পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आ-िव्ौष्ठ्ल (፩ (© শ্ৰীগৌরাঙ্গ মহাপ্ৰভু এইরূপে গৃহস্থ হইয়া অধ্যাপক রূপে মুকুন্দসঞ্জয়ের গৃহে টোল করিয়া ছাত্রগণকে বিদ্যাদান করিতে লাগিলেন। তিনি যে প্ৰেমভক্তি প্রচারের নিমিত্ত অবতীর্ণ হইয়াছেন, এ পৰ্য্যন্ত তাহার কিছুই করা হয় নাই। সমস্ত সংসার দিন দিন পরমার্থভ্ৰষ্ট হইয়া পড়িতেছে ; তুচ্ছ বিষয়েই সকলের সমাদর, পরমার্থ বিষয়ে কাহারও কিছুমাত্র আদর বা অপেক্ষা লক্ষিত হয় না । কাহারও কোন সাধন ভজন নাই, কিন্তু সকলেই প্রচার করেন, আমি বেদান্তী, “আমি ব্ৰহ্ম। এমন কি, র্যাহারা শ্ৰীমদভগবদগীতা ও শ্ৰীমদভাগবতাদি ভক্তিশাস্ত্রের আলোচনা করেন তাহারাও ভক্তিরসে বঞ্চিত, শুষ্কভজ্ঞানী ; তঁাহারা শ্ৰীভগবানের নামের মাহাত্ম্য সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। কেহই সঙ্কীৰ্ত্তনে রত নহেন। কাহারও নামসঙ্কীৰ্ত্তনে কিছুমাত্র আস্থা দেখা যায় না । অধিকন্তু, যদি কখন কাহারও তদ্বিষয়ে অল্পমাত্রও চেষ্টা দৃষ্ট হয়, তখনই পাষণ্ড সকল তাঁহাকে উপহাস করিতে থাকেন। উপহাসে তাঁহার ঐ চেষ্টার ফ্ল্যাগ না হইলে, তাহার উপর উৎপীড়নও হইয়া থাকে। উৎপীড়নেও উদ্যামের নিবৃত্তি না হইলে, তাতার সর্বনাশের নিমিত্ত পাষণ্ডগণ কর্তৃক বিবিধ উপায় অবলম্বিত হইতে থাকে। আমরা হরিদাস ঠাকুরের জীবনে এইরূপ দুর্ঘটনা সকলের স্পষ্ট প্রমাণ প্ৰাপ্ত হইয়া থাকি । . শ্ৰীহরিদাস ঠাকুর পূৰ্বপরিচ্ছদে সংসারের যে দুরবস্থার কথা লেখা হইয়াছে, সংসার যখন তাদৃশ্য-দুরবস্থা-গ্ৰস্ত, ঠিক সেই সময়েই শ্ৰীহরিদাস ঠাকুর এই নবদ্বীপে আসিয়া শ্ৰীশ্ৰীনামসঙ্কীৰ্ত্তনের প্রচারে প্রবৃত্ত হইলেন। যশোহরের অন্তৰ্গত বনগ্রামের নিকটে বুড়ন নামে একটি প্রাচীন গ্রাম আছে। ঐ গ্রামে এক পবিত্র সচরিত্র দ্বিজদম্পতি বাস করিতেন । শিবগীত প্ৰভৃতি গ্রন্থে লিখিত আছে, হরিদাস ঠাকুর ঐ দ্বিজদম্পতি হইতেই জন্মলাভ করেন। তঁহার পিতার নাম সুমতি ঠাকুর এবং মাতার নাম গৌরী দেবী। ১৩৭১ শকাব্দার অগ্রহায়ণ মাসে হরিদাস ঠাকুরের জন্ম হয় । হরিদাস ঠাকুরের বয়স যখন ছয় মাস মাত্র, তখন তঁহার পিতার মৃত্যু হয় । জননীও পিতার অনুমৃত হয়েন। শিশু হরিদাস অসহায় অবস্থায় গৃহে পতিত থাকেন। একটি প্রতিবাসী দয়ার্ক্সচিত্ত মুসলমান জনকজননীহীন রোদিনীপরায়ণ শিশু হরিদাসকে লইয়া প্ৰতিপালন