সে যে মহাশক্তি-মায়ের শক্ত ছেলে আমি,
মায়ের কোল-ছাড়া কে করে আমারে॥
সর্ব্বৌষধের মূল আমার মায়ের পদরজঃ,
(তুমি) বিষয়-মদে মত্ত, সে তত্ত্ব কি বোঝো রে ভাই;—
(বল) বৈদ্যের কিবা হাত, স্বয়ং বৈদ্যনাথ
মায়ের চরণতলে প’ড়ে শবাকারে॥
(তোমার) বক্ষে নাই দয়া চক্ষে নাই চর্ম্ম
তুমি কি বুঝিবে আমার মায়ের মর্ম্ম,
(কর) বিপদে ভর্ৎসনা, এই কি তোমার কর্ম্ম
আমার মর্ম্মকথা শুন কই রে;—
অদ্য বা শতাব্দে যা হ’বে নিশ্চয়,
সে মরণে আমার আছে কিবা ভয়, রে ভাই;—
আমি মায়ের ছেলে, ইহ-পরকালে,
মা আমায় বাঁচা’বে, তুমি যা ও ফিরে। ২১॥
(বিভাস, ঢিমে তেতালা, মধুকানের সুর)
(আমায়) সাধে কি লোক পাগল বলে।
মা আমার পাগলের জায়া, (আমি) পাগলিনীর পাগল ছেলে।
সিদ্ধিতে পাগল পিতা, স্বয়ং সিদ্ধেশ্বরী মাতা,
(আর) কি ক’বো পাগলের কথা, (প’ড়ে) পিতা মায়ের চরণতলে॥
জনমিয়ে যে অবধি দেখ্লাম মায়ের মুখ,
সে দিন অবধি পাগল, (আমার) নাই আর দুখ সুখ;
(সদাই) মা আমায় আনন্দে নাচায়, কভু মারে কভু বাঁচায়,
(আমার) জীবন মরণ মায়ের ইচ্ছায়, (একবার) পাগল ব’লে ছোঁয়