পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उति-व्ौळल ف( أنمي مخ* s"=سطحمل , می سعیی একটি নিকৃষ্ট সম্প্রদায় নহেন। স্বয়ং ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ যে সম্প্রদায়ের আরাধ্য, তদীয় আবির্ভাব-বিশেষ শ্ৰীগৌরাঙ্গ মহাপ্ৰভু যে সম্প্রদায়ের প্রাণ, অনাদি বেদকল্পতরু এবং নি—অর্থ নিশ্চয় ও নিঃশেষ। যাহা সমীপন্থ পরব্রহ্মের নিশ্চয় দ্বারা নিঃশেষে সংসারের সারত্ববুদ্ধি অবসন্ন অর্থাৎ শিথিল করে, যাহা সৰ্ব্বশক্তিসমন্বিত অদ্বিতীয় পরব্রহ্মকে প্রাপ্ত করায়, যাহা জন্মমৃত্যুর কারণীভুত ও যাহ। . অবিদ্যার বিশারণ অর্থাৎ বিনাশ করে তাঁহাই উপনিষৎ শব্দবাচ্য। ব্রহ্মবিদ্যাই ঐ সকল কাৰ্য সাধন করেন। অতএব ব্রহ্মবিদ্যাই উপনিষৎ শব্দের অর্থ। এস্থলে প্রশ্ন হইতে পারে যে লোকে ব্রহ্মবিদ্যাপ্রতিপাদক গ্ৰন্থকেও উপনিষৎ বলিয়া থাকে ; তাহা কিরূপে সম্ভব হয় ? তাহার উত্তরে বলিতে হয় যে যদ্যপি সংসারের বীজভূত অবিদ্যাদিদোষসমূহের বিশারণ বা বিনাশ ( প্রভৃতি যে সকল অর্থ উপনিষৎ শব্দে উক্ত হইয়াছে, ) শুধু গ্রন্থে সম্ভব হয় না ; পরস্তু ব্ৰহ্মবিদ্যাতেই সম্ভব হয়, তথাপি “বৃতই আয়ু বলিলে যেমন আযুরকারণ বলিয়া ঘূতকেই আয়ু বলা হয় সেইরূপ উপনিষদগ্রন্থ ব্ৰহ্মবিদ্যারবাচক বলিয়া গ্রন্থে বাচ্যৱাচকসম্বন্ধে অভেদকুল OOBBBB DD S DDDBDD BBD E YD প্রয়োগ হইয়া থাকে। উক্ত উপনিষদরূপ ব্ৰহ্মবিদ্যা ব্ৰহ্ম-প্ৰতিপাদিকা ও শ্ৰীভগবৎ-প্রতিপাদিক ভেদে দ্বিবিধ। প্রথমটীর নাম ব্ৰহ্মজ্ঞান ও দ্বিতীয়টির নাম ভগবদ্যুভক্তি । এক অদ্বয় সচ্চিদানন্দ পরব্রহ্ম উপাসকের যোগ্যতানুসারে আবির্ভাবভেদে ব্ৰহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবান এই ত্ৰিবিধ নামে অভিহিত হুইয়া থাকেন। তন্মধ্যে শক্তিবর্গরূপবিশেষণের প্রকাশরহিত সত্তামাত্ৰ নির্বিশেষ আবির্ভাবের নাম ব্ৰহ্ম, মায়াশক্তিপ্রচুরচিচ্ছক্ত্যংশবিশিষ্ট সবিশেষ আবির্ভাবের নাম পরমাত্মা । এবং পরিপূর্ণসৰ্ব্বশক্তিবিশিষ্ট সবিশেষ আবির্ভাবের নাম ভগবান। জ্ঞানযোগী ব্ৰহ্মের, অষ্টাঙ্গযোগী পরমাত্মার এবং ভক্তিযোগী ভগবানের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়া থাকেন। ব্ৰহ্ম, পরমাত্মা, ও ভগবান এই আবির্ভাবত্ৰয়ের মধ্যে শ্ৰীভগবদবির্ভাবেরই পরমোৎকর্ষ । শ্ৰীভগবান স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ । ব্ৰহ্ম, পরমাত্মাদি সমস্তই শ্ৰীকৃষ্ণের বিভূতি বা মহিমা । এক অদ্বয় শ্ৰীকৃষ্ণখ্য পরব্রহ্ম, স্বীয় স্বাভাবিকী অচিন্তাশক্তিদ্বারা সৰ্ব্বদা স্বরূপে, স্বরূপবিভূতিরূপে তটস্থ-বিভূতিরূপে ও মায়াবিভূতিরূপে চতুৰ্দ্ধা বিরাজিত। শ্ৰীকৃষ্ণের শক্তিসকল, স্বরূপতঃ অনন্ত হইলেও তাহ অন্তরঙ্গা, বহিরঙ্গা ও তটস্থ। এই ত্ৰিবিধভাবে বিভক্ত। নিত্যভগবৎসান্মুখ্যবিশিষ্ট ভগবচ্ছক্তির নাম অন্তরঙ্গাশক্তি অথবা শ্ৰীকৃষ্ণের যে শক্তি স্বীয় স্বপ্রকাশতরূপবৃত্তিবিশেষাদ্বারা শ্ৰীভগবৎস্বরূপকে, স্বরূপশক্তিবিলাসদিগকে বা স্বরূপবিলাসৗদিদিগকে প্ৰকাশ করে, তাদৃশ শ্ৰীভগবৎস্বরূপনিষ্ঠ সচ্চিদানন্দরূপসমর্থ্যবিশেষেরই নাম অন্তরঙ্গাশক্তি বা স্বরূপশক্তি। কখন ও ভগবৎসান্মুখবিশিষ্ট কখনও ভগবদবৈমুখ্যবিশিষ্ট ভগবচ্ছক্তির নাম তটস্থা বা জীবাশক্তি। আর শ্ৰীকৃষ্ণের যে শক্তি ঐ ভগবদবিমুখ তটস্থাশক্তির বৈমুখ্যরূপছিদ্রের আশ্রয়ে থাকিয়া উহার স্বরূপজ্ঞান আবরণ ও অম্বরূপদেহাদিতে আবেশ উৎপাদন করে তাহার নাম বহিরঙ্গা বা মায়াশক্তি । শ্ৰীকৃষ্ণ স্বীয় এই ত্ৰিবিধশক্তির মধ্যে অন্তরঙ্গাশক্তিদ্বারা তুরীয়ম্বরূপে বা ত্রিপাদবিভূতিরূপে, বহিরঙ্গাশক্তির দ্বারা একপাদবিভূতি বা জড়বিভূতিরূপে এবং তটস্থাশক্তি দ্বারা জীববিভুতিরূপে নিত্য বিরাজিত। সকল্যে পরিপূর্ণ সর্বশক্তিবিশিষ্ট স্বয়ং ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ । ঐ সশক্তিকপরব্রহ্ম স্বীয় শক্তিমত্তাপ্রাধান্যে, কৃষ্ণ, বিষ্ণু