ধাওল শত সঙ্গিনী সাথে কিশোরী কেশবরঙ্গিণী,
বরেখা ঋতু আগতে যথা মক্তযুথে মাতঙ্গিনী
ঘন হাহাকারে পূরে আকাশ, অনল জিনিয়া সঘন শ্বাস,
বুঝি বা বিশ্ব হয় বিনাশ, ত্রাস সরোজ-প্রাণে। ৮॥
(কীর্ত্তনভাঙ্গা সুর)
সখি কাজ কি আর গৃহ-বাসে; গ্রহবশে যদি হারালাম সেই পীতবাসে।
খোল্ খোল্ সখি কবরী-বন্ধন, খুলেছে গোপীর প্রেমে বন্ধন,
ও বেণীবন্ধন যার নিবন্ধন, ব্রজের জীবনধন জগত-সূদন
সে যদুনন্দন বিনা বৃন্দাবন (বুঝি) নিরানন্দ-নীরে ভাসে॥
মুছি আঁখি জল, চল্ সখি চল্, দেখিগে গোকুল-চাঁদে,
হেরিব না আর, হেরি একবার দুনয়নে মন সাধে,
ও সেই নয়ন চাঁদে (হেরি) দুনয়নে মন সাধে;—
চল ধরিগে শ্রীপদে,—
ও সেই বিপদবন্ধু প্রেমসিন্ধুর ধরিগে শ্রীপদে;—
(করি) আঁখিনীরে প্রক্ষালন, কেশেতে মুছায়ে চরণ,
(আমরা) জানাব হৃদয়ের বেদন,
(কর্বো) অভয় পদে এই নিবেদন,
ক’বো কাঁদিয়ে কাঁদিয়ে,—
নিদয় হ’ওনা, যেওনা প্রাণ-বঁধু, ক’বো কাঁদিয়ে কাঁদিয়ে,
(আজ) রাখ রাখ প্রাণ প্রাণনাথ, ক’বো কাঁদিয়ে কাঁদিয়ে
জন্মের মত শ্রীপাদপদ্ম ধর্বো হৃদিপদ্মে;—