পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** ९२8 রাজমাল। ] stאי মৰ্ম্ম ;–“ভূতানুকম্পার্থ আমি একাই বাস্থদেব রূপে অবতীর্ণ হইয়াছি, অপর ব্যক্তি হয় নাই ; অতএব তুমি মিথ্যা ৰামদেব নাম পরিভ্যাগ কর । ছে সাত্বত ! তুমি মুঢ়ত্ব, প্রযুক্ত আমার চিহ্নসকল ধারণ করিয়াছ, সে সকল পরিত্যাগ পূর্বক আসিয়া আমার শরণাগত হও, নতুবা আসিয়া আমার সহিত যুদ্ধ কর।” পিপীলিকার পক্ষোদগমের চরম ফলের স্যায় মৃত্যুর নিমিত্তই মদমত্ত পৌণ্ডকের এবম্বিধ ধৰ্ম্ম বিগর্হিত কর্য্যে প্রবৃত্তি জন্মিয়াছিল। পরিশেষে শ্ৰীকৃষ্ণের অস্ত্রমুখে, তাহার জীবনের সহিত দেবত্ব লাভের দুরাকাঙক্ষ নির্বাপিত হয় । হরিবংশ, বিষ্ণুপুরাণ ও ব্রহ্মপুরাণেও ইহার বিবরণ বর্ণিত হইয়াছে । ভগদত্ত ও শ্রীকৃষ্ণের বিদ্বেষী ছিলেন, কিন্তু তিনি স্বয়ং দেৰত বলিয়৷ ঘোষণা করেন নাই। এই সকল বিষয় আলোচনা করিলে বুঝা যায়, শৈৱধৰ্ম্ম প্রভান্বিত পূর্বভারত, প্রথমতঃ শ্ৰীকৃষ্ণকে স্বীকার করিতে কুষ্টিত ছিলেন, পরবর্তী কালে উত্তরোত্তর সেই অঞ্চলে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । এস্থলে আর একটা আশ্চর্যজনক সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হইতেছে, বেণ ও ত্রিপুর যেরূপ পাপাচারী ছিলেন, বেণের পুত্র পৃথু এবং ত্রিপুরের পুত্র ত্রিলোচন তেমনি ধাৰ্ম্মিক, প্রজারঞ্জক এবং সংজ্ঞানাম্বিত হইবার প্রমাণ পাওয়া বাইতেছে। দুঃখের দাবদাহনাস্তে সুশীতল শান্তিবারি সিঞ্চন, ষে বিধির বিধান – যাহার প্রসাদে নিবিড় অন্ধকারের আড়ালে শান্তিময় স্নিগ্ধজ্যোতিঃ বিদ্যমান-পাপের ভাণ্ডবভিনযের পরে পুণ্যের পবিত্র জ্যোতির স্করণ, সেই করুণাময়েরই ৰিচিত্র বিধান । বিষ্ণু সংক্রমণে শ্ৰাদ্ধ। ত্ৰিলোচন খণ্ডে, মহারাজ ত্রপুরের ধৰ্ম্ম কাৰ্য্যামুষ্ঠান বিষয়ক আলোচন৷ স্থলে লিখিত আছে ;– $. “বিষু:সংক্রমণেশপতৃলোক শ্ৰাদ্ধ করে। बांक्रर१ अब्रानि नॉन थां८ठ त्रिब्रखरब्र ॥* রাজমালা-৩০ পৃষ্ঠ । এই ‘বিষু সংক্রমণ ও বিষুব সংক্রান্তি একই কথা। শাস্ত্রে পাওয়াখায়, যে সময়ে দিনমান ও রাত্রিমান সমান হয়, অর্থাৎ চৈত্রমাসের শেষদিনে ধৰম সূৰ্য্য মীন রাশি অতিক্রম করিয়া মেষ রাশিতে, এবং আশ্বিন মাসের শেষ দিনে যে সময়