পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতাল ও কাকচাদের বিবরণ কাতাল ও কাকর্চাদের সহিত ত্রিপুর-পুরাবৃত্ত্বের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে। এই টীকার ১৮৫ পৃষ্ঠায় ইহাদের নামৃোল্লেখ করা হইয়াছে মাত্র। এস্থলে তাহদের স্থূল বিবরণ প্রদান কৰা যাইতেছে । ইহার দুই সহোদর ছিলেন ; কাতাল জ্যেষ্ঠ ও কাকচাদ কনিষ্ঠ । ইহাদের বাড়ী ছিল ত্রিপুররাজ্যের অন্তনিলিস্ট কৈলাসহরে । কাতালের বিস্তর নগদ সম্পত্তি ছিল এবং ককচদ ছিলেন গোলাভ বা শস্য-সম্পদের অধিকারী । 輸 উভয়ের মধ্যে আকৃত্রিম ভ্রাতৃভাব থাকিলেও তাতাদের কোদল-প্রিয়া সহধৰ্ম্মিনীগণের মধ্যে সেই পবিত্র ভরের এক স্তষ্ট আভাল ছিল । এতদুভয়ের প্রতিনিয়ত কলহ হেতু ভ্রাতৃদ্বয় স্বাস্তন্ত্র অবলম্বন এবং বিভিন্ন বাড়ীতে বাস করিতে বাধ্য হন; কিন্তু দরুণ তাহদের মধ্যে পূর্ণভাবের বিন্দুমাত্র ও বৈমক্ষণ্য ঘটে নাই । একদা স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র কার্য্য প্যপদেশে কা তাল ও কাকচাঁদ দীর্ঘকালের নিমিত্ত প্রবাস যাত্রা কবিলেন। উভয়ে ই পরিবারবর্গ বাড়ীতে বহিয়াছিল । এই সময় দেশে এমন ভীষণ দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইল যে, রাশি রাশি অর্থ দিয়া ও একমুঃি আহাৰ্য্যশস্ত পাওয়া যাইতেছিল না । હાફ দৃঘটনায় সহস্ৰ সত্ৰ লোক অনাহারে মৃত্যুমুখে পতিত হইল । প্রাণের মমতায় পতি পত্নীকে এবং জননী সন্তামকে পরিত্যাগ করিতেও কুষ্ঠিত হইল না। যাহার গৃহে সামান্য পরিমাণ শস্তছিল, দস্ত্য ও তস্করের দেীরাত্মো সেও সম্বলবিহীন চইয়। আনহাবে দিন যাপন করিতে বাধ্য হইল । অনেকে প্রাণের দায়ে দেশ পরিত্যাগ কৰিল । সমগ্রদেশ ভীষণ শ্মশানে পরিণত হইল । o এই ভীষণ দুদিনে, কাতালের ভাণ্ডারে বিপুল অর্থ সঞ্চিত থাকা সত্বেও তাহার স্ত্রীপুত্ৰগণ অনশনে ব্যাকুল হইয়া উঠিল। কাঠালের স্ত্রী প্রাণান্তকারী বিপদ হইতে পরিত্রাণের আশায় কাকচাদের স্ত্রীর শরণাপন্ন হইলেন, এবং ইচ্ছামত মূল্য नरेश शन প্রদানপূর্বক জীবন রক্ষা করিয়ার নিমিত্ত তাহাকে तिखुब्र অনুরোধ করিলেন। কিন্তু ত্রুরস্বভাবী কাকচাদ-পত্নীর কঠিন হৃদয় কিছুতেই প্রব হইল না । এহেন দারুণ বিপদকালে কাতালের স্ত্রীকে ধান্তদানে সাহায্য করা দুরের কথা—ঠাহাকে কর্কশ ভাষায় বলিয়া দিলেন—“তুমি যেই টাকার গর্বে ধরাকে সরা বলিয়া মনে কর, এখন সেই টাকা গিলিয়াই জীবম রক্ষা কর গিয়ে। আমার স্থায়