পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৬৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उरुष्ठ-घ्नौव्ल Vòd তথাহি পদ্যাবল্যাম “আশ্লিষ বা পাদরতাং পিনষ্ট মামদৰ্শনান্মক্ষ্মহতীং করোতু বা মাথা তথা বা বিদধাতু লম্পটো মৎ প্ৰাণনাথন্ত স এব নাপরঃ ৷” °छांदगांभ ७8» হে সখি, সেই শ্ৰীকৃষ্ণ আমাকে আলিঙ্গনপূর্বক চরণরত কিঙ্করীই করুন, বা মহাকষ্টে নিপাতিত করিয়া নিষ্পেষিতই করুন, অথবা দর্শন না দিয়া মৰ্ম্মহতই ভগবানিতি শব্দ্যতে”-এবম্বিধ ক্ৰমোক্তি ও শুক-সনকাদি আত্মারুম-গুরুবর্গের অপরোক্ষানুভূতি হইতে সুস্পষ্ট অবগত হওয়া যায়। তন্মধ্যে বহির্মুখ-জীবের কাম্য বিষয়েন্দ্ৰিয়-সম্বন্ধ-জন্য অনুভব-বিশেষের নাম বৈষয়িক-মুখ। ঐ সুখ আপাততঃ রমণীয় হইলেও পরিণামে দুঃখজনক হইয়া থাকে। এইজন্য যোগসূত্রে প্রাকৃতিকু সুখকেও দুঃখের মধ্যে গণনা করা হইয়াছে। “পরিণাম-তাপসংস্কার-দু:খৈ- গুণবৃত্তি-বিরোধাচ্চ দুঃখমেব সৰ্ব্বং বিবেকিনিঃ” । • ( যোগসুত্র ২১৫ ) বিবেকী মহাত্মার পক্ষে বিষয়েন্দ্ৰিয়সন্নিকর্ষজ অনুভবমাত্ৰই দুঃখের কারণ ; কারণ ভোগের পরিণাম সুখকর নহে-ইহাতে ক্ৰমশঃ ভোগ তুষ্ণাই বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হয় এবং ভোপাকালেও বিরোধী-ব্যক্তির প্রতি বিদ্বেষু জন্মে ও উত্তরোত্তর ভোগ-জন্য-সংস্কার বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত হইতে থাকে,। সত্ত্বাদি গুণেব সুখ-দুঃখ-মোঙ্গাদিরূপ-বৃত্তিসকলও পরস্পর বিরোধী । সুতরাং তদ্বারা কিছুতেই চিত্ত সুস্থির হইতে পারে না । এই নিমিত্ত শ্ৰীমদ্ভাগবতে একাদশস্কন্ধে নবযোগেন্দ্র-উপাখ্যানে দৃষ্ট হয়— “কৰ্ম্মাণ্যারভমাণানাং দুঃখহীত্যৈ সুখায় চ। পশ্যেৎ পাকবিপৰ্য্যাসং মিথুনীচারিণাং নৃণাম ৷ নিত্যাক্তিদেন বিত্তেন দুলভেনাত্মমৃতু্যান । গৃহপত্যাপ্তপশুভি: কা প্রীতিঃ সাধিতৈশ্চলৈঃ ॥ এবং লোকং পরং বিদ্বান্নশ্বরং কৰ্ম্মনিৰ্ম্মিতম। সতুল্যাতিশয়ধবংসং যথা মণ্ডলবৰ্ত্তিনাম৷ (ভা ১১।৩।১৮-২০ ) অর্থাৎ—দুঃখ-নিবৃত্তি ও সুখপ্রাপ্তির নিমিত্ত সংসারে মিথুনভাবে (সন্ত্রীকভাবে ) বিদ্যমান কৰ্ম্মসকলের অনুষ্ঠাতা মনুষ্যগণের কৰ্ম্মফলের বৈপরীত্য দর্শন করিবে । নিত্য দুঃখপ্ৰদ, অত্যন্তায়াস-লভ্য, নিজ-মৃত্যুস্বরূপ-বিত্তদ্বারা-নিম্পাদ্য গৃহ, অপত্য, সুহৃদাবান্ধবাদি ও গো, অশ্ব প্রভৃতি পশু দ্বারা কি সুখ হইবে ? খণ্ডমণ্ডল্যাধিপতি-ব্যক্তিগণের যেমন সমকক্ষ ও সাতিশয় ব্যক্তির প্রতি অসূয়া এবং ধ্বংস-হেতু ভয় আছে, তেমনই কৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত অতএব নশ্বর স্বৰ্গাদি লোকেও ভয় আছে জানিতে হইবে। দৃষ্ট ও আনুশ্রুবিক-বিষয়-সকল অনিত্য ও দুঃখপ্রদ হইলেও যাহারা অত্যন্ত বিষয়-সুখলোলুপ। তাহাদিগের রুচি জন্মাইবার নিমিত্ত পরমকারুণিক শাস্ত্ৰকারগণ