পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शक्षJ-व्ौळल Տ)Փ@ লাইয়া গেল। স্বপ্নদর্শনে সনাতন গোস্বামীরও মনে বৈরাগ্যের সঞ্চার হইয়াছিল। দুই ভাই নির্জনে পরামর্শ করিয়া দৈন্যবিনয়সহকারে মহাপ্ৰভুকে একখানি পত্র লিখিলেন। মহাপ্ৰভু কিন্তু ঐ পত্ৰ পাইয়াও উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় কোনরূপ উত্তর প্রদান করিলেন না। সনাতন গােস্বামী প্রেরিতপত্রের উত্তর না পাইয়া উপযুপরি কয়েকখানি পত্র লিখিলেন। পরিশেষে মহাপ্ৰভু ঐ সকল পত্রের উত্তর স্বরূপ নিম্নলিখিত যোগবশিষ্টের শ্লো ৫টি লিখিয়া প্রেরণ করিলেন । “পরব্যসানিনী নারী বাগ্ৰাপি গৃহকৰ্ম্মসু । তদেবাম্বাদয়তান্তন বসঙ্গরসায়নম ॥” এই ঘটনার অতাল্পকাল পরেই মহাপ্ৰভু সন্ন্যাস করিয়া ’ নীলাচলে গমন করিলেন। সনাতন গোস্বামী লোকমুখে মহাপ্রভুর গতিবিধি শ্রবণ করিতে লাগিলেন। মহা প্ৰভু নীলাচল হইতে দক্ষিণদেশে গমন ও পুনর্ধার নীলাচলে প্ৰত্যাগমন করিলেন, এই সংবাদও হাদিগের অবিদিত রহিল না । পরে যখন মহা প্ৰভু বঙ্গদেশ হইয়া শ্ৰীবৃন্দাবনে গমন করিতেছেন, এই সংবাদ শ্রুতিগোচর হইল, তখন সনাতন গোস্বামী মহাপ্ৰভুব শ্ৰীচরণ দর্শনার্থ বিশেষ উৎকণ্ঠন্বিত হইলেন। ঠিক এই সময়েই মহা প্রভুও রামকেলিতে পদার্পণ করিলেন । • अङ्न नश्डि नाश्ts.कांझ । প্রভুর রামকেলিতে পদাৰ্পণ চাইলে, গৌড়েশ্বরের একজন কোতোয়াল যাইয়া গৌড়েশ্বরকে প্রভুর আগমনবার্তা নিবেদন করিলেন । কোতোয়াল বলিলেন, “রামকেলিতে একটি হিন্দু সন্ন্যাসী আসিয়াছেন, তিনি নিরবধি কীৰ্ত্তন করেন ; তঁহার সঙ্গে অসংখ্য লোক ; ঐ সকল লোক তঁহার অত্যন্ত বাধ্য ; দেখিলে রাজদ্রোহের আশঙ্কা হয়।” গৌড়েশ্বর শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে সন্ন্যাসী কেমন ? তঁ হার আচার ব্যবহারই বা কিরূপ ?” কোতোয়াল উত্তর করি।-- লেন,-“এরূপ অদ্ভুত সন্ন্যাসী আমি আর কখন দেখি নাই। ইহঁর সৌন্দৰ্য্য কন্দৰ্পকেও পরাজয় করিয়াছে। অঙ্গ কান্তি সুবর্ণের সদৃশ উজ্জল। শরীর প্ৰকাণ্ড । ভুজযুগল আঙ্গানুলম্বিত। নাতি সুগভীর। গ্ৰীবা সিংহের তুল্য। স্কন্ধ গজেন্দ্রর স্কন্ধ সদৃশ, নয়নযুগল কমল দলের স্থায় বিশাল। কোটি