পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अख्र-औव्ग @心 লইয়া রঘুনাথের সহিত দ্যো করিলেন এবং তাঁহাকে তাহার পিতার আদেশ শুনাইলেন। রঘুনাথ শুনিয়াও উক্ত মুদ্রা গ্ৰহণ করিলেন না। অগত্যা ঐ ব্ৰাহ্মণ ও ভৃত্যদ্বয় মুদ্রা লইয়া পুৱীতেই অবস্থান,করিতে লাগিলেন। রঘুনাথ তঁহাদিগের অনেক অনুরোধে উক্ত মুদ্রা হইতে কিছু কিছু গ্ৰহণ করিয়া মাসে দুইদিন প্রভুকে ভিক্ষা করাইতে আরম্ভ করিলেন। তাহাতে রঘুনাথের প্রতিমাসে আটপণ কৌড়ি ব্যয় হইত। “ তিনি এইরূপে দুইবৎসর পর্য্যন্ত প্ৰভুকে डिक कद्भाश्व coप्स डांश७ ऊi१ कब्रिगन । রঘুনাথ প্রভুর নিমন্ত্রণ বন্ধ করিলে, প্ৰভু স্বরূপ গোসাইকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “রঘুনাথ আমার নিমন্ত্রণ বন্ধ করিল কেন ?” স্বরূপ গোসাই বলিলেন, “বোধ হয়, বিষয়ীর অন্ন প্ৰভুকে দেওয়ায় তাহার মন প্ৰসন্ন হয় না।” প্ৰভু বলিলেন, “ভুল হইল, আমি রঘুনাথের উপরোধে নুিমন্ত্রণ লইতাম, সে আপনা হইতে নিমন্ত্রণ বন্ধ করিল, আমিও তুষ্ট হইলাম। বিষয়ীর অন্ন খাইলে, মন মলিন হয়, মলিন মনে কৃষ্ণের স্মরণ হয় না। এইরূপ নিমন্ত্রণে দাতা ও ভোক্তা উভয়েরই চিত্ত অপ্ৰসন্ন হইয়া থাকে।” এই ঘটনার পর হইতেই রঘুনাথ সিংহদ্বারে ভিক্ষা ত্যাগ করিয়া ছত্ৰে যাইয়া ভিক্ষা করিতে লাগিলেন। এই বৃত্তান্ত প্রভুর কর্ণগোচর হইল। প্ৰভু শুনিয়া বলিলেন, “সিংহদ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি বেশ্যার আচার ; রঘুনাথ এই আচার ত্যাগ করিয়া ছত্রে ভিক্ষা দ্বারা যথালাভে উদরপূরণ করিতেছে শুনিয়া সুখী হইলাম।” শঙ্করানন্দ সরস্বতী শ্ৰীবৃন্দাবন হইতে গুঞ্জমালা ও শিলা আনিয়া প্ৰভুকে দিয়াছিলেন। প্ৰভু ঐ মালা ও শিলা তিনবৎসর 'পৰ্য্যন্ত নিজের নিকট রাখিয়াছিলেন। রঘুনাথের বৈরাগ্যাচরণে প্ৰসন্ন হইয়া ঐ শিলা ও মালা রঘুনাথকে প্ৰদান করিলেন। উহা দিয়া প্ৰভু রঘুনাথকে বলিলেন, “রঘুনাথ, তুমি এই শিলাকে শ্ৰীকৃষ্ণের বিগ্ৰহ ভাবিয়া আগ্রহ সহকারে সেবা কর। তুমি সাত্ত্বিকভাবে জল ও তুলসীমঞ্জরী দ্বারা এই শিলার সেবা করিলে, অচিরেই শ্ৰীকৃষ্ণপ্ৰেম লাভ কবিবে।” রঘুনাথ তদবধি সানন্দে উক্ত শিলার পূজা করিতে লাগিলেন। স্বরূপ গোসাঁই রঘুনাথকে উক্ত শিলার নিমিত্ত একখানি কাঠাসন, দুইখানি বস্ত্রখণ্ড ও একটি জলের কুঁজী প্ৰদান করিলেন। রঘুনাথ সাক্ষাৎ ব্ৰজেন্দ্ৰনন্দন জ্ঞানে শিলার পূজা করিতে লাগিলেন। একদিন স্বরূপ গোসাঁই বলিলেন, “রঘুনাথ, আট কৌড়ির খাজা সন্দেশ দিয়া পূজা করিলেই ভাল হয়।” রঘুনাথ তাহাই করিতে লাগিলেন। রঘুনাথের অদ্ভুত বৈরাগ্য-ছিন্ন বসন