পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর ] ধ্যমণি 〉ミ9 মন্দিরের পুর্বল দিকে একটা দীর্ঘিকা আছে, এই দীঘি বহু প্রাচীন হইলেও ইহার গৰ্ব অস্থাপি আবর্জনা বিবৰ্জিঞ্জত এবং জল অতি পরিষ্কার । এই সরোবর মহারাজ কল্যাণমাণিক্যের শাসনকালে খনিত,—উহার নাম ‘কল্যাণ সাগর’ । এই সরোবর ১২৪ গজ দীর্ঘ, প্রস্থের পরিমাণ ১৬০ গজ । কিঞ্চিদধিক এক দ্রোণ ভূমি লইয়া ইহা খনিত হইয়াছে । এই সাগরকে বিশ্বকোষ অভিধানে ডিম্বাকৃতি’ লিখিত হইয়াছে ; এই উক্তি নিতান্তই ভ্ৰমাত্মক। এতৎ সম্বন্ধে রাজমালায় লিখিত আছে ;– সেইকালে মহারাজার স্বপনে আদেশ । কালিকা দেবীয়ে স্বপ্ন দেথায় বিশেষ ॥ আমি সেবা কষ্ট হয় জলের কারণে । জলাশয় দে ও রাজা আমি সন্নিধানে ॥ রাত্রিকালে মহারাজা দেখয়ে স্বপন । প্রভাতে কহিছে রাজা স্বপ্নের কথন । ব্রাহ্মণ পণ্ডিত স্বপ্ন ব্যাখ্যান করিল। সিদ্ধাস্ত বাগীশ আদি যত দ্বিজ ছিল । হরিষ ষ্টই য়ু নৃপ কহে সেইক্ষণ । পুস্কণী খনিতে আজ্ঞা কালীর সদন ॥ বাস্তপূজা পৰে পুস্কণীর আরম্ভন । উদয়পুর কালি কবি সমীপে তখন । জলাশয় উৎস গিল বিধান তৎপর । পুস্বর্ণীর নাম রাখে ‘ কল্যাণ সাগর ॥” কল্যাণ মাণিক্য খণ্ড । আমরা চতুৰ্দ্দিক বেড়াইয়া দেব লয এবং দেবীর অর্চনা দশন কবিলাম । 각 1 BB BBBB B BBSBB BBB BBB BBBS BBBB BBS BBBSBBBB নিমিত্ত পূর্বোক্ত সরোবরের গরে উপস্থিত হইলাম। দেবালযর পূজা মহাশয় কতক আতপ গুল ও কতিপয় মাংস খণ্ড লই । আমাদের অগ্রগামী হইয়াছিলেন, তাহ ঘটের সন্নিহিত জলের ভি ছড়াইয়া দিলেন । দীঘির জল এত স্বচ্ছ যে, আমরা ঘাটের সম্মুখে দাড়াইয়া অনেক দু বৰ্ত্তী স্থানের জলের নিম্নস্থ মৃত্তিক পৰ্য্যন্ত 3. তে ছিলাম। পূজারী ঠাকুর "আয় আয়” বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে ডাক দেওয়া মাত্র :: ছোট বড় নানা জাতীয় মৎস্ত ছুটিয়া আসিয়া ঘাটের নিকটবৰ্ত্তী স্থান হাঁ কেলিল তন্মধ্যে বৃহদাকাবের কয়েকটা শাল মৎস্যের কথা উল্লেখযোগ্য। কিয়ৎকাল পরে দূর হইতে জল আলোড়িত করির বিরট আকারের একটা প্রাণী আমাদের নিকটবৰ্ত্তী হইতেছে, দেখাগেল। দেবালয়ের একটা ভূত্য (টলুয়া ) እፄ