পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अनि-लीला ዓዓ বিলম্ব করিলেন না। অবিশ্রান্ত শ্ৰীধাম নবদ্বীপের অভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। তিনি নদীয়ায় উপস্থিত হইয়াও শ্ৰীগৌরাঙ্গের চরণদর্শন করিলেন না, গোপনে নন্দন “আচাৰ্য্যের গৃহে অবস্থান করিতে লাগিলেন। टेबोनिङgtन्पन्न রাঢ়দেশে (বৰ্ত্তমান বীরভূম জেলায় মল্লারপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের নিকট ) প্রাচীন একচক্র গ্রাম। মহাভারতে ঐ একচক্রার উল্লেখ দেখা যায়। পাণ্ডবগণ বনবাসকালে উক্ত একচক্র গ্রামে কিছুদিন বাস ও দুষ্ট রাক্ষসগণের সংহার করিয়াছিলেন। পূর্বকালে ঐ একচক্র গ্রামে চক্ৰেশ্বর নামে এক শিবলিঙ্গ ও অপরাপর দেবদেবীর মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত * ছিলেন। একচক্রার পাদপ্রবাহিকা মৌড়েশ্বরী নদীর প্রবাহে কালে ঐ সকল দেবতার মন্দির বিধ্বস্ত হইয়া গিয়াছে। সেই প্ৰাচীনতম সময়ের কথার প্রয়োজন নাই। পঞ্চশত বৎসরের কিছু পূৰ্ব্বেও ঐ একচক্র একটি সমৃদ্ধিশালিনী পুৱী ছিল। ভক্তিরত্নাকরের বর্ণনানুসারে জানা যায়, তৎকালে ঐ পুরী উদ্যানোপবনে সুসজিত বিভিন্নবর্ণের বহুলোকের বাসস্থান ছিল। ঐ পুরীতে অনেক ধনী, মানী ও জ্ঞানী লোক বাস করিতেন । পুরবাসী সকল ধাৰ্ম্মিক ও সচ্চরিত্র ছিলেন। পুণ্যকৰ্ম্মে তঁহাদিগের বিশেষ যত্ন ও উৎসাহ ছিল। পুরমধ্যে অনেক স্থানেই দিবানিশি বিবিধ ধৰ্ম্মশাস্ত্রের অনুশীলন হইত। ঐ সমৃদ্ধিশালী একচক্রাগ্রায়ে শাণ্ডিল্যাগোত্রীয় ভট্টনারায়ণের বংশসস্তৃত বটব্যালিগ্রামীয় ওঝা-উপাধিধারী এক অতি ধৰ্ম্মশীল বিপ্ৰ বাস করিতেন। উক্ত ওঝার পত্নীও তঁহার অনুরূপ ছিলেন । র্তাহাদিগের ধৰ্ম্মের সংসার সর্বপ্রকারে সুখময় ছিল। দুঃখের মধ্যে সন্তানগণ অল্পবয়সেই ইহলোক পরিত্যাগ করেন। শেষে হরপার্বতীর প্রসাদে একটী পুত্র রক্ষা পান। ‘মহাত্মা ওঝা ঐ মৃত্যবিশিষ্ট পুত্রের “হাড়ো” নাম রাখেন। হাড়োর রাশিগত নাম মুকুন্দ। মুকুন্দ জনকজননীর স্নেহে বয়োবৃদ্ধির সহিত বিবিধ বিদ্যায় পারদর্শী ও পণ্ডিতপদবাচ্য হয়েন। নিকটবৰ্ত্তী কোন গ্রামে পদ্মাবতী নামী সৰ্বসুলক্ষণা সাক্ষাৎ বাৎসল্যলক্ষ্মীর সদৃশী সৎকুলজাতা কোন এক কন্যার সহিত মুকুন্দ-পণ্ডিতের পরিণয়কাৰ্য সমাহিত হয়। মুকুন্দাপণ্ডিত ও তাঁহার সহধৰ্ম্মিণী পদ্মাবতী, শুদ্ধভক্ত