পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৬৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अस्ड-लौल Ved è তথাহি পদ্যাবল্যাম “অয়ি নন্দনন্তনুজকিঙ্করং পতিতং মাং বিষমে ভবাম্বুধে । কৃপয়া তব পাদপঙ্কজস্থিত ধূলিসদৃশং বিচিন্তয় ॥” পদ্যাবলাম ৭১ হেনন্দনন্দন, আমি তোমার কিঙ্কর, বিষম ভবাসাগরে নিমগ্ন ; আমাকে তোমার পাদপদ্মস্থ ধূলিকণার ন্যায় ভাবিয়া নিজদান্তে অঙ্গীকার করা। প্ৰতিপাদ্য গুরুং যন্তু মোহাদ বিপ্রতিপদ্যতে । স কল্পকোটিং নরকে পচ্যতে পুরুষাধমঃ ॥ হরিভক্তিবিলাসে। অর্থাৎ নিবন্তর পাপকৰ্ম্ম যে সকল মূর্থিগণ শ্ৰীগুরুর প্রতি দ্রোহ আচরণ করে তাহাদের যৎকিঞ্চিৎ পুণ্য থাকে তাহাও নিশ্চয়ই পাতকরূপে পরিণত হয়। যে ব্যক্তি মোহবশত: গুরুদেরকে ভৎসনাপূর্বক পরুষবাক্য বলে সে শত জন্ম শূকরযোনি প্ৰাপ্ত হয়। হে মুনিসত্তম! যে সমস্ত পাপিষ্ঠ নরাধমেরা শ্ৰী গুরুর আদেশ প্রতিপালন করে না, তাহদের নরকযন্ত্রণা হইতে পরিত্রাণের কোন উপায় নাই। শ্ৰীহরি' কুপিত হইলে শ্ৰী গুরু উদ্ধার কৰ্ত্ত হন। কিন্তু শ্ৰী গুরু কুপিত হইলে কেহই রক্ষা করিতে সুমৰ্থ হন। না। যে ব্যক্তি শ্ৰী গুরু কর্তৃক পরিত্যক্ত হন। ভগবান হরি তৎকর্তৃক অগ্ৰেই পরিত্যক্ত হইয়া থাকেন। তাহার হিতাহিত-জ্ঞানধারই কলুষিত হইয়াছে ও তাহাব দৌরাত্ম্য প্ৰকটীকৃত হইয়াছে বুঝিতে হইবে। যে সকল ব্যক্তি বেদসঙ্গত শ্ৰী গুরুদেবকে পূরিত্যাগ করে সেই সকল কৃতন্ত্র-ব্যক্তিরা মৃত্যুর পর নরকে গমন করিলে মাংসাশী পশুপক্ষিগণও তাহদের কলুষিত-মাংস ভোজন করে না , যে ব্যক্তি প্ৰথমে কাহাকেও গুরু বলিয়া স্বীকার করিয়া পুনর্বার সেই গুরুদেবকে পরিত্যাগ করে সেই নরাধম কল্পকোটিকাল যাবৎ নরকে পচিতে থাকে। ভগবান অত্ৰি বলিয়াছেন “একমপ্যাক্ষরং যাস্তু গুরুঃ শিষ্যে নিবেদয়েৎ । পৃথিব্যাং নাস্তি তদন্দ্রব্যাং যদত্ত্বা হাঞ্চণী ভবেৎ ৷ একাক্ষরং প্ৰদাতারং যে গুরুং নাভিমন্যতে । শুনাং যোনিশাতং গত্বা চাণ্ডালেঘাপি জায়তে ৷ অত্ৰিসং ৯৷১১ । গুরুদেব যদি শিষ্যকে একটা মাত্র ও অক্ষর প্রদান করিয়া থাকেন পৃথিবীতে এমন কোন দ্রব্য নাই যাহা তাহাকে প্ৰদান করিলে শিষ্য ঋণমুক্ত হইতে পারেন। একাক্ষর-প্ৰদাতা গুরুকে ও যে ব্যক্তি সম্মান না করে সে শতবার কুকুর জন্ম প্ৰাপ্ত হয় ও শেষে চণ্ডাল-জাতিতে জন্মগ্রহণ করে। দৈবাৎ এইরূপ অপরাধ ঘটিলে-ই-হায় আমি কি পামর । সাধু ও গুরুচরণে অপরাধী হইলাম-এই প্রকার অনুতপ্ত হইয়া অগ্নিতাপ্তব্যক্তি যেমন অগ্নিতেই শান্তিলাভ করে তদ্রুপ সাধু ও গুরুচরণের সন্নিধানে উপস্থিত হইয়া বহুবিধ স্তুতি ও প্ৰণতি দ্বারা তাহদের প্রসন্নতা উৎপাদনের নিমিত্ত আন্তরিক প্ৰযত্ন কৰ্ত্তব্য ।