পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जाच्न] মধ্যমণি २¢१ আট মাস যুদ্ধের পর, থানাংচি প্রদেশ, শ্বেতহস্তী সহ পুনৰ্ব্বার ত্রিপুর, রাজের হস্তগত হইয়াছিল। দ্বারিকা;–( ৭পৃঃ—৯পংক্তি )। দ্বারিক। গুজরাটের অন্তর্গত কাঠিয়াবাড়ের মধ্যে একটী বন্দর, এই স্থান বরোদার গাইকোয়ারের অধীন । ইহা হিন্দুর তীর্থভূমি বলিয়া প্রসিদ্ধ এবং বরোদ হইতে পশ্চিমদিকে ১৩৫ ক্রোশ দূরে অবস্থিত। • এইস্থানের দ্বারক নাগের মন্দির বিশেষ প্রসিদ্ধ দেবালয় । এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিগ্রহ ‘রণছোড়ঙ্গা পূজকগণ কর্তৃক অপহৃত ওঁ অন্যত্র প্রতিষ্ঠিত হইবার পর, দ্বিতীয় বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাহাও উপরিউক্ত রূপে অপহৃত হইবার পর, বৰ্ত্তমান দেবমূৰ্ত্তি স্থাপন করা হইয়াছে। * এই স্থানে শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী ছিল। ইহার অপর নাম কুশস্থলা । শ্রীকৃষ্ণুের জরাপাট স্থাপনের পূর্ব হইতেই এই স্থান শৰ্থ বলিয়। পবিকীৰ্ত্তিত ছিল, এখন ৪ ইহা একটী প্রধান তীর্থভূমি বলিয়া পরিগণিত | প্রতি বৎসর বহু যাত্রা পুণ্য কামনায় এইস্থানে গমন করিয়া থাকে । Q ধৰ্ম্মনগর –(৬২পূঃ-৮ পক্তি। এই স্থান, কৈলাসহবের পূর্ব পর্ষস্থ উনকোটা পৰ্ব্বতের পূর্বপ্রান্তে, জুড়ি নদীব তবে অবস্থিত। ইহার নামান্তর ফটিকউলি বা ফটিকুলি । প্রথমতঃ মগরাজ প্রতীত, তৎপর মহারাজ ডাঙ্গর ফা এই স্থানে বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন ; মহারাজ বিজয় মাণিক্য সেই বাড়ীতে কিয়ওকাল অবস্থান করিবার প্রমাণ পাওয়া যায়। বিজয় মাণিক্যের অভিযান বর্ণন উপলক্ষে রাজমালা বলেন ;– "লংলাদেশ হইয়া ধৰ্ম্মনগর মোহসে । হরগৌরী পূজিল কামনা বিশেষে । ডাঙ্গরফার পুরী মধ্যে ছিল কতদিন । নারেঙ্গ কমলা বাগ দেখিল প্রবীন ॥* O বিজয় মাণিক্য খও । भइोझोछ ਚਿੜ ফা সপ্তদশ পুত্রকে রাজ্য ভাগ করিয়া দিবার, কালে এক , পুত্রকে এই স্থান প্রদান করিয়াছিলেন । রাজমালায় লিখিত আছে ;—“আর পুত্র ধৰ্ম্মনগরেতে রাজা ছিল ” এই পুত্রের নাম রাজমালায় লিখিত নাই, স্বতরাং বর্তমান কালে নাম নিৰ্দ্ধারণ করা দুঃসাধ্য হইয়াছে। ধৰ্ম্মনগর বর্তমানকালে ত্রিপুর রাজ্যের একটা বিভাগরূপে পরিগণিত হইয়াছে। এইস্থানে বিভাগীয় আফিস দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত, থান, বনকর আফিস, ডাকঘর, স্কুল ও ডাক্তারখানা ইত্যাদি সংস্থাপিত আছে। এ, বি, রেল পথের