পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর হইতে র্যাহার আবির্ভাব, শুক-নারদ-সনক-সনাতনাদি পরমহংস সকল যে সম্প্রদায়ের প্ৰবৰ্ত্তক, ব্ৰহ্ম-শিব-ধ্রুব-প্ৰহলাদাদি র্যাহার পথদর্শক এবং জগৎপূজ্য r m سسامس الة ܡ-ܒܫܒܩܝ ܒܒ .m ܡ ܒ■ ܡܣܩܝ - ܚܒܝܒܝ প্রভৃতি সংজ্ঞায়, ও শক্তিপ্রাধান্তে রাধা, লক্ষ্মী প্ৰভৃতি সংজ্ঞায় অভিহিত হয়েন । জীব সকল স্বরূপতঃ সচ্চিদানন্দস্বরূপ হইয়াও স্বীয় অণুত্বনিবন্ধন, অনাদি বিভু পীরতত্ত্ববিষয়ক অজ্ঞানবশতঃ পরীতত্ত্ব হইতে বিমুখ থাকেন। জীবাত্মার ভগবদবৈমুখ্য অনাদি । ভগবদবিষয়িনী অজ্ঞতাই জীবাত্মার ভগবদবৈমুখ্য। ঐ বৈমুখাই জীবের অনার্থের ছিদ্র । ভগবানের মায়াশক্তি জীবাত্মার ঐ ভগবদবৈমুখ্য সহ্য করিতে না পারিয়া, তাহার স্বরূপভূতজ্ঞান আবরণপূর্বক অস্বরূপ দেহাদিতে আবেশ উৎপাদন করে। ঐ মায়াশক্তিই অবিদ্যা বা অজ্ঞান, তৎকৃত আবরণ দিই জীবাত্মার বন্ধন। রাজস্তমপ্ৰধান বন্ধানজনিক মায়াবৃত্তির নাম অবিদ্যা । অবিদ্যার আবার দুইটী বৃত্তি ; একটীির নাম আবরিকা, অপরটীর নাম বিক্ষেপিকা । তন্মধ্যে আবরি কাবৃত্তি জীবমায়ার অন্তৰ্গত এবং বিক্ষেপিকাবৃত্তি গুণমায়ার অন্তৰ্গত। আবরিকবৃত্তির দ্বারা জীবের স্বৰূপবরণ ও বিক্ষেপিকাবৃত্তির দ্বারা গুণাভিনিবেশকাৰ্য্য, সম্পাদিত হইয়া থাকে। কারণরূপী জীবমায়া জগতের উপাদান এবং কাৰ্য্যকাপা গুণমায়াই বিচিত্র জগৎ | জীবের উপাধিত্ৰেয় গুণমায়ারই পরিণাম । সত্ত্বগুণ।প্ৰধান উপাধির নাম কারণ শরীর । রজোগুণ প্ৰধান উপাধির নাম সুক্ষ্মশরীর এবং তমোগুণপ্রধান উপাধির নাম স্থূলশরীর। কারণশরীর সত্ত্বগুণপ্রধান বলিয়া সুষুপ্তিকালে আনন্দপ্রদ। সুন্মশরীর সুজোগুণ প্রধান ও জীবাত্মার ভোগোপযোগী কৰ্ম্মের সাধন বলিয়া দুঃখজনক এবং স্কুলশারীর তমোগুণপ্রধান বলিয়া মোহজনক। উক্ত শরীরত্ৰয়ই জীবের সংসারবন্ধন । পরব্রহ্মের শরণাগত না হইয়া, তাহার কৃপায় আত্ম-সমৰ্পণ না করিয়া সংসারবন্ধন হইতে মুক্ত হওয়া যায় না । জীবাত্মা চিন্ময়, শরীরবীপ উপাধি জড়। যদ্যপি চিন্ময় জীবাত্মার জড়রূপউপাধিদ্বারা বন্ধন যখার্থ নহে, তথাপি বিনা সাধনে উহার নিবৃত্তি হয় না। ঐ সাধন আবার উপদেশসাপেক্ষ । অজ্ঞজীব সর্বজ্ঞপরমেশ্বরের উপদেশ ব্যতিরেকে প্রত্যক্ষ ও অনুমান দ্বারা প্ৰকৃত ইষ্ট ও অনিষ্ট পরিজ্ঞাত হইতে পারেন না । জীব স্বীয় প্রত্যক্ষও অনুমান দ্বারা যখন লৌকিক ইষ্টানিষ্ট সকল সময়ে অবধারণ করিতে পারেন না, তখন অলৌকিক ইষ্টানিষ্ট যে তদ্বারা অবধারিত হইতে পারে না। তাহ বলা বাহুল্য। এই নিমিত্তই সৰ্ব্বজ্ঞ পরমেশ্বর অজ্ঞ-জীবের প্রতি করুণা করিয়া লৌকিক ও অলৌকিক সৰ্ব্বজ্ঞানের নিদানভুত বেদশাস্ত্র উপদেশ করিয়াছেন। ঐ বেদশাস্ত্র ব্ৰহ্মাদিঋষিপরম্পরায় জগতে প্ৰকাশ পাইয়াছেন। উপদিষ্ট বেদ ও আবার যুগপৎ সর্বাংশে গ্ৰহণযোগ্য নহে, পরস্তু অধিকারানুযায়ী ক্রমব্রীতিতে, অর্থাৎ প্রবল ভোগ তৃষ্ণার অবস্থায় সকাম কৰ্ম্মপ্রতিপাদক বেদ, ক্ষয়িষ্ণুভোগে বিতৃষ্ণ জন্মিলে নিষ্কাম কৰ্ম্মপ্ৰতিপাদক বেদ, ঈশ্বরাপিত নিষ্কাম কৰ্ম্ম দ্বারা চিত্তশুদ্ধি জন্মিলে জ্ঞানপ্রতিপাদক বেদ,• এবং তদনুশীলনদ্বারা মোক্ষেচ্ছার ও ধিনিবৃত্তিতে জ্ঞানবিশেষকপভক্তিপ্রতিপাদক বেদ, স্ব স্ব অধিকার অনুসারে গ্রহণযোগ্য । অনধিকৃতবিষয়ে কাহারও অগ্রসর হওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। উক্ত গৌড়ীয়বৈষ্ণবসম্প্রদায় উপনিষৎ কাণ্ড বা জ্ঞানকাণ্ড প্রতিপাদ্য জ্ঞানবিশেষরূপভক্তির সম্প্রদায় । তাহা যে উপনিষৎপ্ৰতিপাদ্য তদ্বিষয়ে ‘’ প্ৰমাণস্বরূপ কতিপয় শ্রুতিবাক্য প্ৰদৰ্শিত হইল। “শ্রদ্ধাভক্তিধ্যানযোগাদিবেহি