্ত্রীগণ র্তাহাকে প্রবোধ বাক্যে পরামর্শ দিয়াছিলেন ;– + "সংরাইলের গড় ধরিব সাবধানে । রাজনগর সাভাড় মুড়া রাখিবা যতনে ৷” চম্পক বিজয় । সোণামুড়ার বলকর ঘাট অস্থাপি সাভারমুড়া ঘাট’ নামে অভিহিত হইয়া থাকে।