পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৬৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊरुटु-व्व् V\OS qAqAA S S A S SaAA SAAe LSeAeS S MAMLMLS AM LAAS AAAAAAL LMeA S AMSASS S AAAAS SAAAA LE qA AeS ية" تميمي মোর সুখ সেবনে, কৃষ্ণের সুখ সঙ্গমে, ONTDEK QYTER CYĪTE (ofta কৃষ্ণ মোরে কান্তা করি, কহে মোরে। প্ৰাণেশ্বরী, মোর হয় দাসী অভিমান ৷ সিদ্ধদশায় প্রেমের অভিব্যক্তিতে ভাগবস্তুক্ত সর্বজগৎ ভগবন্ময় দর্শন করিয়া থাকেন । তৎকালে তঁহার অন্তরে বা বাহিরে তদিতির কোন বস্তু প্ৰতিভাত হয় না। কেবল পরমানন্দময়-ভগবানা-শ্ৰীকৃষ্ণের দ্যোতমান-অনন্তরূপ-লাবণ রাশি নিরন্তর তাহার বহিরস্তুর ব্যাপিয়া ভাসিতে থাকে। অখিল-ত্নসামৃতৃ-ভগবদানন্দসিন্ধুর সুধাস্বাদ-মুগ্ধ জীবন্মুক্ত-ভক্ত তখন তৃপ্ত, স্নিগ্ধ, ও আনন্দী হন এবং বিদেহকৈবল্যকালে নিত্যানন্দরূপিণী ভাগবতী-তনুব প্ৰাপ্তির অনন্তর সান্দ্ৰানন্দস্বরূপ শ্ৰীকৃষ্ণলোকে গমন করতঃ বিচিত্ৰ-লীলারসে মগ্ন হন। ইড়াই শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্যমহাপ্ৰভু-প্রোক্ত-শিক্ষাষ্টক-শ্লোকের “আনন্দ্যুম্বাধিবৰ্দ্ধনং” পাদাংশের তাৎপৰ্য্য। আনন্দাম্বুধিবৰ্দ্ধনই কৃষ্ণ সঙ্কীৰ্ত্তনের পরম-ফল। অবশিষ্ট “প্রতিপদং পূর্ণামৃতাস্বাদলং ও “সৰ্ব্বাত্মক্ষপনং” বিশেষণদ্বয় উহার পূর্ববৃত্তারূপ আনুসঙ্গিক ফল। কারণ শ্ৰীকৃষ্ণ সঙ্কীৰ্ত্তনরূপ-ভক্তি সাধক-হৃদয়ে আবিভূতি হইয়া যখন হৃদয়কে স্বাভিব্যক্তি-দিব্যরস দ্বারা মপিত ও স্নিগ্ধ করেন তখন শ্ৰীনামের “সর্বাত্মমপনং” বিশেষণটিী এবং নামপ্রভাবে বিশুদ্ধচিত্ত সাধক যখন স্বভাব-মধুরীশ্ৰীকৃষ্ণ-নামের অখিলরসাত্মকত্বআস্বাদনের সামর্থ্য লাভ কবেন তখনই তঁহার “প্ৰতিপদং পূর্ণামৃতাস্বাদনং” বিশেষণটির যাথার্থ্য উপলব্ধি হয়। তদ্বিষয়ে • মহাজনগণ-বরেণ্য শ্ৰীচণ্ডীদাস-ঠাকুর-মহাশয়, সৰ্বভক্ত-শিরোমণি-শ্ৰী রাধারাণীর মুখ হইতে যে সুললিত-ভাব-রশিপ্রকাশ করিয়াছেন তাহার কিয়দংশ নিম্নে প্ৰদৰ্শিত হইল “সখি কেবা শুনাইল শ্যাম নাম, কানূের ভিতব দিয়া মরমে পশিল গো, আকুল করিল মোর প্রাণ। না জানি কতেক মধু, শ্যামু নামে আছে গো,-বদন ছাড়িতে নাহি পারে। জপিতে জপিতে নাম অবশ করিলা তনু, কেমনে পাইব বল তারে” । শ্ৰীকৃষ্ণ-নাম-সঙ্কীৰ্ত্তন যে ভক্তকে নামের প্রতিপদে পূর্ণামৃতাস্বাদন প্ৰদান করেন তদ্বিযয়ে উপদেশামৃত-নামক গ্রন্থের শ্লোক-বিশেষ উদ্ধত হইল “স্যাৎ কৃষ্ণনাম-চরিতান্দি-সিন্তাপ্যবিদ্যাপিত্তোপতপ্তরসন্যস্ত ন রোচিকা নু । কিন্তুদরাদনুদিনং খলু সৈব জুষ্টা স্বান্ধী ক্রমাদ্ভবতি তদগদমূলহািন্ত্রী ৷” ইহার নির্গলিতাৰ্থ নিম্নে প্ৰদান করা হইলপিত্তদগ্ধরসনায় স্বভাব-মধুর-মিশ্রিখণ্ড তিক্ত বোধ হয়, কিন্তু উক্ত মিশ্রিখণ্ডের পুনঃ পুনঃ সেবনে পিত্তরোগ উপশমিত হইলে মিশ্রিখণ্ডের স্বাভাবিক-মাধুৰ্য্য যদ্রপ যথাযথ অনুভূত হয় তদ্রুপ শ্ৰীকৃষ্ণ-নাম স্বরূপতঃ নিত্য, পূর্ণসুখময় হইলেও অনাদ্যবিদ্যারোগগ্ৰস্ত-ব্যক্তির চিত্তে আপাততঃ রুচিকর হয় না-কিন্তু অনুক্ষণ