পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSS 0 শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর নিবৃত্তি হইয়াছে। আজি তোমার মায়াবন্ধনও ছিন্ন হইল ; আজি তোমার সত্ত্ববৃত্তিরও নিবৃত্তি হইয়াছে। তোমার মন ভুক্তিমুক্তিস্পৃহাশূন্য হইয়া পবিত্র হইয়াছে। আজি তোমার মন কৃষ্ণপ্ৰাপ্তির যোগ্য হইল। আজি তুমি কৰ্ম্মকাণ্ড উল্লঙ্ঘন করিয়া ভক্ত্যঙ্গ যাজন করিলে। আজি তুমি বেদধৰ্ম্ম(১) লঙ্ঘন করিয়া মহাপ্ৰসাদ ভক্ষণ করিলে।” “যেষাং স এব। ভগবান। দয়য়েন্দনন্তঃ সৰ্বাত্মনাশ্রিতপদো যদি নির্ব্যলীকম। তে দুস্তরামিতিতরান্তি চ দেবমায়াং নৈষাং মমাহমিতি ধীঃ শ্বশৃগালভক্ষ্যে ॥” ভ্যা ২।৭।।৪১ “সেই অনন্ত ভগবান র্যাহাদিগকে দয়া করেন, তাহারা যদি সৰ্বতোভাবে অকপটে তঁহার চরণতরি আশ্রয় করেন, তবে দুস্তর মায়াসাগর পার হইতে ও অনন্তরূপে তাহার তত্ত্বও বিদিত হইতে পারেন ৷ আর তঁহাদিগের শৃগালকুকুরের ভক্ষ্য এই পাঞ্চভৌতিক দেহে অহংমমতা বুদ্ধিও থাকে না।” এই পৰ্য্যন্ত বলিয়াই প্ৰভু বাসায় চলিয়া গেলেন। তদবধি সার্বভৌমেরও সকল অভিমান বিগত হইল। তিনি শ্ৰীগৌরাঙ্গের চরণে একান্ত অনুরক্ত হইলেন । আর ভক্তি ভিন্ন অন্যরূপ শাস্ত্রার্থ করেন না । গোপীনাথাচাৰ্য্য সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্যের অদ্ভুত বৈষ্ণবতা দেখিয়া আনন্দে নৃত্য করিতে লাগিলেন। একদিন ভট্টাচাৰ্য্য প্ৰাতঃকালে জগন্নাথদর্শনের পূর্বেই প্ৰভুকে দর্শন করিতে গেলেন। তিনি প্ৰভুকে দেখিয়া দণ্ডব্যুৎ প্ৰণাম ও বহু স্তবস্তুতি করিলেন। পরে প্রভুর মুখে ভক্তিপথের শ্রেষ্ঠ সাধন শ্রবণের অভিপ্ৰায় নিবেদন করিলেন। প্ৰভু “হিরোনাম হরেনাম হরেনামৈব কেবলম। কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা ॥” বৃহন্নারদীয়ে ॥৩৮৷৷১২৬ এই শ্লোকটি পাঠ করিয়া ব্যাখ্যা করিলেন। প্ৰভু বলিলেন,-“কলিকালে নামরূপেই কৃষ্ণের অবতার। ঐ নাম হইতেই সর্বজগতের নিস্তার হয়। উহার দৃঢ়তার জন্যই তিনবার ‘হিরে নাম” বলা হইয়াছে। জড়বুদ্ধি লোকসকলকে বুঝাইবার জন্য পুনশ্চ ‘এব’ শব্দ প্রয়োগ করা হইয়াছে। তাহাতে অতিশয় (১) বেদশব্দ এস্থলে কৰ্ম্মকাণ্ড এবং বেদের কৰ্ম্মকাণ্ডোক্তধৰ্ম্ম এস্থলে বেদধৰ্ম্ম । অন্যথা ভক্তি gष 6वक्ष उशब्र शनि स्त्र ।