পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अति-शैल මé. TTq A LL LLLALALSLA AA SL LS LALA LA ESLSLMLAL q AA LLA q AAAA SASAMA به سبب اقیات متحت سمیه bم মিশ্রের তনয় হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছেন।” অপর সকলেও তাহার বাক্যের অনুমোদনপূর্বক বালক শ্ৰীগৌরাঙ্গকে প্ৰশংসা করিতে লাগিলেন। দিগম্বর শ্ৰীগৌরাঙ্গ জ্যেষ্ঠেয় হস্তধারণপূর্বক গৃহে আগমন করিলেন। এই ঘটনার অত্যািল্লকাল পরেই বিশ্বরূপ গৃহত্যাগ করেন। ঐ সময়ে তাহার বয়স ষোড়শ বৎসর হইয়াছিল। পূর্ব হইতেই বিশ্বরূপের সংসারত্যাগের বাসনা ছিল। তৎকালে জনক জননী তাহার' বিবাহের উদযোগ করিতে লাগিলেন দেখিয়া, তিনি সত্বর গৃহত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন । বিশ্বরূপ শ্ৰীনিত্যানন্দেরই প্ৰকাশমূৰ্ত্তি। শুনা যায়, তিনি দক্ষিণাত্যপ্রদেশ পরিভ্রমণকালে শ্ৰীনিত্যানন্দের কলেবারেই মিলিত হইয়াছিলেন । বিশ্বরূপের সন্ন্যাসাশ্রমের নাম, শ্ৰীশঙ্করারণ্য। বিশ্বরূপ সন্ন্যাসী হইয়া পিতামাতার নয়নের অন্তরালে গমন করিলেন । র্তাহার সন্ন্যাসসংবাদ জনকজননীর শ্রবণগোচর হইলে, তাহারা শোকে অতিশয় বিহবল হইলেন। আত্মীয়স্বজনগণ নানাপ্রকারে তঁহাদিগের সান্ত্ৰনার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । পুত্ৰশোকাবেগ নিবারিত হইবার নহে, বাহিরে অপ্ৰকাশ হইলেও, তুষানলের ন্যায় অন্তর দগ্ধ করিতে লাগিল। বিশ্বরূপের শোকপ্ৰবাহ অন্তঃসলিলা নারীর ন্যায় জনকজননীর অন্তরে নিঃশব্দে প্ৰবাহিত হইতে লাগিল । বিশ্বরূপের সন্ন্যাসে নদীয়ানগরের অনেকেই দুঃখিত হইলেন । ভক্তসম্প্রদায়ের বিশেষ ক্ষতিবোধ হইল। অদ্বৈতাচাৰ্য্যাদি ভক্তগণ বিশ্বরূপের গুণগ্ৰাম স্মরণ করিয়া প্রচুর বিলাপ করিবুেন। জনকজননীর ত কথাই নাই। তাঁহাদের দুঃখ দেখিয়া পাষাণও বিগলিত হইতে লাগিল । সুখদুঃখ চিরস্থাৱী নহে, ক্রমে শ্ৰীগৌরাঙ্গই জনকজননীর ও আত্মীয়স্বজনের বিশ্বরূপবিরহাত্ৰান্ত শোকাকুল হৃদয়ক্ষেত্র অধিকার করিয়া লইলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গের বয়স তখন ছয় বৎসর। তদীয় মাধুৰ্য্যরশ্মি প্রকাশিত হইয়া লোক সকলের হৃদয়গুহানিহিত বিষাদ তিমির বিদূরিত করিতে লাগিল। মিশ্রবর বাৎসল্যামোহে আচ্ছন্ন হইয়া, জ্ঞানই বিশ্বরূপের সন্ন্যাসের কারণ ভাবিয়া, শ্ৰীগৌরাঙ্গের বিদ্যাভ্যাস রহিত করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। পাছে জ্ঞানলাভের পর শ্ৰীগৌরাঙ্গও জ্যেষ্ঠের ন্যায় সন্ন্যাসী হইয়া তাহাদিগকে অপার বিষাদসাগরে নিমজ্জিত করেন, এই ভাবিয়া, তিনি সহধৰ্ম্মিণী শচীদেবীর নিকট নিজের আন্তরিক অভিপ্ৰায় প্রকাশ করিয়া বলিলেন,- “পুত্রের মূর্থিতাজনিত দুঃখ তদ্বিরহজনিত শোকাপেক্ষা সহস্ৰগুণে ভাল। এক পুত্রের বিরহব্যথাই অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে; আবার এই পুত্রটিও যদি সন্ন্যাসী হয় তাহা আমরা কিপ্রকারে সহ করিব ? অতএব বিশ্বম্ভরের বিদ্যাভ্যাস স্থগিত হউক ।”