VS8 ओओौंत्रीब्रश्न्द्र বলা যায়। বৈকুণ্ঠ ও ব্ৰহ্মাণ্ড সকল তাহার শক্তিকাৰ্য্য। তন্মধ্যে বৈকুণ্ঠ তাহার স্বরূপশক্তির কাৰ্য্য এবং ব্ৰহ্মাণ্ডসকল তাহার জীবাশক্তি ও মায়াশক্তির কাৰ্য্য। স্বরূপ, শক্তি ও শক্তিকাৰ্য্য এই তিনের তিনিই একমাত্র আশ্রয়। শ্ৰীমদ্ভাগবতের দশমাস্কন্ধের টীকার মঙ্গলাচরণে শ্ৰীধর স্বামিপাদ বলিয়াছেন,- “দশমে দশমং লক্ষ্যমাশ্রিতাশ্রয়বিগ্ৰহম। ক্রীড়াদ্যদুকুলাস্তোধেী পরমানন্দমুদীৰ্য্যতে৷” দশমস্কন্ধে শক্তিরূপ ভক্তগণের আশ্ৰয়-স্বরূপ-বিগ্ৰহধারী পরমানন্দময় যদুকুলসাগরে ক্রীড়াপরায়ণ শ্ৰীকৃষ্ণরূপ দশম লক্ষ্যবস্তু বৰ্ণিত হইতেছেন। অতঃপর, শ্ৰীকৃষ্ণের স্বরূপ বিচার করিতেছি, শ্রবণ করা। যিনি ব্ৰজে ব্রজেন্দ্রনন্দন শ্ৰীকৃষ্ণ, তিনিই অদ্বয় জ্ঞানতত্ত্ব। তিনি সকলের আদি, সকলের অংশী। তিনি কিশোরশেখর । তিনি চিদানন্দবিগ্ৰহ, সর্বাশ্রয় ও সৰ্বেশ্বর । ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্ৰহঃ । অনাদিরাদির্গোবিন্দঃ সৰ্বকারণকারণম ॥” ব্ৰহ্মসং ৫!!১ শ্ৰীকষ্ণ পরমেশ্বর অর্থাৎ সর্বশক্তিপরিপূর্ণ, সুন্দর-স্বপ্রকাশ-সুখমুৰ্ত্তি, গোপালনীল, যাদবদিগের অগ্ৰাহ অর্থাৎ দেবতা, ব্ৰজবাসীদিগের গ্ৰাহ অর্থাৎ নিজজন এবং কারণসকলেরও কারণ । “এতে চাংশ্যকলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ম। ইন্দ্রারিব্যাকুলং লোকং মৃড়য়ন্তি যুগে যুগে৷” ভ ১।৩।২৮ ইতিপূর্বে, যে সকল অবতারের নাম কীৰ্ত্তিত হইল, এবং পরেও যে সকল অবতারের নাম কীৰ্ত্তিত হইবে, তঁহাদিগের - কেহ বা পুরুষের অংশ, কেহ বা পুরুষের কলা ; কিন্তু বিংশতিতম অবতারে র্যাহার নামোল্লেখ হইল, সেই কৃষ্ণ ভগবান, পুরুষের অংশ বা কলা নহেন, অংশী। নারায়ণ ও ভগবান, অতএব পুরুষের অংশী, ইহা সত্য, কিন্তু নারায়ণ স্বয়ং ভগবান নহেন ; শ্ৰীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান, অর্থাৎ নারায়ণের ভগবত্তা শ্ৰীকৃষ্ণের ভগবত্ত হইতে সিদ্ধ বলিয়া গৌণ এবং শ্ৰীকৃষ্ণের ভগবত্তা স্বয়ংসিদ্ধ বলিয়া মুখ্য জানিতে হইবে। পূর্বোক্ত অবতােরসকল যুগে যুগে অসুরগণ - কৰ্ত্তক উপদ্রুত লোকসকলকে সুখী कब्रिग्रां थांकन । অদ্বয় জ্ঞানতত্ত্বই শ্ৰীকৃষ্ণের স্বরূপ। অদ্বয়-জ্ঞানতত্ত্ব-স্বরূপ শ্ৰীকৃষ্ণই জ্ঞানীর সম্বন্ধে জীব্যাতিরিক্ত-বিশেষণ-প্ৰকাশ-রহিত শুদ্ধ বিশেষ্যরূপ ব্ৰহ্মস্বরূপে, যোগীর
