পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্য-লীলা ৩২৩ সাৰ্বভৌমের নিমন্ত্রণ গৌড়ের ভক্তগণ গমন করিলে, সার্বতৌম ভট্টাচাৰ্য্য একদিন প্রভুর নিকট আসিয়া বলিলেন, “প্রভো, এতদিন গৌড়ের ভক্তগণ থাকায় আমি প্ৰভুকে ভিক্ষা করাইবার অবসর পাই নাই । সম্প্রতি র্তাহারা গিয়াছেন, আমার অবসর হইয়াছে। এইবার এক মাস আমার গৃঙ্গে ভিক্ষা করিতে হইবে।” প্ৰভু উত্তর করিলেন, “একমাস একস্থানে ভিক্ষা করিলে সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্ম থাকে না।” শেষে কমাইয়া কমাইয়া পাচদিন ভিক্ষায় প্রভুর সম্মতি হইল। ভট্টাচাৰ্য্য প্রভুর অনুমতি পাইয়া গৃহে আসিয়া গৃহিণীকে পাকের আয়োজন করিতে বলিলেন। ভট্টাচাৰ্য্যের গৃহিণী ষাঠীর মাতা পাকাকাৰ্য্যে সুনিপুণ । তিনি পবিত্র হইয়া পাক কৰ্ম্মে 'নিযুক্ত হইলেন ভট্টাচাৰ্য্য স্বয়ং পাকের দ্রব্যাদি আয়োজন করিয়া দিতে লাগিলেন। ভট্টাচাৰ্য্যের পাকুশালার দুই পার্শ্বে দুইখানি গৃহ । উহার একখানি নারায়ণের ও অপরখানি ভট্টাচাৰ্য্য প্রভুর নিমিত্ত নূতন প্ৰস্তুত করাইয়াছেন। যে গৃহখানি প্রভুর ভিক্ষার নিমিত্ত প্ৰস্তুত DBBBDBDDSDBDBD DB DDDDS sBBD S DB EBBDDBBDBB DBDBS S পরিবেশনের নিমিত্ত এবং অপরটি বাহির দিয়া প্ৰভুর গমনাগমনের নিমিত্ত । অট্টাচাৰ্য্য শ্রদ্ধাসহকারে গৌড়ের ও উৎকলের উত্তমোৱম দ্রব্য প্রস্তুত করাইয়া পাকশালা হুইতে প্রভুর ভিক্ষার গৃহে লইয়া সাজাইতে লাগিলেক্ৰম । গৃহপাকদ্রব্যসকল সজ্জিত হইলে, জগন্নাথের মহাপ্ৰসাদ ও উহার সহিত সাজান হইল। এই সময় প্রভুও আসিয়া উপস্থিত হইলেন । ভট্টাচাৰ্য্য প্রভুর পাদপ্ৰক্ষালন করিয়া দিয়া প্ৰভুকে ভোজনগৃহে লইয়া গেলেন। প্ৰভু গৃহমধ্যে প্ৰবিষ্ট হইয়া ভট্টাচাৰ্য্যের আয়োজন দেখিয়া বিস্মিত হইলেন। পরে বলিলেন, “দুই প্ৰহরের মধ্যে এত অল্পব্যঞ্জনাদি কিরূপে পাক করাইলে ? ভোগের উপর তুলসী মজুৱীও দেখিতেছি, কৃষ্ণের ভোগ লাগিয়াছে। ভট্টাচাৰ্য্য পরম ভাগ্যবান, রাধাকৃষ্ণে এই সকল অপূর্ব অনুব্যঞ্জনাদি ভোগ লাগাইয়াছেন।” ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন, “আমার কি শক্তি যে আমি এই সকল অন্নব্যঞ্জনাদি প্ৰস্তুত করি, যাহার ভোগ তাঁহারই শক্তিতে এই সকল অন্নব্যঞ্জনাদি প্ৰস্তুত হইয়াছে। এখন এই আসনে বসিয়া প্ৰভু ভোজন করুন।” প্ৰভু বলিলেন, “ইহা কৃষ্ণের আসন, ইহা উঠাইয়া রাখ, এবং এই কৃষ্ণের প্রসাদ হইতে কিঞ্চিৎ আমাকে দাও, আমি ভোজন করি।” ভট্টাচাৰ্য্য বলিলেন, “অল্প ও আসন উভয়ই কক্ষেত্র