পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 চণ্ডী অমর গ্রন্থ সম্বন্ধে, আমাদের কাল-নির্ণয়-প্রবৃত্তি-কণ্ডুয়ন নিবৃত্তি ফইলে-বিশেষ ক্ষতি নাই। যে সমস্ত অমূল্য গ্রন্থ-রত্ব কালের কঠোর অগ্নি-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া অমরত লাভ করিয়াছে, সে সকল মহাগ্রন্থ চিরকালের সম্পত্তি। যতদিন হিপূজাতি থাকিবে—যতদিন ভাষা থাকিবে—এমন কি যতদিন মানবজাতি থাকিবে, ততদিন সেই সকল মহাগ্রন্থের লোপ হইবার সম্ভাবনা নাই। আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, চণ্ডী—ধৰ্ম্মগ্রন্থ স্বরূপে সমলোচ্য নহে। সেইজন্য কাব্য-স্বরূপেও চণ্ডীর সমালোচনা অকৰ্ত্তব্য। অবশু চণ্ডীতে কাব্যাংশে প্রশংসার বিষয় যথেষ্ট আছে ; কিন্তু চণ্ডী কাব্য নহে–বৰ্ম্ম-গ্রন্থ। কাব্য-সমালোচনার যে উপকরণ, সেই উপকরণে ধৰ্ম্ম গ্রন্থের সমালোচনা চলে না। ধৰ্ম্ম-গ্রন্থ কাব্যাংশে উৎকৃষ্ট হয় ভালই,—না হইলেও ক্ষতি নাই। তবে ইহা বলিতে হইবে যে, শন ও কাব্যের সন্মিলনেই ধৰ্ম্ম-গ্রন্থের উৎপত্তি। যিনি শ্রেষ্ঠ দার্শনিক—তিনি তত্ত্ব দ্রষ্ট । আর যিনি কবি—তিনি দ্রষ্টা ও শ্রষ্টা। যাহার কবি-গুরু ও দার্শনিক শ্রেষ্ঠ, সেই মহাপুরুষগণই মূল ধৰ্ম্ম গ্রন্থের প্রবর্তক। তাহারাই আপ্ত-খধি । বেদের মন্ত্র দ্রষ্টা ঋষিগণ কবি-শ্রেষ্ঠ ছিলেন। স্বয়ং স্রষ্টাই আদি-কবি-পুরাণ। অতএব ধৰ্ম্ম-গ্রন্থ মাত্রেই কাব্যাংশ আছে। অনেক ধৰ্ম্মগ্ৰন্থই উৎকৃষ্ট কাব্য। তথাপি কেবল কাব্য-স্বরূপে ধৰ্ম্ম-গ্রন্থের সমালোচনা কর্তব্য নহে। ধৰ্ম্ম গ্রন্থের কবি, ধৰ্ম্মের মূল-তত্বগুলিকে সহজ অলঙ্কারে অলঙ্কৃত করিয়া, সে গুলিকে সাধারণের বুদ্ধি-গ্রাহ