পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्-ौक्लं '8)○ Mr. qLALMSLALAqAAMALqMLMeqASLMASLLALSLAeLL EALALMeAAeALALMLMMLMLMLMLMMLMLeSMALMLSLLLLLLLL LLLLLLLLSLLLMLL LeLeLLeLMMeLLALLL "A " YA YA MW WYWAfovo "Mr" MTM MONT-IMI LSqLAM LL LMSLSL LMLTMMALMSLMALLALSLMLLSM ML ALAM AkeLEeLSeLSLLL LLLLL LAkSEE SeLLeLSLLAeeeLeLMLSSLSLLTSAAL পুনশ্চ-ঋগ্বেদে ১০ম মণ্ডলে খিলসুক্তে এই মন্ত্ৰটী পঠিত হয় । “কৃষ্ণ বিষ্ণো হৃষীকেশ বাসুদেব নমোহস্তু তে ।” এই শ্রুতির অর্থ অতিশয় স্পষ্ট। সমস্ত বেদে অর্থাৎ মন্ত্রে, ব্ৰাহ্মণে, আরণ্যকে ও পুরাণেতিহাসে, এইপ্ৰকার শ্ৰীকৃষ্ণের উল্লেখ দেখা যায়। আবার শ্ৰী রাধার সহিত শ্ৰীকৃষ্ণের আবির্ভাবরূপ পরম উৎকর্ষও বেদে উক্ত হইয়া থাকেন। ঋগ্বেদের পরিশিষ্ট খণ্ডে শ্ৰী রাধামাধবের সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। যথা – “রাধয়া মাধবো দেবো মাধবোনৈব রাধিক বিভ্রাজিন্তে জনেঘা” ইত্যাদি। এই শ্রুতির অর্থ অতিশয় স্পষ্ট । শ্ৰীকৃষ্ণ অন্যান্য অবতারের ন্যায় পুরুষের অংশ বা কলা নহেন, পরন্তু তিনি স্বয়ং-ভগবান, এই কথা শ্ৰীমদভাগবতে স্পষ্টতঃ উক্ত হইয়াছে। শাস্ত্ৰে শ্ৰীকৃষ্ণনামের সর্বাপেক্ষা মহিমাতিশয্যকথনদ্বারা এবং তদীয় চরণরেণুর লক্ষ্মীদেবীরও প্রার্থনীয়ত্বকথন দ্বারা শ্ৰীকৃষ্ণের স্বয়ং-ভগবত্ত্ব দৃঢ়ীকৃত হইয়াছে। ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণে উক্ত হইয়াছে,- ‘সহস্রনামাং পুণ্যানাং ত্রিরাবৃত্তা তু যৎ ফলম। একাৰ্বত্তা তু কৃষ্ণস্য নামৈকং তৎ প্ৰযচ্ছতি ||” মহাভারতোক্ত পবিত্ৰ সহস্ৰনাম তিনবার পাঠ করিলে যে ফল লাভ হয়, ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণোক্ত শ্ৰীকৃষ্ণের লীলাঘটিত শতনামের মধ্যে বে। কোন একটি নাম একবার কীৰ্ত্তিত হইয়া সেই সফল প্ৰদান করিয়া থাকেন। স্কন্দপুরাণেও বলিয়াছেন, “যিনি মধুর হইতেও মধুর, যিনি সর্ববিধ মঙ্গলের মঙ্গলদায়ক, যিনি সমস্ত বেদবলীর উপাদেয়। ফল এবং চিদোকস্বরূপ, সেই শ্ৰীকৃষ্ণের নাম শ্ৰদ্ধাসহকারে অথবা অবহেলা পূর্বক একবারমাত্রও পরিকীৰ্ত্তিত হইলে, তৎক্ষণাৎ নরমাত্রকে পরিত্রাণ করিয়া থাকেন ।” “লক্ষ্মীদেবী সর্বদা শ্ৰীবৈকুণ্ঠনাথ নারায়ণের বক্ষঃস্থলস্থিত হইয়াও শ্ৰীকৃষ্ণের স্থল স্পৃহা করিয়া থাকেন।” এইপ্ৰকার শাস্ত্রোক্তিও দেখা যায়। লক্ষ্মীদেবীর শ্ৰীকৃষ্ণস্পৃহা সম্বন্ধে পদ্মপুরাণে একটি উপাখ্যান আছে -“কোন সময়ে লক্ষ্মী শ্ৰীকৃষ্ণের সৌন্দৰ্য্য অবলোকনে তাহাতে লোপুপ হইয়া তপস্যায় প্ৰবৃত্ত হইলে, শ্ৰীকৃষ্ণ তঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার তপস্যার কারণ কি” ? লক্ষ্মী বলিলেন, আমি গোপীরূপ ধারণ করিয়া শ্ৰীবৃন্দাবনে তোমার সহিত বিহার করিতে অভিলাষ করি।” তখন শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন, তাহ অত্যন্ত দুল্লভ।” ইত্যাদি।