পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उानि-लील bሙዓ ব্যাসপুজা প্রভাতে শ্ৰীবাসপণ্ডিতের ভ্রাতা রামাই পণ্ডিত দেখিলেন, দণ্ড ও কমণ্ডলু ভগ্নাবস্থায় পতিত রহিয়াছে। নিত্যানন্দের বাহ (*) নাই, আপনার মনে হাসিতেছেন। রামাই পণ্ডিত এই বৃত্তান্ত শ্ৰীবাসপণ্ডিকে বিদিত করিলেন। শ্ৰীবাসপণ্ডিত দেখিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গকে এই সংবাদ জানাইলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ আসিয়া ঐ ভাঙ্গা দণ্ড ও কমণ্ডলু স্বহস্তে তুলিয়া লইয়া নিত্যানন্দকে সঙ্গে কবিয়া গঙ্গায় স্নান করিতে গেলেন। শ্ৰীবাসাদি ভক্তগণ র্তাহাদের সহিত মান করিতে গেলেন। প্ৰভু যাইয়া গঙ্গাজলে ঐ ভাঙ্গা দণ্ড ও কমণ্ডুলু জলে ভাসাইয়া দিলেন। নিত্যানন্দ স্নান করিতে নামিয়া অতিশয় চাঞ্চল্য প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন । কখন সাতার দেন, কখন কুস্তিরাদি জলজন্তু দেখিয়া ধরিতে যান, কখন হুঙ্কার করেন, কেহ নিবারণ করিলে শুনেন না, কেবল শ্ৰীগৗরাঙ্গের কথায় কিছু স্থির হন। নিত্যানন্দের চাঞ্চল্য দেখিয়া প্ৰভু বলিলেন, “শ্ৰীপাদ, উঠ, ব্যাসপূজা করিতে হইবে, সত্বর আইসি।” প্ৰভুর কথা শুনিয়া নিতানন্দ জল হইতে উঠিলেন। সকলে মিলিয়া গৃহে আগমন করিলেন । এই সময়ে অপরাপর ভক্তগণ আসিয়া সমবেত হইলেন। ব্যাসপূজা আরম্ভ হইল। শ্ৰীবাসপণ্ডিত ব্যাসপূজার আচাৰ্য্য হইলেন। ভক্তগণ মধুর মধুর কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। নিতানন্দ নিজের ভাবেই বিভোর। শ্ৰীবাসপণ্ডিত মন্ত্র বলিতে বলেন, কে শুনে, কে বা মন্ত্র পাঠ করে । নিত্যানন্দ অনন্যমনে হাসিতেছেন, ধীরে ধীরে কি বলিতেছেন, শুনাও যায় না। শ্ৰীবাসপণ্ডিত নিজেই কোন মতে প্রারব্ধ ব্যাসপূজন সমাধা করিয়া শাস্ত্ৰবিধি অনুসারে মালা লইয়া নিত্যানন্দের হস্তে দিয়া বলিলেন, “শ্ৰীপাদ, মন্ত্র পাঠ করিয়া এই মালা ব্যাসদেবকে অৰ্পণ করুন।” কে কাহার কথা শুনে, নিত্যানন্দ মালা হাতে লইয়া এদিক ওদিক তাকাইতে লাগিলেন। উদারমতি শ্ৰীবাসপণ্ডিত শ্ৰীগৌরাঙ্গকে বলিলেন, “তোমার শ্ৰীপাদ ত কোন কথাই শুনেন না।” শ্ৰীবাসপণ্ডিতের কথা শুনিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গ নিত্যানন্দের নিকটে গিয়া বলিলেন, “নিত্যানন্দ, কথা শুন, সত্বর মালা দিয়া ব্যাসপূজা সমাপন কর।” নিত্যানন্দ করস্থিত মালা সম্মুখস্থ শ্ৰীগৌরাঙ্গের গলায় পরাইয়া দিলেন। তিনি শ্ৰীগৌরাঙ্গের গলায় মালা অৰ্পণ করিয়াই দেখিলেন, বিশ্বম্ভর শঙ্খ, চক্ৰ, গদা, পদ্ম, হল ও মুষল ধারণ পূর্বক (२) दूलालश्ांटिनिवल ।