২১০ השי ब्रांछाभांशी [ ॐ षष গরীবের সাহায্য লইয়া কেন আত্মমৰ্য্যাদা ক্ষুন্ন করবে। কাকচাদের স্ত্রীর পূর্বাপর একই কথা। কাতাল-গৃহিণীর ব্যাকুল রোদনে, বালক বালিকাগণে ক্ষুৎপীড়িত সজল নয়ন ও শীর্ণ দেহ দর্শনেও তাহার পাষণ হৃদয়ে করু।ার সঞ্চার হইল না। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে এক মুঃি ধান্য প্রদান করিতেও তিনি সম্মত হইলেন না । কোথাও শস্ত নাই,—কাহারও সাহায্য লাভের আশা নাই। সকলেই . আত্মজীবন লইয়া ব্যস্ত ও বিপন্ন, কে কাহাকে এ বিপদে সাহায্য করিবে ? কাতলের স্ত্রী কোন উপায়েই শস্য সংগ্ৰহ করিতে পারিলেন না।আপোগণ্ড সন্ত'নগুলি অনাহারে অশেষ যাতনা ভোগ করিয়া, তাহার চক্ষের উপর একে একে কালের করাল গ্রাসে नैौडङ ३३ल পরিশেষে তাহার শোকতাপ জর্জরিত দেহও সন্তানগণের পাশ্বের্ণ চিরনিদ্রিত হইল । কাতালৈর সমৃদ্ধিশালী সুখের সংসার জনশূন্য হইল, অগণিত অর্থ, তাহার পরিবার বর্গকে রক্ষা করিতে পারিল না। এই হৃদয় বিদরক দুর্ঘটনার কিয়দিবস পরে কাতল দেশে ফিরিলেন ; তিনি সমস্ত অবস্থা জানিয়া, শোকে, ক্ষোভে ম্ৰিয়মান হইলেন। এত কল ষে বিপুল অর্থের অধীশ্বর বলিয়। গৌরব করিতেন, সেই সম্পত্তি, প্রিয় পরিবার-বর্গকে রক্ষা করিতে সমর্থ হইল না দেখিয়া, তাহার হৃদয়ে যে দারুণ শোকানল প্রজ্বলিত হইয়ছিল, তাহা একান্তই অসহনীয় হইয়া উঠিল । কাতাল, বাড়ীর সম্মুখে এক বিস্তীর্ণ দীর্ঘিকা খনন করাইয়াছিলেন, আসার ধনসম্পত্তি সেই সরোবরে নিক্ষেপ করিয়া, নিজেও তাহার গর্ভে নিমজ্জিত হইলেন ; কাতালের সমস্ত জ্বালার অবসান झङेल । ইবার অল্পকাল পরে কাকচাঁদ বাড়ী আসিয়া, অগ্রজের ও তাহার সপ্তান সস্তুতিগণের শোচনীয় মৃত্যুর ঘটনা অবগত হইলেন। র্তাগর ভ্রাতৃ-বৎসল-হৃদয় একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িল। নিৰ্ম্মম গৃহিণীষ্ট এই দারুণ অনর্থের মূল, একথা ভাবিতে র্তাহার জীবনের প্রতি—সংসারের প্রতি—পাপের জীবন্তমূৰ্ত্তি সহধৰ্ম্মিনীর প্রতি, ঘোর বিরাগ জন্মিল। গোলাস্থিত শস্তরাশিকে তিনি ভ্ৰাতৃ বিয়োগের মুলীকৃত কারণ বলিয়।মনে করিলেন। ভ্রাতৃ-শোকোত্মত্ত কড়চাঁদ সাত পাঁচ ভাবিয়া অগ্রজের পথ অনুসরণের জন্ম কৃতসঙ্কল্প হইলেন। তাহারও একটা দীঘি ছিল ; তিনি গোল ভাঙ্গিয় শস্তরাপি সেই সরোবরে নিক্ষেপ করিলেন ; এবং পরিবারবর্গের সকলকে একখান নৌকার , গুড়ার সহিত দৃঢ়ভাবে বন্ধন করিয়া, নিজে তাহাতে আরোহণ করিলেন। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে নৌকাখানা সরোবরের মধ্যভাগে নিয়া, কুঠার দ্বারা তাহার তলা ভাঙ্গিয়া ।