(ভৈরব, একতালা।)
ও বেটি, তুই ত বড় মজার মেয়ে;—
(ভাল) কেড়ে নিলি ভুজো ভোগা দিয়ে।
(একটা) কায়া দিয়ে এনে এ মায়া-বাজারে, জায়া-সুত-ধনে ভুলাইয়ে,
(আমার) সাধনের ধন, ও রাঙ্গা চরণ, কোথা নিলি বল্ লুকাইয়ে॥
(এখন) ভাব-অন্ধকারে একা পেয়ে মোরে,
পাঁচ্টা ভূতে নিলে নাগাল পেয়ে;—
(করে) ছয়টা বাঘে তাড়া, প্রাণটা খাঁচা-ছাড়া,
প্রাণ বাঁচা মা শ্যামা সাড়া দিয়ে॥
কয়েছিলি কত ক’রে নলপাত, মায়ের মতই বটে কোলে ল’য়ে;—
(তবে) নিদানে সরোজে, কি দোষে মা তেজে,
রৈলি চক্ষুকর্ণের মাথা খেয়ে। ২৩॥
(খাম্বাজ একতালা)
(তারা) মরণে আমার কি ভয় বল;
তুই যদি মা বাম, বাঁচিয়ে কি কাম,
(ভবে) আসা চাইতে আমার যাওয়াই ভাল
যার জননী তারা, মৃত্যুঞ্জয়-দারা,
মৃত্যু হবে তার, হাস্বে বসুন্ধরা,
লোকে বল্বে তারা, তিন কাল ক’রে সারা,
(এখন) কলিকালে কালী মৃত-বৎসা হ’লো॥
শাস্ত্রে আছে যুক্তি, তোর নামে মা মুক্তি,
(সে যে) মহাকালের উক্তি, কালের কি তায় শক্তি,