পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৫৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর যিনি শ্ৰীবৃন্দাবনারমণীগণের শ্রবণযুগলের কুবলয়, নয়নের অঞ্জন ও বক্ষঃস্থলের ইন্দ্ৰনীলমণিময় হার প্রভৃতি অখিলভূষণস্বরূপ, সেই 'শ্ৰীহরি অতিশয় জয়যুক্ত হইতেছেন। শ্লোক শুনিয়া পুরীদাসের প্রতি প্ৰভুর কৃপা বুঝিমা স্বরূপানি ভক্তগণ অপার বিস্ময়সাগরে নিমগ্ন হইলেন। গৌড়ের ভক্তগণ রথযাত্রা , দর্শন করিয়া গৌড়ে প্ৰতিগমন করিলেন। তাহারা যতদিন ছিলেন, প্রভুর কিছু বহিষ্কীৰ্ত্তিও হইত। তঁহারা চলিয়া গেলে, প্ৰভু! আবার সম্পূর্ণ আবিষ্ট হইলেন। এই পূর্ণ আবিষ্ট অবস্থাতেই প্ৰভু একদিন জগন্নাথ দৰ্শন করিতে গেলেন। সিংহদ্বারে যাইয়া দ্বাররক্ষককে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কৃষ্ণ কোথায়?” দ্বাররক্ষক উত্তর করিলেন, “কৃষ্ণ এইস্থানেই অবস্থান করিতেছেন। প্ৰভু তাঁহার হস্তধারণ করিয়া বলিলেন, “চল, আমাকে কৃষ্ণদৰ্শন করাও।” দ্বাররক্ষক প্ৰভুকে লইয়া গরুড়স্তম্ভের পার্শ্বে DD DBBS BBB S SBD DDD DDD SYDDBBBBDS SDt করিতে লাগিলেন। এই সময়ে ‘গোপালবল্লভ' নামক ভোগ লাগিল। ভোগ সরিলে, জগন্নাথের সেবকগণ প্ৰভুকে মালা পরাইয়া হস্তে কিঞ্চিৎ প্ৰসাদ দিয়া বলিলেন, “কিঞ্চিৎ আম্বাদন করুন।” প্ৰসাদ আস্বাদন দূরের কথা, গন্ধেই মন মোহিত হইয়া গেল। প্ৰভু এক কণিকামাত্র জিহবায় দিয়া সমস্তই গোবিন্দের অঞ্চলে প্ৰদান করিলেন। কণামাত্ৰ প্ৰসাদ আম্বাদন করিয়াই প্ৰভু পুলকিত হইলেন। নয়নযুগল হইতে অশ্রদ্ধারা প্রবাহিত হইতে লাগিল। প্ৰভু নিজ ভাব সম্বরণ করিয়া বাসায় চলিয়া আসিলেন। সন্ধ্যার পর সার্বভৌম ও রামানন্দাদি ভক্তগণকে এবং পুরীগোসাঁই ও ভারতীগোসাইকে অবশিষ্ট প্ৰসাদগুলি কণিকা কণিকা করিয়া বঁটিয়া দিলেন। প্ৰসাদের অলৌকিক মাধুৰ্য আস্বাদন করিয়া সকলেই প্ৰেমাবিষ্ট হইলেন। রামানন্দ প্রভুর ইঙ্গিত বুঝিয়া পাঠ করিতে লাগিলেন, সুরতবৰ্দ্ধনং শোকনাশনং স্বরিতবেণুনা সুষ্ঠু চুম্বিতম। ইতররাগবিস্মরণং নৃণাং বিতর বীর নিস্তেহধরামৃতম৷” ভ্যা ১০৩১৷৷১৪ “তনু মন করে ক্ষোভ, दांछांध्र श्रद्धडगांङ, হর্ষ আদি ভাব বিকাশয় । পাসরায় অন্য রস, জগৎ করে আত্মবিশ, লজা ধৰ্ম্ম ধৈৰ্য্য করে ক্ষয় ॥ নাগর, শুন তোমার অধরচরিত।