পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর । ] মধ্য-মণি। Ꮔ Ꮌ বাণিয়া চঙ্গ। এককালে “সুত, মাগধী, বন্দ” মগধ রাজধানীতে এইরূপ ঐতিহাসিক গাথা রচনার ভার লইয়াছিলেন, তাহার উল্লেখ বঙ্গ সাহিত্যের বহু স্থানে পাওয়া যায়। মগধ ধ্বংশের পরে এই ভাট ব্রাহ্মণদের একটা উপনিবেশ ক্রীহট্টে অধিষ্ঠিত হইয়াছিল। এই সূত্রে তাহারা শুক্রেশ্বর ও বাণেশ্বরকে ইতিহাস বিশ্রুত ভাট বংশীয় বলিয়া অনুমান করেন। কিন্তু রাজমালার উক্তি এই মতের পরিপন্থী ; উক্ত গ্রন্থে পাওয়া যাইতেছে, মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের কুমিল্লাস্থ ধৰ্ম্মসাগর উৎসর্গ কালে ইহার রাজ পুরোহিত ছিলেন, এবং এতদুপলক্ষে, বারাণসী ধাম হইতে সমাগত কৌতুকাদি বিপ্রের সহিত একই সনন্দ দ্বারা একত্রে ভূমিদান পাইয়াছিলেন। এই অবস্থায় কবিদ্বয়কে ভট্ট ব্রাহ্মণ বলিয়া মনে করা যাইতে পারে না। আমরা শুক্রেশ্বর ও বাণেশ্বরের তথ্য সংগ্রহের মানসে, অতীতের তমসাচ্ছন্ন পথে আগ্রহাম্বিত চিত্তে পথভ্রষ্ট পথিকের ন্যায় বিচরণ করিতেছিলাম, এই সময় সৌভাগ্য বশতঃ শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর পিতামহ বংশোদ্ভব, পরমভাগবত, ঢাকা দক্ষিণ নিবাসী শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত ইন্দ্রকুমার মিশ্র মহাশয় আগরতলায় আগমন করেন । র্তাহার সহিত নানা বিষয়ক আলাপের পর, তিনি কবিদ্বয়ের বিবরণ সংগ্ৰহ করিয়া দিতে প্রতিশ্রত হইয়াছিলেন, এবং অল্প দিন হইল, দয়া করিয়া যে বিবরণ প্রদান করিয়াছেন, তাহা আলোচনায় জানা যায়, বাণেশ্বর ও শুক্রেশ্বর শ্রীহট্ট জেলার অন্তর্গত ঢাকাদক্ষিণ পরগণাস্থ ঠাকুরবাড়ী গ্রাম নিবাসী ছিলেন ; ইহারা দুই সহোদর–বাণেশ্বর জ্যেষ্ঠ ও শুক্রেশ্বর কনিষ্ঠ । ইহার শ্রীহট্টের প্রাচীন ব্রাহ্মণ বংশ সস্তৃত, ইহাদের কৌলিক উপাধি চক্ৰবৰ্ত্তা । ভ্রাতৃদ্বয় খ্যাতনামা পণ্ডিত ছিলেন ; কনিষ্ঠের বিশেষত্ব ছিল যে, তিনি মনুষ্যের অবয়ব দর্শন করিয়া তাহার ভূত-ভবিষ্যৎ ও বর্তমান কালের সমাক বিবরণ বলিতে পাবিতেন । এই ভ্রাতৃযুগল ত্রিপুরেশ্বরের পুরোহিত এবং সভাপণ্ডিত ছিলেন । বাণেশ্বর ও শুক্রেশ্বর মে ত্রাঙ্গাত্র ভূমি লাভ করিয়াছিলেন, তাহ নিজ লস গ্রাম ঠাকুর বাড়া ও অন্যান্য মেীক্তর অবস্থিত এবং “বাণেশ্বর চক্রবীর ছেগ৷” নামে পরিচিত ছিল । বাণেশ্বর জ্যেষ্ঠ বিধায় সম্ভবতঃ তাহার নামেই সম্পত্তির সনন্দ-পত্র সম্পাদিত হইয়া থাকিবে, শুক্রেশ্বরও জোষ্ঠের সহিত তাহাতে অধিকারী ছিলেন। এতদুভয়ের বংশ বিলুপ্ত হওয়ায়, তাহদের সম্পত্তি দৌহিত্র বংশের হস্তগত হয়। এই ত্রহ্মোত্রের সনন্দ বিনষ্ট হওয়ার দরুণ বৃটিশ শাসনের প্রারস্তে তাহা বাজেয়াপ্ত হইয় করদ ভূমিতে পরিণত হইয়াছে। তৎপরেও এই সম্পত্তি কিয়ৎকাল পণ্ডিতদ্বয়ের দৌহিত্র বংশের হাতেই ছিল, কালক্রমে তাহা হস্তান্তরিত হইয়াছে। এই বিবরণ সংগ্রহকারী >> পণ্ডিত দ্বয়ের প্রকৃত vifat 3 ব্রহ্মোত্র ভূমির दिरा **