পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর बब्लJठीव्न শ্ৰীগৌরাঙ্গ মিশ্ৰগৃহে আবিভূতি হইয়া সমুদিত শশিকলার ন্যায় দিনে দিনে জনকজননীর আনন্দ বৰ্দ্ধন করিয়া বদ্ধিত হইতে লাগিলেন। শচীদেবী ও জগন্নাথ মিশ্র উভয়েই পুত্ৰমুখ নিরীক্ষণ করিয়া অনুক্ষণ আনন্দসাগরে ভাসিতে লাগিলেন । বিশ্বরূপ ভ্রাতাকে দেখিলেই হাসিতে হাসিতে ক্ৰোড়ে লইয়া থাকেন। আত্মীয়বর্গ সময় পাইলেই শ্ৰীগৌরাঙ্গকে দেখিতে আইসেন। প্ৰতিবেশিগণ দিবানিশি বালক শ্ৰীগৌরাঙ্গকে আবরণ করিয়া থাকেন। কেহ বিষ্ণুরক্ষা, কেহ কেহ দেবীরক্ষা পাঠ করেন। কেহ কেহ মন্ত্রপাঠ করিয়া বালকের গৃহরক্ষা করেন। উপস্থিত নরনারীগণ হরিধ্বনি না করিলে, বালকের স্বভাবসুলভ রোদনের নিবৃত্তি হয় না । ক্ৰমে সকলেই এই পরম সঙ্কেত বুঝিতে পারিলেন । তদবধি বালক রোদিনীপরায়ণ হইলেই তঁহার হরিদ্ধবনি করিতে থাকেন। হরিধ্বনি শ্রবণ করিলেই বালকের রোদন নিবৃত্ত হয়। রহস্তপ্রিয় দেবতাসকল কৌতুক দেখিবার নিমিত্ত ছায়ার ন্যায় অলক্ষিতভাবে বালকের বাসগৃহে প্ৰবেশ করেন। তদর্শনে উপস্থিত নরনারীসকল চোর বলিয়া অনুমান করিতে থাকেন। কিন্তু শেষে কাহাকেও না দেখিয়া অতিশয় বিস্ময়াবিষ্ট হয়েন । কেহ সািভয়ে ‘নরসিংহ’। ‘নরসিংহ” ধ্বনি করিতে থাকেন। কেহ অপরাজিতার স্তোত্ৰ পাঠ করিতে প্ৰবৃত্ত হয়েনি। কেহ বা বিবিধ মন্ত্রপাঠ সহকারে দশদিক বন্ধন করেন । জনকজননী গ্ৰহাশঙ্কায় মন্ত্রবিদগণদ্বারা বালকের রক্ষাবিধান করেন। আর দর্শনার্থ সমাগত দেবতারা অলক্ষে আসিয়া হাস্য করিতে থাকেন । এইরূপে একমাস অতিক্রান্ত হইলে শ্ৰীগৌরাঙ্গের অঙ্গপরিবর্তন উপলক্ষে, উৎসবের আয়োজন হইতে লাগিল। নিমন্ত্রিত নারীসকল শচীদেবীর সহিত গঙ্গামানে গমন করিলেন। বাদ্যগীতাদি সহকারে ভাগীরথীর অৰ্চনার পর তাহারা ষষ্ঠীদেবীর স্থানে গমনপূর্বক বিবিধ উপহারে দেবীর পূজা করিলেন। তদনন্তর শচীদেবী খৈ, কলা, তৈল, সিন্দুব, সুপারি ও পান প্রভৃতি মাঙ্গলিক দ্রব্যসামগ্ৰী দ্বারা সমাগত নারীবৃন্দের সম্মাননা করিলেন। তাহারাও বালককে আশীৰ্বাদ করিতে করিতে নিজ নিজ ভবনে প্ৰতিগমন করিলেন । শ্ৰীগৌরাঙ্গ, বালগোপালের ন্যায় গুপ্তভাবে, পিতৃগৃহে থাকিয়া নানাবিধ ক্রীড়া করিতে লাগিলেন। তিনি একদা শয্যা হইতে ভূতলে অবতরণপূর্বক গৃহসামগ্ৰীসকল ফেলিয়া ছড়াইয়া ক্রীড়া করিতে করিতে জননীর আগমন বুঝিতে