পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उांति-नीला > o○ এই প্রকারে যখন নিত্যানন্দ ও হরিদাস প্রভুর আদেশ অনুসারে প্রতিদিন নদীয়ার গৃহে গৃহে যাইয়া শ্ৰীকৃষ্ণনাম প্রচার করিতেছিলেন, সেই সময়ে নদীয়ার কোতোয়াল জগাই ও মধাই নামক দুইটি ব্ৰাহ্মণতনয় নদীয়ানগরে একপ্রকার কৰ্ত্ত হইয়া উঠিয়াছিল। উহারা অর্থ দ্বারা তখনকার বাঙ্গালার রাজা হোসেন সাহের দৌহিত্র চাঁদ কাজীকে বশীভূত করিয়া নদীয়ায় যথেচ্ছাচার করিত। উহাদিগের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম জ্ঞান ছিল না। ; সদাই সুরাপানে উন্মত্ত হইয়া থাকিত এবং কথায় কথায় লোকের প্রতি যথেষ্ট অত্যাচার করিত। ঐ দুই ভ্ৰাতার অধীনে অনেক অস্ত্ৰধারী প্রহরী থাকায় কেহই উহাদিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতাচরণে সাহস করিত না । একদিন নিত্যানন্দ হরিদাসের সহিত প্রচার কাৰ্য্যে বহির্গত হইয়া পথিমধ্যে কিছুদূরে দস্যপ্রায় ঐ দুই দুৰ্দ্ধান্ত পুরুষকে সন্দর্শন করিলেন। নিকটবৰ্ত্তী পথিক সকল নিত্যানন্দ ও হরিদাসকে, সম্মুখবৰ্ত্তী দাসু্যদ্বয়কে দেখাইয়া, উহাদিগের নিকট গমন করিতে নিষেধ করিলেন । বলিলেন, “সম্মুখে ঐ যে দুইটি প্ৰকাণ্ডকায় দামু্যপ্ৰায় ব্যক্তি দেখিতেছে, উহারা অতীব দুৰ্দান্ত। উহাদিগের নিকট কাহারও পরিত্রাণ নাই। তোমরা সন্ন্যাসী হইলেও উহাদিগের নিকট সদ্ব্যবহারের আশা করিতে পার না। ঐ জগাই মাধাইয়ের অসাধ্য কৰ্ম্ম কিছুই নাই। উহারা ব্ৰাহ্মণসন্তান হইয়াও মদ্যমাংসাদি সকল অখাদ্য ভোজন করিয়া থাকে। সংসারে যত কিছু পাপকৰ্ম্ম আছে, উহারা সকলই করিয়াছে। অতএব ঐ দুবৃত্ত দুরাচার জগাই ও মধাইয়ের নিকট গমন করা কখনই যুক্তিসিদ্ধ হইতে পারে না। উহারা পথের পথিককে ধরিয়া তাহার প্রতি অত্যাচার, অসদ্ব্যবহার DBBBD DBD DD DS S DDBB DBuLLB DBDBDBBg BDDBDuD DBDB উহাদিগকে পরিত্যাগ করিয়াছে। এরূপ অবস্থায় তোমাদিগের কৃষ্ণনাম কোন কাৰ্য্যকারক হইবে না ; সুতরাং ঐ দুরাচারদ্বয়কে পরিত্যাগ করিয়া তোমরা অন্যত্র গমন কর।” লোকমুখে এইরূপ বৃত্তান্ত অবগত হইয়া, প্ৰতিনিবৃত্ত হওয়া দূরে থাকুক, দয়ালু নিত্যানন্দের পাপিন্ধয়কে উদ্ধার করিবার বাসনাই অধিক হইল। না হইবে কেন, পাপীর উদ্ধারের নিমিত্তই শ্ৰীগৌরাঙ্গের অবতার, পাপীর উদ্ধারার্থই নিত্যানন্দের নামপ্রচার। পাপীর পরিত্রাণের নিমিত্তই তিনি শ্ৰীগৌরাঙ্গের আদেশে নামপ্রচারে নিযুক্ত হইয়াছেন। যদি পাপীর উদ্ধারসাধনই না হইল, তবে আর এই অবতারের বা নামপ্রচারের সার্থকতা কোথায় রহিল ? ফলতঃ এইরূপ চিন্তা করিয়া, নিত্যানন্দ হরিদাসকে বলিলেন,