পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSe শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর শুক্লাম্বরের তাম্বুল ভোজন একদিবস শ্ৰীগৌরাঙ্গ ভক্তগণের সহিত সঙ্কীৰ্ত্তনে নৃত্য করিতেছিলেন, এমন সময়ে শুক্লাম্বর ব্ৰহ্মচারী ভিক্ষা করিতে করিতে ভিক্ষার ঝুলি স্কন্ধে লইয়া ঐ স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি একজন কৃষ্ণভক্ত ভিক্ষুক ব্ৰাহ্মণ । শ্ৰীগৌরাঙ্গ তঁহাকে বিশেষ ভালবাসিতেন। শুক্লােঙ্গর ব্ৰহ্মচারী আসিয়া সঙ্কীৰ্ত্তনকারী ভক্তবর্গের সহিত নৃত্য করিতে লাগিলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ তঁহাকে নৃত্য করিতে দেখিয়া সন্তোষের সহিত বলিলেন, “ব্রহ্মচারিন, তুমি আজ আমাকে তোমার ভিক্ষালব্ধ বস্তু অৰ্পণ কর।” ব্ৰহ্মচারী শুনিয়া অতীব বিস্ময়াবিষ্ট হইলেন । শ্ৰীগৌরাঙ্গ স্বয়ং তঁহার বুলি হইতে মুষ্টি মুষ্টি তণ্ডুলি লইয়া ভোজন করিতে লাগিলেন। ভক্তগণ প্রভুর কারুণ্য দেখিয়া আনন্দে রোদন করিতে লাগিলেন । তখন শুক্লাম্বর বলিলেন, “প্রভো, এই নিকৃষ্ট তণ্ডুলকণা কি আপনার ভোজনযোগ্য ! লোকে কত কতৃ সুমধুর দ্রব্য আপনাকে অৰ্পণ করিয়া থাকে।” প্ৰভু বলিলেন, ‘ভক্তের তণ্ডুলকণাও অভিক্তের অমৃত অপেক্ষা স্বাদু।” শুনিয়া শুক্লাম্বর ব্রহ্মচারী আনন্দে বিহবল হইয়া দন্তে তৃণ ধারণ পূর্বক প্রভুকে ভূয়োভূঃ প্ৰণাম করিতে লাগিলেন। প্ৰভু শুক্লাম্বর ব্ৰহ্মচারীকে প্ৰেমভক্তি প্ৰদান করিয়া কৃতাৰ্থ করিলেন। তদর্শনে চতুর্দিক হইতে 'হরি হরি’ ধ্বনি উত্থিত হইতে লাগিল । न्नकिङिछत्ताज्ञ শ্ৰীগৌরাঙ্গ গৃঢ়ভাবে নদীয়ানগরে সঙ্কীৰ্ত্তনরঙ্গে মত্ত। কখন বা গৃহ হইতে বাহির হইয়া নগরে নগরে কীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন। লোকে তঁহার অপরূপ রূপলাবণ্য দর্শন করিয়া মোহিত হয়েন। পাষণ্ডসকল তঁহার রূপাদির মাধুৰ্য্যে সমাকৃষ্ট হয়েন না বটে, কিন্তু বিদ্যার প্রভাবে বিস্মিত ও ভীত হইয়া দূরে পলায়ন করেন। অধ্যয়ন কেবল ব্যাকরণমাত্র, কিন্তু তঁহার বিদ্যার তুলনায় অপরের বিদ্যা তৃণ হইতেও লঘু হইয়া যায়। ভক্তবৃন্দ তাঁহাকে সকল মাধুৰ্য্যের নিকেতনম্বরূপেই দর্শন করিয়া থাকেন। অভক্তগণ দেখেন, যেন মূৰ্ত্তিমান দম্ভ। সুতরাং পাষণ্ডসকল ঈর্ষান্বিত হইয়া সকলের নিকট প্রচার করিতে লাগিল যে, নিমাই পণ্ডিত রাত্রিকালে সঙ্কীৰ্ত্তনস্থলে গোপনে লোকসমাজের