পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5-व् 8e Q。 LAeeq qMqqq qqqq qM LqMMLL SASq LqqLMAqL SLLLL SLA ALA LA qLL Lq LALA AAA AAAA AAAALLLA LALAL ALMALA A LA AA qALA qAqALA AL ALA MA LALA MALA LASq A AAALAL ALMLA LALAM MAAA AAAA AAAA MqASMeMSLLALALqL LLLSLLLSMAMSSL AqA AA MAMMALALSLALLSLLM A LALA AAAAA ALLLLLLLLM eAAA AAAA AAAA AAAAALA LALA AMSMMSLLL ব্ৰহ্মা ও শিব সান্নিধ্যমাত্র রজোগুণ ও তমোগুণের পরিচালক হয়েন এবং বিষ্ণু সঙ্কল্পমাত্র সত্ত্বগুণের উপকারক হয়েনি। অতএব বিষ্ণু কোন প্রকারেই সত্ত্বগুণের সহিত যুক্ত হয়েন না। ব্ৰহ্মা । সমষ্টিবিরাড় রূপ কারণ হইতে উৎপন্ন ব্ৰহ্মা, হিরণগৰ্ত্ত ও বৈরাজ ভেদে দ্বিবিধ। তন্মধ্যে যিনি কেবল ব্ৰহ্মলোকের ঐশ্বৰ্য্য উপভোগ করেন, সেই সমষ্টিজীবাত্মক সূক্ষ্মরূপকে হিরণ্যগৰ্ত্ত " বলা হয় ; আর যিনি সৃষ্টিকাৰ্য্যে নিযুক্ত, সেই লোকাজুক স্থূলৰূপের নাম বৈরাজ । সুন্মরূপ মহত্তত্ত্বাত্মকও দেবাদির অগোচর ; স্থূলৰূপ ব্ৰহ্মাণ্ডাত্মক ও দেবাদির গোচর। বিরাট, হিরণ্যগৰ্ত্ত ও কারণ এই তিনটিই উপাধি। স্কুলো পাধির নাম বিরাট । সুক্ষ্মোপাধির নাম হিরণ্যগৰ্ত্ত। আর কারণোপাধির নাম কারণ বা সমষ্টিবিরাট । তদুপহিত চৈতন্যই ব্ৰহ্ম এবং তদন্তৰ্যামী চৈতন্যই দ্বিতীয় পুরুষ। বৈরাজসংজ্ঞক ব্ৰহ্মা, সৃষ্টি ও বেদপ্রচারের নিমিত্ত প্ৰায়ই চতুমুখ, অষ্টনেত্র ও অষ্টবাহু হইয়া অভিব্যক্ত হয়েন । কোন কোন মহাকল্পে জীবও উপাসনাপ্ৰভাবে ব্ৰহ্মা হইয়া থাকেন। আর কোন মহাকল্পে তােদৃশ জীবের অভাব হইলে দ্বিতীয় পুরুষই অংশতঃ ব্ৰহ্মা হইয়া থাকেন। অতএব কালভেদে ব্ৰহ্মার জীবকেলটিত্ব ও ঈশ্বরকোটিত্ব উভয়ই সিদ্ধ হইতেছে। শাস্ত্ৰে ঈশ্বরাবির্ভাব অপেক্ষা করিয়া ব্ৰহ্মা অবতার বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়া থাকেন। কেহ কেহ সমষ্টিরূপ শ্ৰীভগবানের সন্নিকৃষ্টতা হেতু, অর্থাৎ স্বৰ্ষষ্টিকাৰ্য্যে ব্ৰহ্মাকে সমর্থ জানিয়া শ্ৰীভগবান ক্ষীরনীরবৎ তঁহাতে সম্পাক্ত হইয়া অভিন্নরূপে প্ৰতীয়মান হয়েন বলিয়া ব্ৰহ্মাকে অবতার বলেন। কেহ কেহ বা তঁহাকে আবেশাবতারই ধালিয়া থাকেন। শিব। শ্ৰীশিব একাদশবৃহত্মক রুদ্র নামে খ্যাত। ঐ একাদশ বুহি যথা,-অজৈকপাৎ, অহিব্রশ্ন, বিরুপক্ষ, রৈবত, হর, বহুরূপ, ব্ৰ্যম্বক, সাবিত্ৰ, জয়ন্ত, পিনাকী ও অপরাজিত। পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু, আকাশ, সুৰ্য্য, চন্দ্র ও যজমান এই তাহার অষ্ট মূৰ্ত্তি। তাহার দশ বাহু, পঞ্চ বদন এবং প্রত্যেক মুখে তিনটি তিনটি করিয়া নয়ন উক্ত হইয়া থাকে। প্রায়ই ব্ৰহ্মা শিবরূপ ধারণপূর্বক সংহারকাৰ্য্য সাধন করিয়া, থাকেন। কোন কোন কল্পে স্বয়ং বিষ্ণুই শিবরূপ ধারণপূর্বক সংহারকাৰ্য্য সাধন, করিয়া থাকেন। আবার কোন কোন কল্পে তাদৃশ পুণ্যকারী জীবও সংহারকর্তা হয়েন। উক্ত বিবিধ সংহারকীৰ্ত্তাকেই গুণাবতার বলা হয়। কিন্তু যিনি শ্ৰীবৈকুণ্ঠধামের অন্তৰ্গত শিবলোকে সদাশিবারূপে বিরাজিত, তিনি গুণাবতার নহেন ; তিনি নিগুণ এবং শ্ৰীনারায়ণের