পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अति-लौंक्ल 89) একদিন শ্ৰীগৌরাঙ্গ অকস্মাৎ বায়ুচ্ছলে কয়েকটি সাত্ত্বিক বিকার দর্শন করাইলেন। মুহুমুহু অশ্রু, কম্প, পুলক, স্তম্ভ ও মূৰ্ছাদি হইতে লাগিল। মুকুন্দসঞ্জয় প্রভৃতি প্রভুর নিজ জনসকল প্রভুর ঐ সকল বিকার দর্শন করিয়া বায়ুর কাৰ্য্য বলিয়াই স্থির করিলেন। প্রভুর শ্ৰীঅঙ্গে তৈলাদি মর্দন করিবারও ব্যবস্থা হইল। ফলতঃ কয়েকদিবস এই ভাবে কাটাইয়া প্ৰভু নিজের ভাব নিজেই সম্বরণ করি।- লেন। আবার পূর্ববৎ অধ্যাপনাকাৰ্য্য চলিতে লাগিল। এই ঘটনার কিছুদিন পরে শ্ৰীগৌরাঙ্গের সহিত একজন গণকের সাক্ষাৎ হইল। ঐ গণক সৰ্ব্বজ্ঞ বলিয়া বিখ্যাত ছিলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ তাঁহাকে পূর্ববৃত্তান্ত গণনা করিতে বলিলেন। গণক গণনা দ্বারা তদীয় ঐশ্বৰ্য্য, বিদিত হইলেন। তিনি প্ৰভুকে কখন মৎস্য, কখন কূৰ্ম্ম, কখন বরাহ, কখন বামন, প্রভৃতি বিবিধ অবতাররূপে দর্শন করিয়া মনে করিলেন, ইনি হয় কোন এক জন মহামন্ত্রবিৎ, না হয় কোন দেবতা ৷ গণক অবাক হইয়া এইরূপ ভাবিতেছেন, প্ৰভু তঁহাকে বলিলেন, “কি ভাবিতেছে ? গণনা করিয়া আমার পূর্ববৃত্তান্ত কি বিদিত হইলে বল ।” গণক বলিলেন, “আমি এখন কিছুই বলিতে পারিলাম না, অন্য এক সময় বলিব।” এই বলিয়া গণক বিদায় হইলেন, প্রভুও কৰ্ম্মান্তরে ব্যাপৃত হইলেন। একদিন শ্ৰীগৌরাঙ্গ কয়েকটি ছাত্রের সহিত নগরীন্দ্ৰমণ করিতেছিলেন। পথিমধ্যে পরমবৈষ্ণব শ্ৰীবাস পণ্ডিতের সহিত সাক্ষাৎ হইল। শ্ৰীবাস পণ্ডিত র্তাহার পিতৃবন্ধু ছিলেন, সুতরাং, র্তাহাকে বাৎসল্যভাবেই দেখিতেন এবং সময়ে সময়ে উপদেশাদিও প্ৰদান করিতেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ শ্ৰীবাস পণ্ডিতকে দেখিয়া প্ৰণাম করিলেন। শ্ৰীবাস পণ্ডিত আশীৰ্বাদ পুরঃসর বলিলেন,-“বিশ্বম্ভর, তুমিও যথেষ্ট জ্ঞানোেপার্জনই করিয়াছ ; জ্ঞানের ফুল তােমাতে না ফলিয়াছে, এরূপও নয় ; কিন্তু একবার ভাবিয়া দেখ, ঐ ফল অকিঞ্চিৎকর কি না ? উহা যদি অকিঞ্চিৎকরই হয়, তবে আর অধিক কাল উহাতে মগ্ন থাকায় ফল কি ? @थन थे डॉनগৰ্ভ হইতে উখিত হও । যাহা প্ৰকৃত জ্ঞান, যাহা জ্ঞানের সার, তাহাতেই নিবিষ্ট হও । তুমি ভক্তিরসে রসিক হও । শ্ৰীভগবানের পাদপদ্ম ভজন করিয়া মনুষ্যজীবনের সার্থকতা সম্পাদন কর।” পণ্ডিতের এই কথা শুনিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গ বলিলেন, “পণ্ডিত, আরও কিছুদিন অপেক্ষা করুন। এখন আমাকে বালক ভাবিয়া কেহই গ্ৰাহা করিবেন না। আরও কিছুদিন পরে একজন উত্তম বৈষ্ণব অন্বেষণ করিয়া আমি এমনই বৈষ্ণব হইবে যে, তখন অজ, ভবা পৰ্য্যন্ত আমার দ্বারে আসিয়া উপস্থিত হইবেন।” এই কথা বলিয়াই শ্ৰীগৌরাঙ্গ স্বীয় স্বভাবসিদ্ধ চাপল্য সহ