णश्छ ] মধ্যমণি o &৩৫ লাভ এলং দেবতাগণের সহি ত লী কালাপ করিবার অধিকারী ছিলেন। রাজমালা রচয়িতার এই উক্তি আপন উপ্তাবিত নহে—ইহা শাস্ত্রসম্মত কথা । মগুৰি নীরদ দেবলোকে গমন করিতেন, দেবতাগণের সঠিত কথাবাৰ্ত্ত বলিতেন, অনেক সময় অনেক সংবাদ প্রদান দ্বারা দেবতাদিগকে তুট বা রুষ্ট করিতেন, এরূপ উক্তি অনেক শাস্ত্র গ্রন্থেই পাওয়া যায়। কেবল নারদ কেন—সেকালে সকল মহাপুরুষের নিমিত্তই দেবলোকের দ্বার অবারিত ছিল, একথার দৃষ্টাস্কেরও অসম্ভব নাই। দে লার্চন কালে দেবতার দর্শনলাভ ও বর প্রার্থনার কথাও শাস্ত্রগ্রন্থসমূহে অনেক আছে। পরবর্তী কালে, ধৰ্ম্ম-ভাবের শৈথিল্যের সঙ্গে সঙ্গে দেবতার দর্শনলভ মানব সমাজের পক্ষে অসম্ভব হইয়াছে । উদ্ধৃত বাক্যে পাওয়া যায়, রাজাকে দ্বারে রাখিয়া, চন্তাই বিষ্ণুর মন্দিরে প্রবেশ কবিয়াছিলেন । স্কন্দ পুরাণে বিষ্ণু খণ্ডের ২৩শ অধ্যায়ে ঠিক এভদমুরূপ বর্ণনা পাওয়া যাইতেছে । তাহতে লিখিত আছে, তপোধন নারদ মহারাজ ইন্দ্ৰদ্যুম্নকে লইয়া ব্ৰহ্মার সহ ত সাক্ষাৎ করিতে গিী ছিলেন, তিনি রাজাকে দ্বারে রাখিয়া ব্রহ্মার আলয়ে প্রবেশ করেন। কলিযুগে দেবতার দর্শনলাভ হইবে না, মহাদেবের এই বাক্য রাজমালায় লিখিত হইয়াছে। স্কন্দপুরাণে ইহার অনুরূপ বাক্য পাওয়া যায় । পুরুষোত্তম ক্ষেত্রে বালুকরোশি দ্বারা দেবতাগণ বিকল ইন্দ্রিয় হইয়া ভগবানের দর্শনলাভের নিমিত্ত স্তব করায়, প্রত্যাদেশ হইয়াছিল,— "অশরীর তদাবাণী পুনঃ প্রাচুর্বত্ববহ ॥১৭ অত্রাধে ভোঃ মুর ত্বং কওঁ,মৰ্থত মা বৃথা। অস্ত প্রভৃতি দেবস্ত দর্শনং স্থলভং ভুবি ॥ ১৮ তত্ৰ স্থানেই পিতং নত্ব তদৰ্শন ফলং লম্ভেং । স্বায়ুবোছন্তিকং গত্বা হেতুং জ্ঞান্তৰ নিশ্চিতম্। ১৯ श्नाभूत्रt१-विषूंश्७, २६ षः । মৰ্ম্ম –সন্থল আকাশবাণী হইল, ভগবান পুনরাবির্ভূত হইবেন। ছে” স্বয়গণ, এজন্তু আর বৃথা যত্ন করিও না। অদ্যাবধি পৃথিবীতে তগৰদৰ্শন দুর্লভ হইল। এই ক্ষেত্রে উহাকে প্রণাম করিলে, তাহার দর্শনের ফল প্রাপ্ত হইবে। এই ঘটার কারণ ব্ৰহ্মার নিকট ঘাইয়া নিশ্চিতরূপে জ্ঞাত হও। . এই সকল উক্তি দ্বারা অনেকে, ধৰ্ম্ম-জগতের ইতিহাসে তিনটা যুগের কল্পনা করিয়া থাকেন। প্রথমমুগ-অন্ধকার মিশ্র আলোকের যুগ, এই সময় মনুষ্যগণ দেবতার দেখা পায়, উহাদের সঙ্গে কথা বলে। ইহাকে বলা হয়, অক্তি
পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৯৫
অবয়ব