পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8 वेो3ीgशोब्रश्नान्न করেন। সুতরাং হরিদাস ব্ৰাহ্মণসন্তান হইয়াও যবনতৃত্ব প্ৰাপ্ত হয়েন। হরিদাস এইরূপে যবনগৃহে প্ৰতিপালিত এবং যবনতৃত্ব প্ৰাপ্ত হইয়াও জাতিস্মরতা বশতঃ বাল্যেই বিষ্ণুভক্তিপরায়ণ হয়েনি। তদর্শনে তঁহার প্রতিপালক মুসলমান তঁহার প্ৰতি বিরক্ত হইয়া তাহাকে গৃহ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেন। হরিদাস প্রতিপালক কর্তৃক তড়িত হইয়া কিছুমাত্র দুঃখিত হইলেন না, পরন্তু স্বাধীনভাবে ভজন করিতে পরিবেন। এই আশায় উৎসাহিত হইয়া সানন্দ অন্তরে বনগ্রামের নিকটবৰ্ত্তী বেনাপোলের জঙ্গলে যাইয়া একটি ক্ষুদ্র কুটীর নিৰ্ম্মাণ পূর্বক ভজন এবং ভিক্ষা দ্বারা জীবিকা নিৰ্বাহ করিতে লাগিলেন । হরিদাস ঠাকুর বেনাপোলের জঙ্গলে নিজ নির্জন কুটীরে বসিয়া প্ৰতিদিন তিন লক্ষ হরিনাম করেন, সদাই নােমরূপে বিভোর থাকেন, দিনান্তে একবারমাত্র গ্রামে যাইয়া ভিক্ষা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন, যদি কেহ কখন তঁহার নিকট আইসেন। তঁহাকে হরিনাম গ্ৰহণেই উপদেশ ও অনুরোধ করেন। কাহারও সহিত বিশেষ কোন সম্বন্ধ রাখেন না । এইরূপে কিছুদিন অতিবাহিত হইয়া গেল। বনগ্রামের জমিদার রামচন্দ্ৰ খান লোকপরম্পরায় হরিদাস ঠাকুরের তাপস্তার কথা শুনিয়া তাহার তপস্যার বিঘ্ন ঘটাইবার নিমিত্ত অভিলাষী হইলেন । পরের মন্দ চেষ্টা করাই দুষ্টলোকের স্বভাব। রামচন্দ্ৰ খান কয়েকটি সুন্দরী বারবনিতাকে ডাকিয়া হরিদাস ঠাকুরের তপস্যার বিত্মাচরণার্থ অনুরোধ করিলেন। তন্মধ্যে একটি বারবনিতা একদিন রাত্ৰিযোগে হরিদাস ঠাকুরের আশ্রমে গমন করিল। সে যাইয়া তুলসীকে প্ৰণাম করিয়া হরিদাস ঠাকুরকে দূর হইতে দণ্ডবৎ প্ৰণাম করিল। পরে হরিদাস ঠাকুরের কুটীরের দ্বারে বসিয়া নানাপ্রকার অঙ্গভঙ্গী করিতে আরম্ভ করিল। হরিদাস ঠাকুর নাম করিতে করিতে তাহা লক্ষ্য করিলেন, এবং তাহার ভাবগতি বুঝিয়া অনন্যমনে শ্ৰীহরিনাম জপ করিতে লাগিলেন। এইরূপে সমস্ত রাত্ৰি কাটিয়া গেল। বারবনিত হরিদাস ঠাকুরের যৌবনসৌন্দৰ্য্যে মুগ্ধ হইয়াও তঁহার প্রভাবে অভিভূত এবং বিফলমনোরথ হইয়া প্ৰভাতে রামচন্দ্র থানের নিকট গমন পূর্বক সমস্ত রাত্ৰিঘটনা আনুপূর্বিক বর্ণনা করিল। দুষ্ট রামচন্দ্ৰ খান ঐ বারবনিতাকে পুনর্বার হরিদাস ঠাকুরকে প্ৰলোভিত করিবার নিমিত্ত র্তাহার নিকট গমন করিতে অনুরোধ করিলেন। বারবনিতা সেই রাত্রিতেও হরিদাস ঠাকুরের আশ্রমে যাইয়া পূর্ববৎ রাত্রি অতিবাহিত করিল। আবার তৃতীয় রাত্ৰিতেও পূর্ববৎ গমন করিল। কিন্তু এই তৃতীয় রজনীতে তাহার ভাবের পরিবর্তন হইল। হরিদাস ঠাকুরের আকৃতি, প্ৰকৃতি ও