পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v988 শ্ৰীশ্ৰীগৌরচন্দর প্ৰভু পথের সকলকেই নাম ও প্রেম দিয়া নিস্তার করিতে করিতে যাইঢ়ে লাগিলেন। @डू बांझे८ड शांक्षेऊ 6ष दन c८श्न, उांशाशे শ্ৰীবৃন্দাবন মনে করেন, যে পৰ্ব্বত দেখেন, তাহাই গিরিগোবৰ্দ্ধন মনে করেন, যে নদী দেখেন, তাহাই যমুনা মনে করেন। বলভদ্র ভট্টাচাৰ্য্য বনের শাক ও ফলমূল পাক করিয়া প্ৰভুকে ভিক্ষা করান। প্ৰভু যে গ্রামে রাত্রিবাস করেন, সেই গ্রামে ব্ৰাহ্মণ থাকিলে, র্তাহারা প্ৰভুকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া বলভদ্র ভট্টাচাৰ্য্য দ্বারা পাক করাইয়া প্ৰভুর সেবা করেন, ব্ৰাহ্মণ না থাকিলে, অপর জাতিরাই বলভদ্র ভট্টাচাৰ্য্য দ্বারা পাক করাইয়া প্রভুর ভিক্ষার সমাধান করিয়া থাকেন। যে দিন পথে কোন লোকালয় না পাওয়া যায়, সে দিন বলভদ্র ভট্টাচাৰ্য্য পূর্বসংগৃহীত অন্নাদি পাক করিয়া বনেই প্ৰভুকে ভিক্ষা করান। বলভদ্র ভট্টাচাৰ্য্যের পাকে ও সেবায় প্ৰভু বিশেষ সুখবোধ করেন। প্ৰভু মধ্যে মধ্যে বলভদ্র ভট্টাচার্কে re ශූyiB হইয়া বলেন, “ভট্ট, আমি পূর্বেও অনেক স্থানে ভ্ৰমণ করিয়াছ, কিন্তু কখনই এবারকার মত সুখ পাই নাই। কৃষ্ণ বড় দয়াল, আমাকে বনপথে আনিয়া বড়ই সুখ দিলেন। তোমার প্রসাদেই আমি ঈদৃশ সুখ পাইলাম।” ভট্টাচাৰ্য্য বলেন, “তুমি স্বয়ং করুণাময় কৃষ্ণ, আমি অধম জীব, আমাকে সঙ্গে আনিয়া কৃতাৰ্থ কবিলে । অধম কাককে গরুড়ের সমান করিলে।” প্ৰভু এই প্রকারে ভীষণ অরণ অতিক্রম করিয়! বারাণসী পামে উপনীত হইলেন। মধ্যাহ্নকালে বারাণসীতে উপস্থিত হইয়া প্ৰভু মণি কণিকায় স্নান করিতে নামিলেন। ঐ সময়ে তপন মিশ্র ও গঙ্গাতে স্নান করিতেছিলেন। তিনি প্রভুর সন্ন্যাসের কথা শুনিয়া'ছলেন। প্ৰভুকে দেখিয়াই চিনিলেন। হৃদয় উৎফুল্প হইল। প্রভুর চরণে ধরিয়া আনন্দে রোদন করিতে লাগিলেন। প্ৰভু তঁহাকে উঠাষ্টয়া আলিঙ্গন প্ৰদান করিলেন। তপন মিশ্র প্রভুকে বিশ্বেশ্বর ও বিন্দুমাধব দর্শন করাইয়া নিজগৃহে লইয়া গেলেন। তিনি প্রভুকে গৃহে পাইয়া পাদপ্ৰক্ষালনানন্তর ঐ পাদোদক সবংশে ধারণ করিলেন। পরে প্রভুকে আসনে উপবেশন করাইয়া আনন্দে নৃত্য করিতে লাগিলেন। অনন্তর বলভদ্র ভট্টাচাৰ্য্য দ্বারা পাক করাইয়া প্ৰভুকে ভিক্ষা করাইলেন। প্ৰভু ভিক্ষার পর শয়ন করিলেন । তপন মিশ্রেীর পুত্র রঘুনাথ ভট্ট প্রভুর পাদ সম্বাহন করিতে লাগিলেন । তপন মিশ্ৰ সবংশে প্রভুর শেষান্ন ভোজন করিলেন। প্রভুর আগমনসমাচার প্রাপ্ত হইয়া চন্দ্ৰশেখর আসিয়া চরণবিন্দনা করিয়ে না। চন্দ্ৰ