পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

히 দেওয়ান ত্রযুক্ত বিজয়কুমার সেন বাহাদুর এম.এ, বি-এল ; এম্-আর-এ-সি (লগুন), বৃন্দারণ্যাশ্রণী শাস্ত্রদর্শী পূজ্যপাদ পরমহংস শ্ৰীলশ্ৰীমৎ গৌরগোবিনানন্দ ভাগবতস্বামী মহোদয় প্রথম লহরের দ্যায় এই লহরের পাণ্ডুলিপি বিশেষ পরিশ্রমের সহিত আলোচনা পূর্বক আমাকে যথাযোগ্য উপদেশ দানে উপকৃত করিয়াছেন। স্বৰ্গীয় মহারাজ বীরচন্দ্রমাণিক্য বাঙ্গহ্বরের সময় হইতে ত্রিপুরার রাজসরকারের সহিত দীনেশ বাবুর বিশেষ ঘনিষ্ঠত চলিয়া আসিতেছে । তিনি তৎপূৰ্ব্ব হইতেই এই অকৃতীকে বন্ধুর মধ্যে টানিয়া লইয়া স্বীয় অসীম ঔদার্য্যের পরিচয় প্রদান করিতেছিলেন, কঠোর পরিশ্রম স্বীকার করিয়া এই দুরূহ কার্য্যে যথোচিত সাহায্য দানে এবার তাহার অক্ষম সুহৃদকে ধন্ত করিয়াছেন। র্তাহার এই উদারতা এবং মেঙ্গের কথা জীবনে কখনও বিস্তুত হইবার নহে । ঢাকা মিউজিয়মের সুযোগ্য কিউরেটর শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালী এম্-এ, মহাশয় অল্প কালের আলাপের মধ্যে এবং পত্রদ্বারা রাজমালা সম্পাদন কার্য্যের সহায়ক যে সকল মূল্যবান বিবরণ প্রদান করিয়াছেন, তদ্বারা বিশেষ উপকৃত হইয়াছি। পরম শ্রদ্ধাভাজন মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীসক্ত পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এম-এ, সি-আই-ই, মহাশয়ের সচিত আলোচনায় এ বিষয়ে যথেষ্ট সাভাষ্য লাভ করিয়াছি । এবং শ্রদ্ধাস্পদ অধ্যাপক মহামহোপাধ্যায় খ্ৰীযক্ত পদ্মনাথ ভট্টাচাৰ্য্য বিদ্যাবিনোদ এম-এ, মহাশয় হইতে ঐতিহাসিক তথ্যপূর্ণ বহু মূল্যবান বিবরণ প্রাপ্ত হইয়াছি। পূজ্যপাদ পণ্ডিত ত্রযুক্ত চন্দ্রোদয় বিদ্যাবিনোদ মহাশয়ের সঙ্কলিত ত্রিপুর-ইতিবৃত্ত সম্বলিত গ্রন্থ নিচয় এবং শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক খ্ৰীযুক্ত অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের সংগৃহীত বিবরণ, আমার কার্য্যের বিশেষ সাহায্যকারী হইয়াছে। স্নেহভাজন শ্ৰীমান দীনদয়াল দেববৰ্ম্ম মহাশয়ের সংগৃহীত ‘দোয়াপথবের বিবরণ পাইয়া বিশেষ উপকার লাভ করিয়াছি। ত্রিপুরেশ্বর বাহাকুরের আণ্ডার সেক্রেটরী প্রতিভাজন ক্রমান সত্যরঞ্জন বসু বি-এ, এবং আমার সহকারী স্নেহাস্পদ ক্রমান মতেন্দ্রনাথ দাস মহাশয়দ্বয় আমার কার্যের বিস্তর সাহায্য করিয়াছেন। এই সকল ব্যক্তির নিকট র্তাঙ্গদের সৌজন্যের নিমিত্ত চির-কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ থাকিব। এতদ্ব্যতীত আরও অনেক হৃদয়বান ব্যক্তি হইতে নৃানাধিক পরিমাণে সাহায্য লাভ করিয়াছি, এ স্থলে তৎসমস্তের নামোল্লেখ করিতে ন পারার গুরুতর ক্রট রহিয়া গেল । রাজমালায় যে সকল ব্যক্তির নামোল্লেখ আছে, তাহদের বিবরণ সংগ্রহ করা বর্তমানকালে সাধ্যের অতীত বলিয়া মনে হয়। র্তাহাদের মধ্যে অনেকের বংশ বিলুপ্ত হইয়াছে, অনেকের অধস্তন বংশুগণ পৈতৃক বাসভূমি পরিত্যাগ করিয়া স্থানান্তরে যাওয়ায়, তাহদের পরিচয় বর্তমান জন-সমাজ অবগত নহে। অনেকে আৰার আপনাদের পূর্বপুরুষের পরিচয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ । এই সকল কারণে প্রাচীন কালের অনেক প্রসিদ্ধ ব্যক্তির পরিচয় সংগ্রহের চেষ্টাও ব্যর্থ হইয়াছে। স্থানের বিবরণ সম্বন্ধীয় অবস্থাও ঠিক তদনুরূপ। অনেক স্থানের নাম পরিবর্তিত হওয়ার এবং প্রাচীন নামগুলি বর্তমান জনসমাজ ভুলিয়া যাওয়ায়, তৎসমস্তের অবস্থান নির্ণর করিবার সুযোগ ঘটিতেছে না। অনুসন্ধানদ্বারা যে সামান্ত বিবরণ পাওয়া গিয়াছে, তাহা গ্রন্থের পশ্চাদ্ভাগে সন্নিৰেশিত হইল ; কিন্তু তদ্বারা তৃপ্তিলাভ করিতে পারিলাম না । শাসন-পরিষদ কর্তৃক রাজকাৰ্য্য পরিচালিত হইবার কালে রাজমালা সংক্রান্ত কাৰ্য্য মহামান্তবর মহারাজকুমার শ্ৰীলশ্ৰীযুত ব্রজেন্দ্রকিশোর দেববৰ্ম্মণ বাহাদুরের তত্ত্বাবধানে থাকিবার কথা পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে। শাসন-পরিষদ উঠিয়া যাইবার পরে নবীন ভূপতি—পঞ্চ-ক্রযুত মহারাজ বীরবিক্রমকিশোর মাণিক্য বাহাদুর স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়৷ এই কাৰ্য্য স্বকীয় তত্ত্বাবধানে গ্রহণ করিয়াছেন, ইহা সামান্ত আনন্দ বা অল্প আশার কথা নহে। শ্ৰীশ্ৰীযুত মাণিক্য বাহাতুরের