পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लहग्न ] মধ্যমণি متناظ २७¢ বা মিতাই’ বলে ৷ ‘ ভারত যুদ্ধে উপস্থিত রাজগণের মধ্যে মেখলী রাজার নাম পাওয়া যায়, যথা ;— “প্রাগজ্যোতিষাদমু নৃপ: কৌশলোহথ বৃহদ্বল । মেৰুলৈ; কুরুবিন্দে চ ত্রিপুরৈশ্চ সমন্বিত: ।” এখানকার রাজবংশ বক্রবাহনের বংশধর বলিয়া পরিচিত। এই প্রদেশের লোক সাধারণতঃ বলিষ্ঠ, সাহসী ও যোদ্ধ। মণিপুরীগণেব স্বতন্ত্র একটা ভাষা আছে, এবং এই ভাষায় অনেক উৎকৃষ্ট উপাখ্যান রচিত হইয়াছে। মণিপুরে অনেক বিষয়ে বিশেষত্ব দেখিতে পাওয়া যায় । এই রাজ্যের পাৰ্ব্বত্য অরণ্যে উৎকৃষ্ট টাটু ঘোড়া (Pony) পাওয়া যায়। এখানকার গে, মহিষ ও কুকুর অন্য দেশীর তত্তং জাতীয় প্রাণী হইতে স্বতন্ত্র রকমের । 釁 মণিপুরীগণ বৈষ্ণব ধৰ্ম্মাবলম্বী। এতদ্দেশীয় নরনারী সকলেই সঙ্গীত নিপুণ । মণিপুরী মহিলাগণের রাস-লীলাব অভিনয় বিশেষ উল্লেখযোগ্য । ইহাদের শিল্পকার্ঘ্যে অসাধারণ নৈপুণ্য পরিলক্ষিত হইয় থাকে"। মেহেরকুল ;–(৫৬ পৃ;–২ পংক্তি )। আধুনিক কুমিল্লা ও তৎসন্নিহিত স্থান সমূহ লইয়া একটা স্বতন্ত্র রাজী প্রতিষ্ঠিত ছিল, এই রাজ্যের রাজধানী সম্ভবতঃ কমলাঙ্ক নগবে ( কুমিল্লায় ) প্রতিষ্ঠিত ছিল । চীন পরিব্রাজক হিয়োন সঙ, সমতট (বঙ্গ ) রাজ্যের পূর্বদক্ষিণ ভাগে কমলাঙ্ক নগর অবস্থিত দেখিয়াছিলেন ; ইহা সাগর তীরবর্তী দেশ বলিয়। বর্ণন করিয়াছেন। সস্তবত: দাশরাজগণ কর্তৃক এই রাজ্য শাসিত হইতেছিল, এবং ‘মেহেরকুল' রাজ্য নামে অভিহিত হইত। ময়নামতীর গানে পাওয়া যায়, কুমিল্লার পশ্চিম দিকস্থ পাটিকা ( পাটিকার ) নগরে থাকিয় ময়নামতী মেহেরকুলের রাক্তার প্রতি শাসনবাক্যে বলিয়ছিলেন ;— "ক্ষেণেক রহ বমুমতী ক্ষেণেক রহ তুমি । মেহেরকুলের রাজাকে প্রত্যক্ষ দেখাই আমি ॥” কিয়ৎকালের নিমিত্ত পাটিকার ও মেহেরকুল উভয় প্রদেশই ময়নামতীর পিতা তিলকচন্দ্রের হস্তগত হইয়াছিল, পরে তাহার দৌহিত্র (ময়নামতীর পুত্র ) গোবিন্দচন্দ্র তাৰ উত্তরাধিকারী সূত্রে লাভ করেন । ময়নামতীর গানে এতদ্বিষয়ক বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যাইবে । হুেংখুম ফা (কীৰ্ত্তিধর) ত্রিপুরার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত থাকা কালে, মেহেরকুল বঙ্গরাজ্যের অধীন ছিল এবং ইরাবস্ত নামক একজন চৌধুরী কর্তৃক এই রাজ্য শাসিত হইত। মহারাজ কীৰ্ত্তিধর গৌড়ের সহিত সংগ্রাম করিয়া মেহেরকুলসহ, মেঘনা নদীর তীরবতী প্রদেশ স্বীয় রাজ্যভুক্ত করিয়াছিলেন। কালক্রমে উক্ত