শুন হে দনুজরাজ সরোজের নিবেদন,
অসি-মুণ্ড-বরাভয় চতুভূজে সুশোভন,
(মায়ের) চরণে কৈবল্যধাম, (কালী) কৈবল্যদায়িনী নাম
(হবে) এ রণে মরণে জয়, ভয় কর কিসে। ১৪॥
(জয়জয়ন্তী, খেম্টা)
নাচিছে রক্ত খেয়ে, পড়েছে বক্ত্র বেয়ে,
কালী সে শক্ত মেয়ে, কাল-ভুজঙ্গিনী।—
কাল-ভুজঙ্গিনী, ডাকিনী-সঙ্গিনী, কে রণ-রঙ্গিণী, শ্যামা উলঙ্গিনী।
(করে) সমরে ছুটাছুটি, ঈশানের বুকে উঠি
পাষাণের পাগল বেটী, শ্মশান-চারিণী
(আর) রণে নাই নিস্তার, বদন বিস্তার,
গ্রাসিছে বিস্তর, কৃপাণ-হস্তিনী;—
(ওই) এল রে ধেয়ে ধেয়ে, বরাভয় করে লয়ে,
সরোজ সদয় হয়ে, দে মা চরণ-দুখানি। ১৫॥
(জংলা আলেয়া, খয়রা)
ঝন্ ঝন্ ঝনা বাজিছে বাজনা, নগনা শ্যামা রঙ্গে নাচে।
হাসিছে নাশিছে, গ্রাসিছে ত্রাসিছে, ভাসিছে রণ-তরঙ্গ মাঝে; ঝন্।
ঘন-ঘটা-ছটা ঘোর গরজে, পাড়িছে প্রলয় দনুজ-সমাজে,
শয়িত শম্ভু চরণাম্বুজে, রুধির-ধারা শ্রীঅঙ্গে সাজে; ঝন্॥
বিস্ময়-ভয়ে বিশ্ব চকিত, সুরাসুরনর সবে শঙ্কিত,
অধীরা ধরণী রুধিরাঙ্কিত, এস মা সরোজ-হৃদয় মাঝে; ঝন্। ১৬॥