পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৬৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W OR শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর কান্ত-সেবা সুখপুর, সঙ্গম হইতে সুমধুর, তাতে সাক্ষী লক্ষ্মী ঠাকুরাণী । নারায়ণের হৃদে স্থিতি তবু পদসেবায় মতি, সেবা করে দাসী অভিমানী৷ আদরসহকারে শ্ৰীকৃষ্ণনামানুশীলন-দ্বারা অবিদ্যার নিবৃত্তি হইলে পরম-মঙ্গলময়শ্ৰীকৃষ্ণনামের স্বাভাবিক-রসমাধুৰ্য্য পরিপূর্ণরূপে আস্বাদিত হইয়া থাকে। এই নিমিত্তপ্রভুপাদ-শ্ৰীমদ্ৰপগোস্বামী বিদগ্ধমাধব নামক গ্রন্থে নাম-মাধুৰ্য্য-বৰ্ণন-প্রসঙ্গে विद्भिश्छ्न-- “তুণ্ডে তাণ্ডবিনী রতিং বিতনুতে তুণ্ডাবলী-লব্ধয়ে কর্ণক্রোড়-কডন্বিনী ঘটয়তে কৰ্ণাৰ্ব্বদেভ্যঃ স্মৃহিম। চেতঃপ্রাঙ্গণসঙ্গিনী বিজয়তে, সৰ্বেন্দ্ৰিয়াণাং কৃতিম নো জানে জনিতা কিয়দ্ভিরামৃতৈঃ কৃষ্ণেতি বর্ণদ্বয়ী ॥” ( বিদগ্ধমাধব ১।৩৩) ৷ কৃষ্ণ এই দ্ব্যক্ষর নাম যখন মুখে তাণ্ডব নৃত্যু করিতে থাকে তখন তুণ্ডাবলী ( অসংখ্যবাদন ) লাভ করিবার নিমিত্ত অনুরাগ বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হয় ও যখন কর্ণক্রোড়ে ঐ নাম জাতগম্বুর হয়, তখন অৰ্ব্বদ অৰ্ব্বাদ কর্ণলাভের নিমিত্ত স্পাহা জন্মে, এবং যখন উচ্চ চিত্ত-প্ৰাঙ্গণের সঙ্গিনীরূপে আবিভূতি হয় তখন সমস্ত ইন্দিয়গণের ব্যাপার সমুহকে জয় করে অর্থাৎ সে সময় শুদ্ধচিত্তে অষ্টসাত্ত্বিকভাবের আবির্ভাব-বশতঃ ইন্দ্ৰিয়-সমূহের ব্যাপার-সকল অন্যথাভাব ধারণ করে। সুতরাং জানি না-কত অমৃতস্বরূপে কৃষ্ণ এই বর্ণদ্বয় আবিভূতি হইয়াছে।” অতএব শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু-উপদিষ্ট শ্ৰীকৃষ্ণ-সংকীৰ্ত্তন-দ্বারা যে সর্বানর্থ-নিবৃত্তিপূর্বক পরম-পুরুষাৰ্থ-প্ৰাপ্তি হয় তাহ বহু শ্রুতিস্মৃতি হইতে সুস্পষ্টরূপে অবগত হওয়া গেল। এতদনুকুলে কতিপয় নাম-মাহাত্ম্য সুচক প্ৰমাণ নিম্নে দেওয়া হইল । 鄂 鲁 নামৈকশরণ মহাভাগবতগণ কেবলমাত্র নামকীৰ্ত্তন-প্রভাবেই পরামগতি প্ৰাপ্ত झुन १९= “সর্বধৰ্ম্মোজুিতা বিষ্ণোর্নােমমাত্ৰৈক জল্পকাঃ। সুখেন যাং গতিং যান্তিন তাং সর্বোহপি ধাৰ্ম্মিকাঃ ॥(পাদ্মে উ৷৭১৷৷৯৯)। বিষ্ণুধৰ্ম্মে ক্ষত্ৰবন্ধ, পাখ্যানে নিরুপায় ক্ষত্ৰবন্ধুকে তাহার শ্ৰী গুরুদেব সর্বাবস্থাতে নামকীৰ্ত্তন উপদেশ করিয়া কৃতাৰ্থ করিয়াছিলেন যথা “উত্তিষ্ঠিতা প্ৰস্বপত প্ৰস্থিতেন গমিষ্যত । গোবিন্দেতি সদা বাচাং ক্ষুত্ত্বটুপ্ৰস্বলিতাদিষু ॥ এবং দেবর্ষি নারদ ধৰ্ম্মব্যাধকে “ন দেশনিয়মস্তত্ৰ ন কালনিয়মস্তথা । নোচ্ছিষ্টাব্দেী নিষেধোহস্তি হরোনামনি লুব্ধক | (বিষ্ণুধৰ্ম্মে )