Sፃ e শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর করিলেন। পুরী গোঁসাই প্ৰভুকে আলিঙ্গন প্ৰদান করিলেন। উভয়ের কৃষ্ণকথারঙ্গে তিন দিন কাটিয়া গেল। তদনন্তর পুরীগোসাঁই উত্তরমুখ হইয়া বঙ্গদেশে গমন করিলেন। প্ৰভু দক্ষিণদিকে সেতুবন্ধের অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। প্ৰভু ঋষভ পৰ্বত ত্যাগ করিয়া প্রথমতঃ শ্ৰীশৈলে গমন করিলেন। শ্ৰীশৈল মলয়পৰ্ব্বতের বা পশ্চিম ঘাটের অংশ। তৎকালে হরপার্বতী বিপ্ৰবেশে শ্ৰীশৈলে অবস্থিতি করিতেছিলেন। তাহারা প্ৰভুকে তিনদিন পৰ্য্যন্ত ভিক্ষা করাইলেন। প্রভুর সহিত র্তাহাদিগের নিভৃতে অনেক কথোপকথন হইল। পরে প্রভু তাহাদিগের নিকট হইতে বিদায় লইয়া কামকোষ্ঠীতে আগমন করিলেন। কামকোষ্ঠী হইতে দক্ষিণ মথুরায় আগমন করিলেন। বর্তমান মদুরাই দক্ষিণ মথুৱা। দক্ষিণ মথুরায় এক রামভক্ত বিপ্রের সহিত প্রভুর সাক্ষাৎ হইল। ঐ বিপ্ৰ বিশেষ যত্ন সহকারে প্রভুকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। প্ৰভু ক্লতমালা নদীতে স্নান ও তত্ৰত্য মীনাক্ষী নামী দেবীকে দর্শন করিয়া ভিক্ষার্থ উক্ত বিপ্রের গৃহে উপস্থিত হইলেন। বিপ্ৰ প্ৰভুকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছেন, কিন্তু পাকাদির আয়োজন করেন নাই। তদর্শনে "প্ৰভু বলিলেন, ‘বিপ্ৰ, মধ্যাহ্ন হইল, এখনও পাক করিতেছি না কেন ?” বিপ্ৰ বলিলেন, “আমার অরণ্যে বাস, সম্প্রতি পাকের সামগ্ৰী মিলে না, লক্ষ্মণ বন্য শাকাদি আনয়নার্থ গমন করিয়াছেন, তিনি আসিলে সীতাঠাকুরাণী পাক করিবেন।” প্ৰভু বিপ্রের উপাসনার ভাব বুঝিয়া সন্তুষ্ট হইলেন। ব্ৰাহ্মণও বাহাদশা প্ৰাপ্ত হইয়া সত্বর পাকের আয়োজন পূর্বক তৃতীয় প্রহরে প্রভুকে ভিক্ষা করাইলেন। কিন্তু স্বয়ং ভোজন না করিয়া উপবাসী রহিলেন। প্ৰভু তাহাকে উপবাসী থাকিতে দেখিয়া উহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। বিপ্ৰ, বলিলেন, “আমার এই জীবনের প্ৰয়োজন নাই, অগ্নিতে বা জলে দেহত্যাগ করিব। জগন্মাতা সীতাঠাকুরাণীকে রাক্ষসাধম রাবণ স্পর্শ করিয়াছে। হায় ! এই দুঃখ আমার অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে।” প্ৰভু বিপ্রের কাতরতা দেখিয়া বলিলেন, “বিপ্ৰ তুমি অনৰ্থক শোক করিও না। স্বয়ং লক্ষ্মী , সীতাঠাকুরাণী চিদানন্দময়ী। তঁহাকে কি কখন রাক্ষসে স্পর্শ করিতে পারে ? স্পর্শ করা, দূরের কথা, দর্শনই করিতে পারে না। তবে যে সীতাদেবীর হরণবৃত্তান্ত শ্রবণ করা যায়, সে প্ৰকৃত সীতাদেবীর হরণ নহে, পরন্তু মায়াসীতারই হরণ জানিবে (১)।” প্রভুর বাক্যে বিপ্রের বিশ্বাস • : (১) “রাবণো ভিক্ষুরূপেণ আগমিষ্যতি তেহস্তিকম। ত্বস্তু ছায়াং ত্বদাকারাং স্থাপয়িত্বোটিজে বিশ ৷
