পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अलि–ीव्ला እጝ জগন্নাথ মিশ্র বিবাহের পর একবারের অধিক স্বদেশে গমন করেন নাই, তীর্থবাসোদেশে শ্ৰীধাম নবদ্বীপের অন্তৰ্গত মায়াপুরে বাস করিয়াছিলেন। জগন্নাথ মিশ্র ও শচীদেবী উভয়েই ভগদ্ভক্তিপরায়ণ ছিলেন। তঁহারা স্ত্রীপুরুষে সর্বদা পরমেশ্বরচিন্তাতেই রত থাকিতেন । শ্ৰীগৌরাঙ্গ শ্ৰীশচীদেবীর দশম গর্ভের সন্তান। শচীদেবী উপযুপরি আটটি কন্যা প্রসব করেন। উহঁরা সকলেই অকালে কালকবলিত হয়েন। উহাদিগের মৃত্যুতে অনপত্যতা নিবন্ধন মিশ্রপুরন্দর অতিশয় দুঃখিত হইয়া পুত্ৰলাভার্থ শ্ৰীমন্নারায়ণের আরাধনা করেন। তঁহার প্ৰসাদে জগন্নাথ মিশ্রের একটি পুত্ৰ জন্মে। ঐ পুত্রের নাম ‘বিশ্বরূপ” । বিশ্বরূপ শ্ৰীবলদেবেরই প্ৰকাশ। এই বিশ্বরূপই শ্ৰীগৌরাঙ্গের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। ইহার পরই শ্ৰীগৌরাঙ্গের জন্ম হয়। জগন্নাথ মিশ্র বিশ্বরূপকে লইয়াই একবার শ্ৰীহট্টে গমন করেন। শচী দেবী ও সঙ্গেই ছিলেন। স্বীয় জননীকে পুত্র দর্শন করানই মিশ্রের এই স্বদেশীযাত্রার મૂ; উদ্দেশ্য । • শচীদৈবী যখন শ্ৰীহট্টে, সেই সময়েই মিশ্ৰজননী একটি স্বপ্ন দর্শন করেন । শচীদেবীর গর্ভে শ্ৰীগৌরসুন্দর জন্মগ্রহণ করিবেন, ইহাই ঐ স্বপ্ন। ঐ স্বপ্ন দর্শনকারিয়া মিশ্রজননী শচীদেবীকে বলেন, “তুমি এইবার যে পুত্র প্রসব করিবে, তাহাকে আমায় দেখাইও ।” তিনি নবদ্বীপ প্রত্যাগমনসময়ে নিজ পুত্রবধূকে এই কথা আবার বিশেষ করিয়া স্মরণ করাইয়া দেন। কথিত আছে, শ্ৰীগৌরসুন্দর যে একবার শ্ৰীহট্টে গমন করেন, এই ঘটনাটি তাহার একটি প্ৰধান কারণ } সঙ্কীৰ্ত্তন উদয় বৃন্দাবনচন্দ্ৰ কি আনন্দ নন্দেপুরে, পুরবাসী যত, প্রেমৃে পুলকিত, হরিধ্বনি করে, দেবগণ নৃত্য করে গৌররূপ হেরে। ( ও সেই ) পতিতপাবন, হরি ব্ৰহ্ম সনাতন, এবে ভক্তবাঞ্ছা পুৱাইতে শচীর নন্দন। প্ৰেমানন্দে অদ্বৈত নাচে বাহু তুলে, ব্ৰহ্মার দুলভ ধন অবনীমণ্ডলে । আজি কি আনন্দ নন্দেপুরে। যতেক দেবতাগণ, করিবারে দরশন, ও সেই গৌরচাদে দেখিবারে ধাইল রে । হরিনাম সঙ্কীৰ্ত্তন হয় উচ্চস্বরে ।