পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ চণ্ডী মামুষের বা নরাকৃতি পশুর ক্রমোন্থতিতে, সত্য মামুষের অধিকার বিস্তার হইয়াছে। সুতরাং আমরা মনে করিতে পারি যে, চণ্ডীর এই দুই উপাখ্যানে এই বৈজ্ঞানিক তত্বের আভাষ দেওয়া আছে মহিষাসুর-বধ উপাখ্যানে, বন্ত হিংস্র পশুদের, অথবা পাশব-শক্তির অভিভবের কথা বর্ণিত হইয়াছে। সেইরূপ গুম্ভ-নিশুম্ভ-বধ উপাখ্যানে, অসভ্য মানবজাতির রাক্ষস-শক্তিকে অভিভূত করিয়া, মানবের দেব-শক্তির বিকাশ ঘূর্ণিত হইয়াছে। আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা সম্বন্ধে অধিক কথা বলিবার আবগুক নাই। মানবগণ সাধারণতঃ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত—আমুর ও দেব। মানব-প্রকৃতি দুইরূপ—আসুদ ও দৈব । একথা গীতায় পাওয়া যায়। প্রত্যেক মানবের অন্তরে, এই দৈব ও আমুর প্রকৃতির সংগ্রাম চলে। প্রথম অৰস্থায় মানব অস্থির-প্রকৃতিসম্পন্ন থাকে ; ক্রমে ক্রমে মানবে দৈব-প্রকৃতির বিকাশ হয় । ক্রমে দৈব-প্রকৃতির পরিণতি হইতে থাকে—আমুর প্রকৃতির সঙ্কীর্ণ হইয়া আসে। ক্রমে দৈব-প্রকৃতির পূর্ণ বিকাশ হয়। যে পৰ্য্যন্ত তাহ না হয়, সে পৰ্য্যন্ত মানব-অন্তরে সর্বদা এই দৈব ও আমুর প্রকৃতির মধ্যে সংগ্রাম চলিতে থাকে । আমুর-প্রকৃতি দুই প্রকার ;–তামসিক ও রাজসিক। তামসিক প্রকৃতি—পগুপ্রকৃতি। প্রথমে মানবের মনে, এই পশু-ভাবের বিশেষ বিকাশ থাকে। আর রাজসিক প্রকৃতি—সৰ্ব্বগ্রাসী রাক্ষস-প্রকৃতি । গীতায় ইহার বর্ণনা আছে। অতএব ইহা বলা যাইতে পারে যে, মহিষাসুর-যুদ্ধ—এই পাশব-প্রকৃতির সহিত মানবের দেব-প্রকৃতির আক্ষরিক যুদ্ধ। আর শুম্ভ-নিশুম্ভের যুদ্ধ —মানবের রাক্ষস